Ajker Patrika

ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন হেরে গেছেন: হারারি

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ২৩: ৪০
ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন হেরে গেছেন: হারারি

ইউক্রেন-রাশিয়া প্রথম আলোচনা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। যুদ্ধ চলছে। গোটা বিশ্ব ভীষণ উদ্বেগ নিয়ে সে যুদ্ধের দিকে তাকিয়ে। মুদ্রাবাজার থেকে শুরু করে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে এরই মধ্যে পড়েছে ভয়াবহ প্রভাব, যা সামনের দিনগুলোতে আরও বাজে আকার নিতে পারে বলে জোর আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, গোলা ফুটছে, বারুদের গন্ধ এখন বাস্তব এবং মানুষ মরছে। সামরিক হোক, বেসামরিক হোক, ইউক্রেনীয় হোক কিংবা রুশ, মানুষই মরছে। এই যুদ্ধকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দম্ভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন অনেকে, অনেকে আবার নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রত্যাশায় শিহরিত। যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা ইউরোপ এর সঙ্গে জড়িয়ে গেলে এ যুদ্ধের ফল কী হবে, কেউ জানে না। কিন্তু ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ ইয়ুভাল নোয়াহ হারারি বলছেন, যুদ্ধে পুতিনের পরাজয় এরই মধ্যে হয়ে গেছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত হারারির এই লেখায় উঠে এসেছে যুদ্ধের বাস্তবতা যেমন, তেমনি এসেছে গোটা বিশ্বের ভবিষ্যতের ওপর এর প্রভাবের বিষয়টিও। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য থাকল তাঁর পুরো লেখাটির অনুবাদ—

ইউক্রেন যুদ্ধে এরই মধ্যে হেরে গেছেন পুতিন

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারি

এখনো হয়তো ইউক্রেন দখল করতে পারবে রুশরা। কিন্তু গত কয়েক দিনে ইউক্রেনীয়রা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা এটি ধরে রাখতে পারবে না। 

যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহেরও কম সময় গেলেও যত সময় যাচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে, ভ্লাদিমির পুতিন ক্রমেই এক ঐতিহাসিক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সবগুলো লড়াইয়ে জিতলেও তিনি এ যুদ্ধে হেরে যাবেন। পুতিনের রুশ সাম্রাজ্য পুনঃপত্তনের স্বপ্ন সব সময়ই একটি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে—ইউক্রেন সত্যিকারের কোনো জাতি নয়, ইউক্রেনীয়রা সত্যিকারের কোনো মানুষ নয়, আর কিয়েভ, খারকিভ, লভিভের বাসিন্দাদের জন্ম মস্কোর শাসনে থাকার জন্যই। এটি একটি ডাহা মিথ্যা। ইউক্রেন একটি জাতি, যার রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। আর যখন মস্কো একটা অজ গ্রামও নয়, তখনই কিয়েভ মহানগর। কিন্তু রুশরা এই মিথ্যা তাদের এতবার বলেছে যে, ইউক্রেনীয়রাও এখন এটি বিশ্বাস করে। 

ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার সময় পুতিন হয়তো অনেক জানা বিষয়কে বিবেচনা করতে পারতেন। তিনি জানতেন, সামরিক দিক থেকে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন অতি ক্ষুদ্র। তিনি জানতেন, ইউক্রেনকে সাহায্য করতে সেনা পাঠাবে না ন্যাটো। তিনি জানতেন, রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা জার্মানির মতো দেশগুলোকে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে দোনোমনায় ফেলবে। এই সব জানা সত্ত্বেও তাঁর পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনে দ্রুততম সময়ে জোরালো হামলা চালানো, এর সরকারকে উৎখাত করা, কিয়েভে একটি পুতুল সরকার বসানো এবং এর মাধ্যমে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জের কাটিয়ে ওঠা। 

