আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আগামী ৪ দিনের মধ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান। তাঁর এই আহ্বানে এখনো সাড়া না দিলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে কিয়েভ প্রস্তুত। পুতিনের আহ্বানকে তিনি ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দিলেও আলোচনা শুরুর আগেই যুদ্ধবিরতি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুতিনের ইস্তাম্বুলে আলোচনার প্রস্তাবের সরাসরি জবাব না দিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি ইতিবাচক লক্ষণ যে, রুশরা অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা ভাবতে শুরু করেছে। সারা বিশ্ব এটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিল এবং যেকোনো যুদ্ধ সত্যিকার অর্থে শেষ করার প্রথম পদক্ষেপই হলো যুদ্ধবিরতি।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আর একদিনও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। আমরা আশা করি, রাশিয়া আগামীকাল, ১২ মে থেকে একটি পূর্ণ, দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করবে। আর ইউক্রেন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
এর আগে, গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এক বিবৃতিতে পুতিন জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাশিয়া প্রস্তুত। আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসা উচিত। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে চাই। এই সংঘাতের আসল কারণ কী—সেটি খুঁজে বের করে তা সমাধানে এগিয়ে যেতে চাই। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চাই আমরা। চলতি মাসের ১৫ তারিখের আগেই আলোচনায় বসতে চাই।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁসহ অন্য ইউরোপীয় নেতাদের রাশিয়া সফরের কয়েক ঘণ্টা পরই পুতিন এমন ঘোষণা দেন। রাশিয়াকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল না।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে চিন্তা করবে মস্কো। তবে, চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করলে কোনো লাভ হবে না।’ পেসকভের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্যকে ‘আগ্রাসী’ অভিহিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বলা হয়, তাঁদের এই বক্তব্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কোনো চেষ্টার প্রতিফলন নয়।
আজ রোববার, পুতিন জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শিগগিরই বিস্তারিত আলোচনা করবেন তিনি। তবে, এ ইস্যুতে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।
শনিবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর ওই দিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে কিয়েভ যান ইউরোপীয় নেতাদের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ জোটের বেশ কয়েকজন সদস্য। রাশিয়ার বিজয় দিবস উদ্যাপনে মস্কোতে চীনের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন পুতিন। এর জবাবে আন্তর্জাতিক সমর্থনের শক্তি প্রদর্শনে ইউরোপীয় নেতাদের কিয়েভে আমন্ত্রণ জানান জেলেনস্কি।
বৈঠক শেষে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা। সেখানে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুতিন যদি জল, স্থল ও আকাশপথে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হন, তাহলে রাশিয়ার জ্বালানি ও ব্যাংক খাতে নতুন করে বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তাঁরা জানান, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। পরে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানান, তাঁদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি যে মানতে হবে সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আগামী ৪ দিনের মধ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান। তাঁর এই আহ্বানে এখনো সাড়া না দিলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে কিয়েভ প্রস্তুত। পুতিনের আহ্বানকে তিনি ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দিলেও আলোচনা শুরুর আগেই যুদ্ধবিরতি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুতিনের ইস্তাম্বুলে আলোচনার প্রস্তাবের সরাসরি জবাব না দিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি ইতিবাচক লক্ষণ যে, রুশরা অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা ভাবতে শুরু করেছে। সারা বিশ্ব এটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিল এবং যেকোনো যুদ্ধ সত্যিকার অর্থে শেষ করার প্রথম পদক্ষেপই হলো যুদ্ধবিরতি।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আর একদিনও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। আমরা আশা করি, রাশিয়া আগামীকাল, ১২ মে থেকে একটি পূর্ণ, দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করবে। আর ইউক্রেন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
এর আগে, গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এক বিবৃতিতে পুতিন জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাশিয়া প্রস্তুত। আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসা উচিত। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে চাই। এই সংঘাতের আসল কারণ কী—সেটি খুঁজে বের করে তা সমাধানে এগিয়ে যেতে চাই। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চাই আমরা। চলতি মাসের ১৫ তারিখের আগেই আলোচনায় বসতে চাই।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁসহ অন্য ইউরোপীয় নেতাদের রাশিয়া সফরের কয়েক ঘণ্টা পরই পুতিন এমন ঘোষণা দেন। রাশিয়াকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল না।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে চিন্তা করবে মস্কো। তবে, চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করলে কোনো লাভ হবে না।’ পেসকভের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্যকে ‘আগ্রাসী’ অভিহিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বলা হয়, তাঁদের এই বক্তব্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কোনো চেষ্টার প্রতিফলন নয়।
আজ রোববার, পুতিন জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শিগগিরই বিস্তারিত আলোচনা করবেন তিনি। তবে, এ ইস্যুতে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।
শনিবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর ওই দিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে কিয়েভ যান ইউরোপীয় নেতাদের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ জোটের বেশ কয়েকজন সদস্য। রাশিয়ার বিজয় দিবস উদ্যাপনে মস্কোতে চীনের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন পুতিন। এর জবাবে আন্তর্জাতিক সমর্থনের শক্তি প্রদর্শনে ইউরোপীয় নেতাদের কিয়েভে আমন্ত্রণ জানান জেলেনস্কি।
বৈঠক শেষে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা। সেখানে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুতিন যদি জল, স্থল ও আকাশপথে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হন, তাহলে রাশিয়ার জ্বালানি ও ব্যাংক খাতে নতুন করে বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তাঁরা জানান, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। পরে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানান, তাঁদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি যে মানতে হবে সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৩৯ মিনিট আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
১ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
২ ঘণ্টা আগেশচীন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ছিলেন। পেটে চামচ ও টুথব্রাশ কীভাবে এল—জানতে চাইলে শচীন বলেন, ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগীদের সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়া হতো। ক্ষুধার চোটে ক্ষুব্ধ হয়ে স্তূপ করা বাসনকোসন থেকে চামচ চুরি করে খেতাম।’
৩ ঘণ্টা আগে