Ajker Patrika

আলোচনায় ন্যাটোর আর্টিকেল ৪

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৪০
আলোচনায় ন্যাটোর আর্টিকেল ৪

ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) আলোচনায় বসার কথা উঠেছে। এ আলোচনায় সংগঠনের আর্টিকেল-৪ প্রধান ভূমিকায় থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ন্যাটোর আর্টিকেল-৪-এ কোনো সদস্য দেশ অন্য কোনো দেশ বা সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে হুমকি বোধ করলে সে বিষয় নিয়ে সংগঠনের অবস্থান ও করণীয় নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।

৩০ সদস্যের এই সংগঠনের কোনো সদস্যের পক্ষ থেকে এমন হুমকি পাওয়ার কথা বলা হলে সদস্যরা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে। সেই হুমকির অস্তিত্ব ও মোকাবিলার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেউ একজন ভেটো দিলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা যায় না। তবে আর্টিকেল-৪ কখনোই সংগঠনকে সরাসরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে না।

এই আলোচনা প্রক্রিয়া এর আগেও বেশ কয়েকবার অনুশীলন করেছে ন্যাটো। উদাহরণ হিসেবে সিরিয়া থেকে হামলায় তুর্কি সেনা নিহতের ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। বছরখানেক আগে সিরিয়া থেকে হামলায় তুরস্কের কয়েকজন সেনা নিহত হন। তখন বিষয়টি নিয়ে ন্যাটো আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বৈঠক থেকে কোনো পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত আসেনি। 

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরপরই ন্যাটো সদস্য এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড আর্টিকেল-৪ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে। তাদের সঙ্গে স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়া যুক্ত হয়েছে। এই দেশগুলো ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর অংশ। সেখানে এখন মোতায়েন আছে প্রায় ৬ হাজার মার্কিন, ১ হাজার ব্রিটিশ ও ৩৫০ জন জার্মান সেনা। পাশাপাশি ন্যাটো সদস্যদেরও কিছু সেনা রয়েছে।

ন্যাটোর গঠনতন্ত্রে আর্টিকেল-৫-এর সঙ্গে আর্টিকেল-৪-এর বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। আর্টিকেল-৫ অনুযায়ী, কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে বাকি সবার সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। ন্যাটোর ইতিহাসে একবার মাত্র ন্যাটোর আর্টিকেল-৫ কার্যকর করা হয়েছে। নাইন ইলেভেনে টুইন টাওয়ার হামলার পর ২০০১ সালে এই আর্টিকেল অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটির ভিত্তিতেই সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ন্যাটোর গঠনতন্ত্র ও চুক্তিগুলো শুধু সদস্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। ফলে তার ক্ষেত্রে ন্যাটোর আর্টিকেল-৪ বা ৫ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। অবশ্য ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করে নেওয়ার মার্কিন উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতেই রাশিয়া এমন আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত