Ajker Patrika

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নতুন প্রধানের দাদা ছিলেন নাৎসি গুপ্তচর ‘দ্য বুচার’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ১৫: ০৯
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ৬ প্রধান হতে যাচ্ছেন ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ৬ প্রধান হতে যাচ্ছেন ব্লেইস মেট্রেওয়েইলি। ছবি: সংগৃহীত

সদ্য নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬-এর প্রধান ব্লেইজ মেট্রুয়েলি শুধু সংস্থার প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নন, তাঁর পারিবারিক ইতিহাস ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁসের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, তাঁর দাদা কনস্টানটিন ডোব্রোভোলস্কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর গুপ্তচর ছিলেন।

খবরে বলা হয়েছে, মেট্রুয়েলির দাদা কনস্টানটিন ডোব্রোভোলস্কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কুখ্যাত নাৎসি বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। জার্মান আর্কাইভ থেকে পাওয়া নথি বলছে, তিনি জার্মান গুপ্তচর হিসেবে সোভিয়েত রেড আর্মিতে ঢুকে পড়েছিলেন এবং ‘এজেন্ট নম্বর ৩০’ ও ‘দ্য বুচার’ বা ‘কসাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। বলা হয়, তিনি ইহুদিদের হত্যার গল্প গর্ব করে বলে বেড়াতেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেট্রুয়েলির দাদার নাৎসি সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশের পর এমআই-৬ তাঁর অতীত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। ঐতিহাসিক নথি অনুযায়ী, ডোব্রোভোলস্কি ছিলেন রেড আর্মির বিশ্বাসঘাতক। তিনি ইউক্রেনের চেরনিহিভে নাৎসিদের প্রধান তথ্যদাতা হয়ে উঠেছিলেন।

তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেট্রুয়েলির দাদার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল না। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ব্লেইজের পারিবারিক ইতিহাস সংঘাত ও বিভাজনে ভরা, যা পূর্ব ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে অস্বাভাবিক নয়। এই জটিল অতীতই তাঁকে সংঘাত ঠেকানোর এবং যুক্তরাজ্যকে বর্তমানের শত্রুদের হুমকি থেকে রক্ষার জন্য আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করেছে।’

৪৭ বছর বয়সী মেট্রুয়েলি বর্তমানে এমআই-৬-এর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান এবং তিনি পরিচিত ‘কিউ’ নামে। ১৯৯৯ সালে তিনি ব্রিটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে যোগ দেন এবং বেশির ভাগ সময় মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে গোপন অপারেশনাল দায়িত্বে ছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটেন সরকার।

বর্তমান এমআই ৬ প্রধান রিচার্ড মুর চলতি বছরের শরতে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে সরে দাঁড়াবেন। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এমআই-৬-এর পাশাপাশি ব্রিটেনের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা আছে—ঘরোয়া গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ এবং যোগাযোগভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা জিসিএইচকিউ। এখন তিনটি সংস্থারই নেতৃত্বে নারী।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেট্রুয়েলির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাশিয়া, চীন ও ইরানের হুমকি মোকাবিলা করা। ব্রিটেনের গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পেছনে সমর্থন না দিতে ইউরোপজুড়ে নাশকতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছে মস্কো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের সময়ে অনড় জামায়াত-এনসিপি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছিলেন রোজিনা

গাজায় অবস্থান পুনরুদ্ধার করছে হামাস, ইসরায়েলপন্থীদের দিচ্ছে শাস্তি

সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক—সেনা কর্মকর্তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত