রাশিয়ার এক শীর্ষ জেনারেল সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশে পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো দেশগুলো। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) প্রথম উপপ্রধান ও দেশটির বর্ডার গার্ড সার্ভিসের প্রধান জেনারেল ভ্লাদিমির কুলিশভ রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।
রাশিয়ার বর্ডার গার্ড সার্ভিস ও এফএসবি সীমান্ত এলাকায় ন্যাটোর গোয়েন্দা কার্যক্রমের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে উল্লেখ করে জেনারেল কুলিশভ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘রুশ সীমান্তের কাছাকাছি ন্যাটোর গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ছে। জোটের বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ জোরদার করছে—যাতে তারা আমাদের ভূখণ্ডে পারমাণবিক হামলাসহ রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সামরিক পটভূমি তৈরি করতে পারে।’
জেনারেল কুলিশভ আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাধ্য করেছে।’ এ সময় তিনি জানান, রাশিয়ার বর্ডার গার্ড সার্ভিস ব্রায়ানস্ক, কুরস্ক, বেলগরদ অঞ্চল ও ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
রাশিয়ার এই জেনারেল আরও জানান, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ও চরমপন্থী সংগঠন এবং ইউক্রেনের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক বাহিনী সদস্যরা রাশিয়ায় সাড়ে পাঁচ হাজার বার অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। যা রাশিয়ার গোয়েন্দা ও বর্ডার গার্ড সার্ভিস ঠেকিয়ে দিয়েছে।
কুলিশভ এমন একসময়ে এই মন্তব্য করলেন, যার মাত্র এক দিন আগে ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ন্যাটো দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দেশগুলো ন্যাটোর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা অনুমতি দেয়। প্রসঙ্গত, কুলিশভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বেড়ে গেছে।
রুশ কর্মকর্তারা এর আগে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগি পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্কসহ পরমাণু অস্ত্রধর দেশ নয়, এমন দেশে কিছুসংখ্যক আমেরিকান পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। মস্কো বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে এই দেশগুলো কীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
রাশিয়া–ইউক্রেনে চলমান সংকটের জন্য ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণবাদী মনোভাব এবং ইউক্রেনে এর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে দায়ী করেছে। দেশটির অভিযোগ, মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমাবিশ্ব ইউক্রেনে মস্কোর বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনা করছে।
রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন ও এর মিত্ররা কিয়েভকে যেভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তাতে কেবল চলমান সংকট অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকবে এবং একপর্যায়ে পশ্চিমাবিশ্ব রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন মস্কোর অধিকর্তারা।
এর ধারাবাহিকতায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার অকৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য একটি মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটি এই পদক্ষেপকে পশ্চিমাদের বৈরী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
রাশিয়ার এক শীর্ষ জেনারেল সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশে পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো দেশগুলো। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) প্রথম উপপ্রধান ও দেশটির বর্ডার গার্ড সার্ভিসের প্রধান জেনারেল ভ্লাদিমির কুলিশভ রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।
রাশিয়ার বর্ডার গার্ড সার্ভিস ও এফএসবি সীমান্ত এলাকায় ন্যাটোর গোয়েন্দা কার্যক্রমের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে উল্লেখ করে জেনারেল কুলিশভ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘রুশ সীমান্তের কাছাকাছি ন্যাটোর গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ছে। জোটের বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ জোরদার করছে—যাতে তারা আমাদের ভূখণ্ডে পারমাণবিক হামলাসহ রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সামরিক পটভূমি তৈরি করতে পারে।’
জেনারেল কুলিশভ আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাধ্য করেছে।’ এ সময় তিনি জানান, রাশিয়ার বর্ডার গার্ড সার্ভিস ব্রায়ানস্ক, কুরস্ক, বেলগরদ অঞ্চল ও ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
রাশিয়ার এই জেনারেল আরও জানান, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ও চরমপন্থী সংগঠন এবং ইউক্রেনের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক বাহিনী সদস্যরা রাশিয়ায় সাড়ে পাঁচ হাজার বার অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। যা রাশিয়ার গোয়েন্দা ও বর্ডার গার্ড সার্ভিস ঠেকিয়ে দিয়েছে।
কুলিশভ এমন একসময়ে এই মন্তব্য করলেন, যার মাত্র এক দিন আগে ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ন্যাটো দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দেশগুলো ন্যাটোর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা অনুমতি দেয়। প্রসঙ্গত, কুলিশভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বেড়ে গেছে।
রুশ কর্মকর্তারা এর আগে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগি পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্কসহ পরমাণু অস্ত্রধর দেশ নয়, এমন দেশে কিছুসংখ্যক আমেরিকান পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। মস্কো বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে এই দেশগুলো কীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
রাশিয়া–ইউক্রেনে চলমান সংকটের জন্য ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণবাদী মনোভাব এবং ইউক্রেনে এর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে দায়ী করেছে। দেশটির অভিযোগ, মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমাবিশ্ব ইউক্রেনে মস্কোর বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনা করছে।
রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন ও এর মিত্ররা কিয়েভকে যেভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তাতে কেবল চলমান সংকট অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকবে এবং একপর্যায়ে পশ্চিমাবিশ্ব রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন মস্কোর অধিকর্তারা।
এর ধারাবাহিকতায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার অকৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য একটি মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটি এই পদক্ষেপকে পশ্চিমাদের বৈরী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে অবশেষে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েই গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপকভাবে এই চুক্তির পক্ষে উকালতি করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনের খনিজ উত্তোলনে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার পাবে ও ইউক্রেন
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
২ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৯ ঘণ্টা আগে