একটি বিচারাধীন মামলায় অভিযোগ উঠেছে অন্তত ৫১ জন পুরুষের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মধ্যযুগীয় গ্রাম মাজানের গিসেল পেলিকট। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হলো, এসব ধর্ষণের জন্য নিজের সাবেক স্বামী ডমিনিক পেলিকটকে অভিযুক্ত করেছেন গিসেল। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাভিগননের প্যালেস অব জাস্টিসে মামলাটির বিচার চলছে। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলা মাজানসহ ফ্রান্সের বিপুলসংখ্যক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী গিসেল তাঁর সাবেক স্বামীর দ্বারা এক দশকজুড়ে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দাবি করেছেন, সাবেক স্বামী তাঁকে মাদকাসক্ত করে অন্তত ৮০ জন পুরুষের দ্বারা যৌন আক্রমণের চিত্র ধারণ করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গুরুতর ওই অপরাধের মামলাটিকে শক্তিশালী রূপ দেওয়ার জন্য নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্ত পরিত্যাগ করেছিলেন গিসেল পেলিকট। এই বিচার এখন ছিমছাম মাজান গ্রামটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এই গ্রামেই গিসেল এবং তাঁর স্বামী ডমিনিক থাকতেন। মামলাটির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। কারণ গিসেলকে ধর্ষণের দায়ে যেসব অভিযুক্তের নাম বেরিয়ে আসছে তাঁদের অনেকেই চেনাজানা এবং কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা। তা ছাড়া অভিযুক্তদের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করার ফলে গ্রামটিতে হয়রানি ও উত্তেজনাও বেড়েছে। গ্রামবাসী কাকে বিশ্বাস করবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় নারীরা আশঙ্কা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, কিছু সন্দেহভাজনের নাম এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেছে।
মাজানের মেয়র লুই বননেট অবশ্য গ্রামের সুনাম রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বেশির ভাগই গ্রামের বাইরের মানুষ। তবে তাঁর এমন মন্তব্যও এখন সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে। সমালোচকেরা বলছেন, গিসেল পেলিকটের আঘাতের তীব্রতাকে খাটো করে দেখছেন মেয়র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আদালতের ভেতরেও উত্তেজনা বিরাজ করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে রাখা হয়েছে। আদালতের তাঁদেরকে একটি কাচের দেয়াল ঘেরা স্থানে রাখা হয়েছিল। ফরাসি আইন অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দিলেও তাঁদের কেউ কেউ মুখোশ বা হুডযুক্ত পোশাক দিয়ে তাদের মুখ লুকানোর চেষ্টা করেছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, মামলাটি ফ্রান্সের বৃহত্তর সামাজিক সমস্যার একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। গিসেল পেলিকোটের সাহসিকতাও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছেন।
মঙ্গলবার গিসেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন মার্টিনও উপস্থিত ছিলেন। মায়ের ওপর হওয়া অবিচারের বিচার দাবি করেছেন তিনিও।
একটি বিচারাধীন মামলায় অভিযোগ উঠেছে অন্তত ৫১ জন পুরুষের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মধ্যযুগীয় গ্রাম মাজানের গিসেল পেলিকট। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হলো, এসব ধর্ষণের জন্য নিজের সাবেক স্বামী ডমিনিক পেলিকটকে অভিযুক্ত করেছেন গিসেল। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাভিগননের প্যালেস অব জাস্টিসে মামলাটির বিচার চলছে। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলা মাজানসহ ফ্রান্সের বিপুলসংখ্যক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী গিসেল তাঁর সাবেক স্বামীর দ্বারা এক দশকজুড়ে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দাবি করেছেন, সাবেক স্বামী তাঁকে মাদকাসক্ত করে অন্তত ৮০ জন পুরুষের দ্বারা যৌন আক্রমণের চিত্র ধারণ করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গুরুতর ওই অপরাধের মামলাটিকে শক্তিশালী রূপ দেওয়ার জন্য নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্ত পরিত্যাগ করেছিলেন গিসেল পেলিকট। এই বিচার এখন ছিমছাম মাজান গ্রামটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এই গ্রামেই গিসেল এবং তাঁর স্বামী ডমিনিক থাকতেন। মামলাটির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। কারণ গিসেলকে ধর্ষণের দায়ে যেসব অভিযুক্তের নাম বেরিয়ে আসছে তাঁদের অনেকেই চেনাজানা এবং কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা। তা ছাড়া অভিযুক্তদের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করার ফলে গ্রামটিতে হয়রানি ও উত্তেজনাও বেড়েছে। গ্রামবাসী কাকে বিশ্বাস করবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় নারীরা আশঙ্কা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, কিছু সন্দেহভাজনের নাম এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেছে।
মাজানের মেয়র লুই বননেট অবশ্য গ্রামের সুনাম রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বেশির ভাগই গ্রামের বাইরের মানুষ। তবে তাঁর এমন মন্তব্যও এখন সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে। সমালোচকেরা বলছেন, গিসেল পেলিকটের আঘাতের তীব্রতাকে খাটো করে দেখছেন মেয়র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আদালতের ভেতরেও উত্তেজনা বিরাজ করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে রাখা হয়েছে। আদালতের তাঁদেরকে একটি কাচের দেয়াল ঘেরা স্থানে রাখা হয়েছিল। ফরাসি আইন অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দিলেও তাঁদের কেউ কেউ মুখোশ বা হুডযুক্ত পোশাক দিয়ে তাদের মুখ লুকানোর চেষ্টা করেছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, মামলাটি ফ্রান্সের বৃহত্তর সামাজিক সমস্যার একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। গিসেল পেলিকোটের সাহসিকতাও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছেন।
মঙ্গলবার গিসেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন মার্টিনও উপস্থিত ছিলেন। মায়ের ওপর হওয়া অবিচারের বিচার দাবি করেছেন তিনিও।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৭ ঘণ্টা আগে