Ajker Patrika

মিয়ানমারের নির্বাচন হবে কয়েক ধাপে, শুরু ২৮ ডিসেম্বর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২: ২১
শান রাজ্যের নামশানে একটি প্যাগোডা পাহারা দিচ্ছে বিদ্রোহী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ছবি: এএফপি
শান রাজ্যের নামশানে একটি প্যাগোডা পাহারা দিচ্ছে বিদ্রোহী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের আগামী জাতীয় নির্বাচন শুরু হবে ২৮ নভেম্বর। দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এই তারিখ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতিশ্রুত নির্বাচনের প্রথম ধাপ চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হবে। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এক সরকারি বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন মিন অং হ্লাইং। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এই নির্বাচন সংক্রান্ত জান্তা সরকারের কার্যক্রমকে ‘ভণ্ডামি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মিয়ানমারের বড় একটি অংশই এখনো জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশটির বেশির ভাগ আঞ্চলিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেতা আং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে জান্তা বাহিনী। এরপর দেশটিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে তা ক্রমেই সংঘাতে রূপ নেয়।

মিয়ানমারের ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রতিটি পার্লামেন্টারি আসনের জন্য বহুপক্ষীয় গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ২৮ ডিসেম্বর রোববার শুরু হবে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনের তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।’

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ হাজারো মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। জান্তা সরকার নির্বাচনকে শেষ করার উপায় হিসেবে তুলে ধরছে এবং ভোটের আগে অস্ত্র ছাড়তে রাজি থাকা বিরোধী যোদ্ধাদের নগদ পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রীয় অং সান সু চি এখনো কারাবন্দী এবং অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া অনেক বিরোধী এমপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি একটি ‘ভণ্ডামি’ এবং চলমান সামরিক শাসনকে নতুন আকার দেওয়ার প্রচেষ্টা।

সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বর্তমানে মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসন করছেন। তিনি একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রধানও। মিয়ানমারের স্বাধীনতার পরের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনে মিন অং হ্লাইং সম্ভবত নতুন সরকারের ওপরও তাঁর ক্ষমতা বজায় রাখবেন। এদিকে, ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই ফাটল গভীর হতে পারে।

গত বছর নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য পরিচালিত এক জরিপ অনুসারে, মিয়ানমারের ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি যে মাপের লোক, আমারে সে মাপের অস্ত্র দিয়া ফাঁসাইতি’

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

অবশেষে ইকবালের পরিবারমুক্ত হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার—শিক্ষক এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি চালাল কিশোরী

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত