রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তবে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। পুতিনের বিবেচনায় জেলেনস্কি ইউক্রেনের ‘অবৈধ’ প্রেসিডেন্ট, তাই তাঁর বৈধ কর্তৃত্ব নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন, জেলেনস্কি ‘সমঝোতা’ চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের ইতি টানতে আগ্রহী।
পুতিন বলেন, ‘যদি জেলেনস্কি আলোচনায় অংশ নিতে চান, আমি লোক নিয়োগ করব যারা এই আলোচনায় অংশ নেবে।’ তবে তিনি দাবি করেন, সামরিক আইনের মধ্যে জেলেনস্কির প্রেসিডেনশিয়াল মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি আর ইউক্রেনের বৈধ নেতা নন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যদি আলোচনা করতে এবং সমঝোতায় আসতে আগ্রহ থাকে, তাহলে যে কেউ সেখানে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে পারে...স্বাভাবিকভাবেই আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যা উপযুক্ত হবে, তার পক্ষে থাকব।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ দ্রুত, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। যদি তাদের (ইউক্রেনের) জন্য টাকা এবং ব্যাপক অর্থে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তারা এক মাসও টিকতে পারবে না। সবকিছু এক থেকে দেড় বা দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিলেও, তবু সংঘাত অবসানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। গত সোমবার রুশ কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের দল পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ নির্ধারণের জন্য তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি, তবে উভয় পক্ষই সংলাপের সম্ভাবনার প্রতি ইতিবাচক।
অন্যদিকে, কিয়েভ সতর্ক করেছে যে, তাদের বাদ দিয়ে কোনো শান্তি আলোচনা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তারা অভিযোগ করেছে যে, পুতিন ট্রাম্পকে ইউক্রেনকে উপেক্ষা করতে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রসিয়া-১ এর সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো আলোচনাই অবৈধ, কারণ ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ নিষিদ্ধ করেছিলেন।’
পুতিন আরও বলেন, ‘কিয়েভ তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নির্দেশ মানতে কোনো তাড়া দেখাচ্ছে না, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও নয়।’ তবে পুতিন স্বীকার করেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তবে তাঁর ভাষ্য, ‘কিয়েভ সরকার এখনকার পরিস্থিতিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে, কারণ তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে এবং তা ভোগ করছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যারা (পশ্চিমারা) কিয়েভকে অর্থ দিচ্ছে, তাদেরই শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য করা উচিত। ইউক্রেনকে শেষ পর্যন্ত এটাই করতে হবে, কারণ এর কোনো বিকল্প থাকবে না।’
পুতিন জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং প্রাথমিক যোগাযোগ এখনই শুরু হতে পারে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির বিষয়ে কথা বলা কঠিন হবে।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে, বিশেষ করে ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ‘অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যাবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ‘বাস্তববাদী’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য এবং তিনি যদি ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ এড়ানো যেত। তিনি আরও দাবি করেন, ট্রাম্পের ‘জয় ছিনিয়ে নেওয়া না হলে’, পরিস্থিতির গতিপথ ভিন্ন হতে পারত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তবে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। পুতিনের বিবেচনায় জেলেনস্কি ইউক্রেনের ‘অবৈধ’ প্রেসিডেন্ট, তাই তাঁর বৈধ কর্তৃত্ব নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন, জেলেনস্কি ‘সমঝোতা’ চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের ইতি টানতে আগ্রহী।
পুতিন বলেন, ‘যদি জেলেনস্কি আলোচনায় অংশ নিতে চান, আমি লোক নিয়োগ করব যারা এই আলোচনায় অংশ নেবে।’ তবে তিনি দাবি করেন, সামরিক আইনের মধ্যে জেলেনস্কির প্রেসিডেনশিয়াল মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি আর ইউক্রেনের বৈধ নেতা নন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যদি আলোচনা করতে এবং সমঝোতায় আসতে আগ্রহ থাকে, তাহলে যে কেউ সেখানে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে পারে...স্বাভাবিকভাবেই আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যা উপযুক্ত হবে, তার পক্ষে থাকব।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ দ্রুত, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। যদি তাদের (ইউক্রেনের) জন্য টাকা এবং ব্যাপক অর্থে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তারা এক মাসও টিকতে পারবে না। সবকিছু এক থেকে দেড় বা দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিলেও, তবু সংঘাত অবসানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। গত সোমবার রুশ কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের দল পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ নির্ধারণের জন্য তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি, তবে উভয় পক্ষই সংলাপের সম্ভাবনার প্রতি ইতিবাচক।
অন্যদিকে, কিয়েভ সতর্ক করেছে যে, তাদের বাদ দিয়ে কোনো শান্তি আলোচনা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তারা অভিযোগ করেছে যে, পুতিন ট্রাম্পকে ইউক্রেনকে উপেক্ষা করতে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রসিয়া-১ এর সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো আলোচনাই অবৈধ, কারণ ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ নিষিদ্ধ করেছিলেন।’
পুতিন আরও বলেন, ‘কিয়েভ তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নির্দেশ মানতে কোনো তাড়া দেখাচ্ছে না, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও নয়।’ তবে পুতিন স্বীকার করেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তবে তাঁর ভাষ্য, ‘কিয়েভ সরকার এখনকার পরিস্থিতিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে, কারণ তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে এবং তা ভোগ করছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যারা (পশ্চিমারা) কিয়েভকে অর্থ দিচ্ছে, তাদেরই শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য করা উচিত। ইউক্রেনকে শেষ পর্যন্ত এটাই করতে হবে, কারণ এর কোনো বিকল্প থাকবে না।’
পুতিন জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং প্রাথমিক যোগাযোগ এখনই শুরু হতে পারে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির বিষয়ে কথা বলা কঠিন হবে।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে, বিশেষ করে ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ‘অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যাবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ‘বাস্তববাদী’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য এবং তিনি যদি ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ এড়ানো যেত। তিনি আরও দাবি করেন, ট্রাম্পের ‘জয় ছিনিয়ে নেওয়া না হলে’, পরিস্থিতির গতিপথ ভিন্ন হতে পারত।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১ সেকেন্ড আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘অপরাধ দমনে জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে, এখন সরাসরি ওয়াশিংটনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে পারবে বিচার বিভাগ। এ ছাড়াও ৭ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাসের এই শহরে ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেকাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এর আগে গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
১১ ঘণ্টা আগে