কিন্তু এই পরিকল্পনার সঙ্গে জুড়ে ছিল আরেকটি বড় অজানা বিষয়ও। ইরাক থেকে মার্কিনরা যেমন, তেমনি আফগানিস্তান থেকে রাশিয়ার পাওয়া শিক্ষা থেকে এটা পরিষ্কার যে, কোনো দেশকে হয়তো দখল করা যায়, কিন্তু তা ধরে রাখা অনেক কঠিন। পুতিন জানতেন, ইউক্রেন দখলের শক্তি তাঁর আছে। কিন্তু ইউক্রেনের মানুষ কি মস্কোর পুতুল সরকারকে মেনে নেবে? পুতিন বাজি ধরেছেন যে, তারা (তাঁর সে সরকার) মেনে নেবে। যেহেতু যেকোনো শ্রোতাকেই পুতিন এই কথাই বারবার ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইউক্রেন বাস্তব কোনো জাতি নয়, আর ইউক্রেনীয়রা নয় বাস্তবের জনতা। ২০১৪ সালে রুশ বাহিনী ক্রিমিয়ায় তেমন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়নি। তাহলে ২০২২ সালে অন্য কিছু কেন হতে যাবে? 

এই যুদ্ধকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দম্ভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন অনেকেপ্রতিটি দিন যাচ্ছে, আর এটা পরিষ্কার হচ্ছে যে, পুতিন বাজিতে হেরে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের মানুষেরা তাদের সমস্তটা দিয়ে লড়ছে, যা দিয়ে গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়াচ্ছে তারা, আর জিতে যাচ্ছে যুদ্ধেও। সামনে আছে অগণিত কালো দিন। রুশরা হয়তো এরপরও ইউক্রেন দখলে নিতে পারবে। কিন্তু এই যুদ্ধে জয় পেতে হলে তাদের ইউক্রেনকে ধরে রাখতে হবে। আর এটা তারা তখনই করতে পারবে, যদি তাতে ইউক্রেনীয়রা সম্মত হয়। এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। 

প্রতিটি রুশ ট্যাংক ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে এবং প্রতিটি রুশ সেনার মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ যুদ্ধের সাহস। আর প্রতিটি ইউক্রেনীয়র মৃত্যুর সঙ্গে বাড়বে রুশদের প্রতি তাদের ঘৃণার মাত্রা। আর কে না জানে ঘৃণাই সবচেয়ে কদর্য আবেগ। কিন্তু নিপীড়িত জাতির জন্য ঘৃণা এক গোপন রত্ন। হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থেকে এটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার জ্বালানি দেয়। রুশ সাম্রাজ্য পুনঃপত্তনের জন্য পুতিনকে তুলনামূলক রক্তপাতহীন জয় পেতে হবে, যাতে দখলটি তুলনামূলক ঘৃণাহীন হয়। ইউক্রেনীয়দের রক্ত ঝরানোর মধ্য দিয়ে পুতিন তাঁর স্বপ্নের বাস্তবে রূপ না পাওয়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করছেন। রুশ সাম্রাজ্যের মৃত্যুর সনদে তখন আর মিখাইল গর্বাচেভ নন, লেখা থাকবে পুতিনের নাম। গর্বাচেভ যখন যান, তখন রুশ ও ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ছিল পরস্পরের প্রতি সহদোরের অনুভূতি। আর পুতিন তাদের শত্রুতে পরিণত করেছেন। ইউক্রেনীয় জাতি এখন থেকে নিজেকে রাশিয়ার বিরোধী পক্ষ হিসেবেই যেন ভাবে, সে বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেছেন। 

জাতি মূলত গড়ে ওঠে গল্পের ভিতে। প্রতিটি দিন যাবে, আর নতুন নতুন গল্পের নির্মাণ হবে, যা এই অন্ধকার দিনগুলোতেই শুধু নয়, পরবর্তী দশকগুলোতেও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা বলে যাবে। রাজধানী ছেড়ে যেতে না চাওয়া প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোলাবারুদ চেয়েছেন, কোনো ফ্লাইট নয়; স্নেক আইল্যান্ডের সৈনিকেরা রুশ যুদ্ধজাহাজের উদ্দেশে বলেছে, ‘দূরে গিয়ে মরো’; আর বেসামরিক লোকেরা পথের ওপর বসে থেকে রুশ ট্যাংককে থামাতে চেয়েছে। এ হলো সেই সব গল্প, যা থেকে একটি জাতি গড়ে ওঠে। দীর্ঘ যাত্রায় এই গল্পগুলোর মূল্য ট্যাংক বাহিনীর চেয়ে বেশি। 

অন্য যে কারও মতো রুশ স্বৈরশাসকেরও এটি জানার কথা। তিনি সেই সময়ে বেড়ে ওঠা শিশু, যখন অবরুদ্ধ লেনিনগ্রাদে চালানো জার্মান নৃশংসতা ও রুশ বীরত্বের গল্পগুলো ঘুরে বেড়াত। তিনিই এখন একই ধরনের গল্পের উৎপাদন করছেন, তবে নিজেকে বসিয়ে হিটলারের আসনে। 

ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিইউক্রেনীয়দের বীরত্বগাথা শুধু তাদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই সমাধান হয়ে আসবে। তারা সাহস জোগাবে ইউরোপের জাতিগুলোকে, মার্কিন প্রশাসনকে এবং এমনকি রাশিয়ার নিপীড়িত নাগরিকদেরও। যদি ইউক্রেনীয়রা খালি হাতে একটি ট্যাংককে থামানোর সাহস দেখাতে পারে, তবে জার্মান সরকারও তাদের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সাহস দেখাতে পারে, মার্কিন সরকার পারে সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার সাহস দেখাতে, আর রুশ নাগরিকেরাও পারে এই নির্বোধ যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে। 

আমরা সবাই তখন কিছু না কিছু করার সাহস পাব, হোক সেটা অনুদান, হোক শরণার্থীদের স্বাগত জানানো, কিংবা হোক অনলাইনে এ লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানানো। ইউক্রেন যুদ্ধ পুরো বিশ্বের ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেবে। যদি অত্যাচার ও আগ্রাসনকে জয়ী হতে দেওয়া হয়, তবে তার জন্য আমাদের সবাইকেই ভুগতে হবে। শুধু পর্যবেক্ষক হয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এখন উঠে দাঁড়ানোর সময়, নিজ অবস্থান প্রকাশের সময়। 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। ধরন পাল্টে এটি বছরের বছর ধরে চলতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের ঘটনাবলি গোটা বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ইউক্রেনীয় জাতি খুবই বাস্তব এবং ইউক্রেনীয়রাও বাস্তব মানুষই এবং তারা নিশ্চিতভাবেই রুশ সাম্রাজ্যের অধীনে বাস করতে চায় না। এখন মূল প্রশ্নটি হলো—ক্রেমলিনের চওড়া দেয়াল ভেদ করতে এই বার্তার কত সময় লাগবে? 

লেখক: ইতিহাসবিদ ও লেখক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি ভিসার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী নেওয়ার পক্ষে।

ফক্স নিউজের সাংবাদিক লরা ইনগ্রাহাম ট্রাম্পের কাছে জানতে চান যে, তাঁর প্রশাসন এইচ১–বি ভিসা কমাবে কি না? কারণ, এর ফলে আমেরিকান শ্রমিকদের বেতন কমতে পারে। ট্রাম্প বলেন, বেতন কমার বিষয়ে ‘আমি একমত, তবে প্রতিভাও আনতে হবে।’

এ সময় ইনগ্রাহাম বলেন, ‘এখানে প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ আছে।’ ট্রাম্প জবাব দেন, ‘না, নেই, নেই…কিছু নির্দিষ্ট প্রতিভা নেই, মানুষকে শেখাতে হয়। আপনি কাউকে বেকার লাইন থেকে নিয়ে এসে বলতে পারেন না যে, আমি তোমাকে এমন একটি কারখানায় রাখব যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে জর্জিয়ায় হুন্দাই কারখানায় আইসিই-এর রেইডের উদাহরণ দেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ শত শত দক্ষিণ কোরিয়ান ঠিকাদারকে তাদের অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগ করেছিল। ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জিয়ায় তারা রেইড করেছিল কারণ তারা অবৈধ অভিবাসীদের বের করতে চেয়েছিল—সেখানে এমন মানুষ ছিল যারা সারা জীবন ব্যাটারি তৈরি করেছে। ব্যাটারি তৈরি করা খুব জটিল। সহজ কাজ নয়। বিপজ্জনক, বিস্ফোরণ অনেক। তারা প্রায় ৫০০-৬০০ জন মানুষ নিয়ে ব্যাটারি বানাচ্ছিল এবং অন্যদের শেখাচ্ছিল। তাদের দেশ থেকে বের করতে চেয়েছিল। লরা, তোমার এ ধরনের দক্ষতা লাগবে।’

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরেই ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলারের আবেদন ফি আরোপের নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করেন। এটি ছিল অভিবাসী দমন এবং বিদেশিদের দেশে প্রবেশে নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি ধারাবাহিক পদক্ষেপ। এইচ১–বি ভিসা একটি কাজের ভিসা, যা তিন বছর বৈধ থাকে এবং আরও তিন বছর নবায়ন করা যায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রোগ্রামটি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় রাখে এবং ব্যবসা বাড়ায়, ফলে দেশে আরও চাকরি তৈরি হয়।

সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশে, ট্রাম্প ফ্রান্সের সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাজায় রাখার পক্ষে বলেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ থেকে লোকজন এসে চলে যায় সেসব ‘বহির্গামী দেশের লোকজন থাকা ভালো।’

ইনগ্রাহাম এ সময় বলেন, ‘তারা ফরাসি নয়, তারা চীনা। তারা আমাদের ওপর গুপ্তচর কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমাদের বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি করে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তুমি কি মনে করো ফরাসিরা ভালো?’ ইনগ্রাহাম বলেন, ‘হ্যাঁ।’ ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি এতটা নিশ্চিত নই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বের উচ্চতম হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’, কক্ষ ভাড়া কত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিশ্বের উচ্চতম হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’, কক্ষ ভাড়া কত

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উদ্বোধনের পর এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। হোটেলটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ এবং এটি পরিচালনা করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপের ভিগনেট কালেকশন। ৮২ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি আরব আমিরাতেরই শেখ জায়েদ রোডের জেভোরা হোটেলকে ছাড়িয়ে যাবে। হোটেলটি দুবাইয়ের আতিথেয়তা কেন্দ্রগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজন এবং শহরের বড় পর্যটন বিনিয়োগকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করছে।

হোটেলটিতে মোট ১ হাজার ৪টি রুম ও সুইট রয়েছে। প্রতিটি তলা থেকে দুবাইয়ের দৃষ্টিনন্দন পাম জুমেইরা এবং মেরিনার মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে। প্রতি রুমের ন্যূনতম ভাড়া রাত প্রতি ১ হাজার ৩১০ দিরহাম বা সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রিমিয়াম স্যুইটগুলো প্রায় ২ হাজার ৪০০ দিরহাম মূল্যে ভাড়া পাওয়া যাবে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থাপত্য সংস্থা এনওআরআর ৮২ তলা এই ভবনের নকশা করেছে। এই কাচের টাওয়ারটি এমনভাবে তৈরি যেখানে চারপাশ থেকেই আলো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করবে। অতিথিরা ওপরের রুফটপ অবজারভেশন ডেকে বসে ৩৬০ ডিগ্রির দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এখান থেকে দেখা যাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত স্থানগুলো, যেমন বুর্জ আল–আরব এবং আইন দুবাই।

হোটেলটি আরও নতুন দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। একটি হলো—বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিতি ইনফিনিটি পুল এবং সর্বোচ্চ ক্লাব। ৭৬ তলা উচ্চতায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই পুল অ্যাড্রেস বিচ রিসোর্টের ২৯৪ মিটারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আর ৮১ তলায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই লাউঞ্জ হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত ক্লাব।

