অনলাইন ডেস্ক
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও মরিশাস সরকারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি শেষ মুহূর্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, দুই চাগোসীয় নারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিচারপতি গুজ এই আদেশ দেন। এর ফলে চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগেই স্থগিত করা হয়েছে।
কথা ছিল, চুক্তিটির আওতায় যুক্তরাজ্য চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের হাতে তুলে দেবে। আর এই দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ দিয়েগো গার্সিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ সামরিক ঘাঁটি আরও ৯৯ বছরের জন্য ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
এর আগে এই চুক্তিটি নিয়ে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের একটি অংশ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছিল। বার্নাডেট ডুগাস ও বার্ট্রিস পম্প নামে চাগোসের দুজন নারী তাঁদের জন্মভূমি দিয়েগো গার্সিয়ায় গিয়ে বসবাস করতে চেয়ে সম্ভাব্য চুক্তিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তবে প্রস্তাবিত চুক্তি তো বটেই এবং বর্তমান ব্যবস্থায়ও গার্সিয়া দ্বীপে চাগোসবাসীদের ফেরার অনুমতি নেই।
মামলা করা দুই নারীর আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, ‘চাগোসবাসীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ না করেই সরকার তাদের জন্মভূমি দিয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা চাগোসবাসীদের প্রতি অতীতের নিষ্ঠুর আচরণেরই ধারাবাহিকতা।’
চুক্তি নিয়ে চাগোসবাসীদের হতাশা ও ক্ষোভ বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি ও মন্ত্রী স্টিফেন ডোটি চাগোসীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ‘চাগোসিয়ান ভয়েস’ সংগঠনের সদস্য জেমি সাইমন বলেন, ‘এই চুক্তিতে আমাদের জন্য ভালো কিছু নেই। আমি আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।’
চাগোস দ্বীপপুঞ্জ ১৯৬৫ সালে মরিশাস থেকে আলাদা করা হয়েছিল। সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে ছিল মরিশাস। সে সময় মাত্র ৩০ লাখ পাউন্ডে দ্বীপগুলো কিনে নিয়েছিল ব্রিটেন। তবে মরিশাসের দাবি, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য চাপে পড়ে তারা এসব দ্বীপকে আইনবিরোধীভাবে হারাতে হয়েছিল। এরপর ১৯৭১ সালে একটি অভিবাসন আদেশের মাধ্যমে চাগোসবাসীদের নিজেদের জন্মভূমিতে ফেরত আসা নিষিদ্ধ করা হয়।
বর্তমানে চাগোসবাসীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তাদের কেউ কেউ দ্বীপে ফিরে যেতে চান, কেউ চান যুক্তরাজ্যে নিজেদের অধিকার ও অবস্থান নিশ্চিত করতে, আবার অনেকে মনে করেন বাইরের কোনো শক্তি দ্বীপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ না করুক।
যুক্তরাজ্যে বসবাস করা চাগোসীয় মাইলিন অগাস্টিন বলেন, ‘আমার বাবাও দিয়েগো গার্সিয়ায় জন্মেছিলেন। এটাই আমার উত্তরাধিকার। আমরা আমাদের অধিকার চাই, আত্মনিয়ন্ত্রণ চাই।’
এদিকে জাতিসংঘের আদালত ও সাধারণ পরিষদ সম্প্রতি চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে মরিশাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকার চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও তা চূড়ান্ত করতে পারেনি। লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনা আবারও এগোতে শুরু করে। কারণ যুক্তরাজ্যের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের গার্সিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
তবে চুক্তিটি নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। বিরোধীরা দাবি করছেন, মরিশাসের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং ব্রিটিশ চাগোসীয়দের স্বার্থকে অবহেলা করা হচ্ছে।
কনজারভেটিভ দলের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর, করদাতাদের জন্য বোঝা এবং চাগোসবাসীদের জন্য অপমানজনক।’
রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ বলেন, ‘সরকার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে চুক্তি এগিয়ে নিতে চায়। কেন স্টারমার এত মরিয়া হয়ে দ্বীপগুলো ছেড়ে দিতে চান—যখন এটির কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই?’
তবে এই মুহূর্তে আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকেই তাকিয়ে আছে চাগোসবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও মরিশাস সরকারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি শেষ মুহূর্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, দুই চাগোসীয় নারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিচারপতি গুজ এই আদেশ দেন। এর ফলে চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগেই স্থগিত করা হয়েছে।
কথা ছিল, চুক্তিটির আওতায় যুক্তরাজ্য চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের হাতে তুলে দেবে। আর এই দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ দিয়েগো গার্সিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ সামরিক ঘাঁটি আরও ৯৯ বছরের জন্য ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
এর আগে এই চুক্তিটি নিয়ে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের একটি অংশ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছিল। বার্নাডেট ডুগাস ও বার্ট্রিস পম্প নামে চাগোসের দুজন নারী তাঁদের জন্মভূমি দিয়েগো গার্সিয়ায় গিয়ে বসবাস করতে চেয়ে সম্ভাব্য চুক্তিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তবে প্রস্তাবিত চুক্তি তো বটেই এবং বর্তমান ব্যবস্থায়ও গার্সিয়া দ্বীপে চাগোসবাসীদের ফেরার অনুমতি নেই।
মামলা করা দুই নারীর আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, ‘চাগোসবাসীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ না করেই সরকার তাদের জন্মভূমি দিয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা চাগোসবাসীদের প্রতি অতীতের নিষ্ঠুর আচরণেরই ধারাবাহিকতা।’
চুক্তি নিয়ে চাগোসবাসীদের হতাশা ও ক্ষোভ বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি ও মন্ত্রী স্টিফেন ডোটি চাগোসীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ‘চাগোসিয়ান ভয়েস’ সংগঠনের সদস্য জেমি সাইমন বলেন, ‘এই চুক্তিতে আমাদের জন্য ভালো কিছু নেই। আমি আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।’
চাগোস দ্বীপপুঞ্জ ১৯৬৫ সালে মরিশাস থেকে আলাদা করা হয়েছিল। সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে ছিল মরিশাস। সে সময় মাত্র ৩০ লাখ পাউন্ডে দ্বীপগুলো কিনে নিয়েছিল ব্রিটেন। তবে মরিশাসের দাবি, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য চাপে পড়ে তারা এসব দ্বীপকে আইনবিরোধীভাবে হারাতে হয়েছিল। এরপর ১৯৭১ সালে একটি অভিবাসন আদেশের মাধ্যমে চাগোসবাসীদের নিজেদের জন্মভূমিতে ফেরত আসা নিষিদ্ধ করা হয়।
বর্তমানে চাগোসবাসীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তাদের কেউ কেউ দ্বীপে ফিরে যেতে চান, কেউ চান যুক্তরাজ্যে নিজেদের অধিকার ও অবস্থান নিশ্চিত করতে, আবার অনেকে মনে করেন বাইরের কোনো শক্তি দ্বীপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ না করুক।
যুক্তরাজ্যে বসবাস করা চাগোসীয় মাইলিন অগাস্টিন বলেন, ‘আমার বাবাও দিয়েগো গার্সিয়ায় জন্মেছিলেন। এটাই আমার উত্তরাধিকার। আমরা আমাদের অধিকার চাই, আত্মনিয়ন্ত্রণ চাই।’
এদিকে জাতিসংঘের আদালত ও সাধারণ পরিষদ সম্প্রতি চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে মরিশাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকার চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও তা চূড়ান্ত করতে পারেনি। লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনা আবারও এগোতে শুরু করে। কারণ যুক্তরাজ্যের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের গার্সিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
তবে চুক্তিটি নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। বিরোধীরা দাবি করছেন, মরিশাসের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং ব্রিটিশ চাগোসীয়দের স্বার্থকে অবহেলা করা হচ্ছে।
কনজারভেটিভ দলের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর, করদাতাদের জন্য বোঝা এবং চাগোসবাসীদের জন্য অপমানজনক।’
রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ বলেন, ‘সরকার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে চুক্তি এগিয়ে নিতে চায়। কেন স্টারমার এত মরিয়া হয়ে দ্বীপগুলো ছেড়ে দিতে চান—যখন এটির কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই?’
তবে এই মুহূর্তে আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকেই তাকিয়ে আছে চাগোসবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্য়ালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, হামলার পর সব মার্কিন যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
১৩ মিনিট আগেপারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৮ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৮ ঘণ্টা আগে