হোটেলের মূল আকর্ষণ হলো ট্যাটু দুবাই, যা পুরস্কারপ্রাপ্ত এশীয় খাবারের রেস্তোরাঁ, যা টাওয়ারের তিনটি ওপরের তলা নিয়ে গঠিত। হোটেলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁর মধ্যে রয়েছে—রাইজেন কফি অ্যান্ড আর্টিসানাল বেকারি, এখানে সারা দিন সেবা দেওয়া হয়। ওয়েস্ট–১৩ রেস্তোরাঁয় ভূমধ্যসাগরের অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়। ইস্ট–১৪ রেস্তোরাঁয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ভারতের স্বাদের বুফে খাবার পাওয়া যাবে। এখানে রামেন, সুশি এবং কারি স্টেশনও আছে।

হোটেলটি এরই মধ্যে বুকিং শুরু করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাপোরিঝিয়ায় রুশ আক্রমণে পিছু হটছে ইউক্রেনীয়রা, রণক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি মস্কোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০১
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ খানিকা অগ্রগতি লাভ করেছে। ছবি: আল–জাজিরা
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ খানিকা অগ্রগতি লাভ করেছে। ছবি: আল–জাজিরা

ইউক্রেন যুদ্ধে রণক্ষেত্র দীর্ঘদিন ধরে প্রায় জমাট অবস্থায় ছিল। কোনো পক্ষই খুব বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে পারছিল না। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, রুশ বাহিনী অচলাবস্থা ভেঙে ইউক্রেনকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারছে কিছু কিছু অঞ্চলে। কিছুদিন আগে রুশ সেনারা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পোকরভস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে। আর এখন আরেক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল জাপোরিঝিয়ায় রুশ আক্রমণের মুখে পিছু হটছে ইউক্রেনীয় সেনারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের শীর্ষ সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনকভাবে খারাপ হয়েছে।’ তীব্র যুদ্ধের পর ইউক্রেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম থেকে সরে এসেছে।

দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে এই পশ্চাৎপসারণের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন রাশিয়া দাবি করেছে তাদের সেনারা পূর্বাঞ্চলের পোকরভস্ক ও কুপিয়ানস্ক শহরের ভেতরে আরও কিছুটা অগ্রসর হয়েছে।

রুশ সামরিক ব্লগারদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ সেনারা মোটরসাইকেল ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িতে করে শহরে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ সামরিক যানবাহনের ওপর বসে আছে। রুশ গণমাধ্যম পোকরভস্ককে বলছে ‘দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার’ এবং এ কারণেই এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দর সিরস্কি মঙ্গলবার বলেন, ‘লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্রে সংখ্যাগত শ্রেষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষ তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে তিনটি বসতি দখল করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওলেক্সান্দ্রিভকা ও হুলিয়াপোলের দিকের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে।’

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, রুশ বাহিনীর ভয়াবহ গোলাবর্ষণে ‘প্রায় সব আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা কাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার’ পর পাঁচটি গ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলোর ওপর প্রায় ২ হাজার গোলা নিক্ষেপ করা হয়। জাপোরিঝিয়ার হুলিয়াপোল শহরের উত্তর-পূর্বে তিনটি গ্রাম নিয়ে এখনো তীব্র লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে।

সিরস্কি জানান, রুশ বাহিনী ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে ইউক্রেনীয় অবস্থানের মাঝখান দিয়ে ঢুকে পড়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, রুশ সেনাদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটির প্রতিটি মিটার রাশিয়ার শত শত সৈন্যের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।’

মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের রুশ দখলমুক্ত এলাকায় সফর করেন। সেখানে তিনি বলেন, পোকরভস্ক ও জাপোরিঝিয়ার পরিস্থিতি ‘কঠিন, আংশিকভাবে এমন আবহাওয়ার কারণে যা শত্রুর হামলার পক্ষে কাজ করছে।’ তিনি আরও জানান, কুপিয়ানস্কে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ‘কিছুটা ভালো’ এবং সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী ‘কিছু সাফল্য অর্জন করেছে।’

রাশিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পোকরভস্ক ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে, দুই দিক থেকে অগ্রসর হয়ে শহরটিকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নিচ্ছে। সিরস্কি মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেন, পোকরভস্ক দখলে রাশিয়া সেখানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে।

সম্প্রতি পোকরভস্ক ঘিরে যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরস্পরবিরোধী দাবি শোনা যাচ্ছে। রাশিয়া কয়েক দিন ধরে দাবি করছে তারা শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে, কিন্তু কিয়েভ বলছে এখনো শহরটির সঙ্গে মিরনোহ্রাদ পর্যন্ত সরবরাহ লাইন খোলা আছে। রাশিয়া আরও জানায়, তারা ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার কুপিয়ানস্ক শহরের পূর্বাংশ পুরোপুরি দখল করেছে।

হান্টার ছদ্ম নামের এক রুশ কমান্ডার বলেন, তাঁর বাহিনী কুপিয়ানস্কের পূর্ব প্রান্তের একটি তেল ডিপো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, কুপিয়ানস্কের দক্ষিণে একাধিক রেলস্টেশনও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।

সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সারিতে এখন মারাত্মক জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার ড্রোন-শক্তির আধিপত্যের কারণে ফ্রন্টলাইনের নানা স্থানে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর ফলে তিন বছর ছয় মাসের বেশি সময়ের এই যুদ্ধে রুশ বাহিনী একাধিক জায়গায় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বীর ২৪০০ বছর কারাদণ্ড চাইল রাষ্ট্রপক্ষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ১৭
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর ২৪০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর ২৪০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর ২ হাজার বছরের বেশি কারাদণ্ডাদেশের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আদালতের নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। খবর লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের।

প্রায় ৪ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) এই মেয়রের বিরুদ্ধে অপরাধী চক্র পরিচালনা, ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং, চাঁদাবাজি ও দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এই অভিযোগের ফলে জনপ্রিয় বিরোধীদলীয় এই নেতার সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ইমামোগলু ‘এক অক্টোপাসের মতো’ তুরস্কজুড়ে বিস্তৃত একটি অপরাধচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

গত ১৯ মার্চ ইমামোগুলোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল সিএইচপি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তাঁর দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ২০২৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ইমামোগলু ছিলেন এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, যিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

তাঁকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আরও কয়েকজন সিএইচপি মেয়র, কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদকেও আটক করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। বিরোধীদলীয় নেতা ও কর্মীরা নিয়মিত প্রতিবাদ ও সমাবেশ করছেন, যাঁদের মধ্যে অনেকেই সিএইচপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন।

জবাবে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ হাজার মানুষকে আটক করেছে, যদিও পরে তাদের বেশির ভাগকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে আঙ্কারার একটি আদালত সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেলের বিরুদ্ধে করা একটি আলাদা দুর্নীতি মামলা খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

ওই মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিএইচপির প্রাথমিক নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা হয়েছিল। কিন্তু আঙ্কারার ৪২তম দেওয়ানি আদালতের বিচারক মামলাটিকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে খারিজ করে দেন। মঙ্গলবার ওজেল আবারও নিশ্চিত করেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিএইচপির প্রার্থী হবেন একরেম ইমামোগলু। তিনি পার্লামেন্ট ভাষণে বলেন, ‘একজন মানুষ কি একসঙ্গে নির্বাচনী জালিয়াত, জাল আদেশধারী, চোর, সন্ত্রাসী ও গুপ্তচর হতে পারেন?’

ওজেল বলেন, ‘একজন নির্দোষ মানুষকে এই অভিযোগগুলোর যেকোনো একটির জন্য অভিযুক্ত করাও বড় অন্যায়। কিন্তু যখন সব অভিযোগ এক ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটাই আসল অপরাধ… তার একমাত্র অপরাধ হচ্ছে এই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত