আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউরোপ ভ্রমণে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে এই শরতে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বহু প্রতীক্ষিত ডিজিটাল বর্ডার সিস্টেম এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)। নিরাপত্তা জোরদার ও ভ্রমণকে আরও সহজ করার লক্ষ্য থাকলেও শুরুর দিকে এ নিয়মে দীর্ঘ লাইনের আশঙ্কা রয়েছে।
ইইএস কী, কোথায় চালু হবে
ইইএস মূলত একটি ডিজিটাল সিস্টেম, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন দেশগুলোর নাগরিকেরা কখন শেনজেন এলাকায় প্রবেশ করছেন এবং কখন বের হচ্ছেন, তা নথিভুক্ত করবে। শেনজেন মূলত একটি চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা অবাধে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারেন। শেনজেনের আওতায় ইউরোপের মোট ২৯টি দেশ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা কোনো ধরনের সীমান্ত বাধা ছাড়াই এই অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারেন। বর্তমান পদ্ধতিতে সীমান্ত কর্মকর্তারা হাতে হাতে পাসপোর্টে সিল মেরে প্রবেশ-প্রস্থান নথিভুক্ত করেন।
কবে শুরু হচ্ছে
বেশ কয়েক দফা বিলম্বের পর ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, ১২ অক্টোবর থেকে ইইএস ধাপে ধাপে চালু হবে এবং ছয় মাস ধরে পর্যায়ক্রমে বিস্তৃত হবে।
এ ক্ষেত্রে ডোভার বন্দরে প্রথমে কোচযাত্রীদের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে এটি চালু হবে। অন্যান্য পর্যটক যাত্রীদের জন্য ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। দ্রুতগতির ট্রেন লাইন ইউরোস্টার টার্মিনালে শুরুতে সীমিতসংখ্যক ব্যবসায়ী যাত্রী নতুন সিস্টেম ব্যবহার করবেন, পরে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। ইউরোটানেলও ১২ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে চালু করবে। ২০২৬ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে শেনজেনভুক্ত ২৯টি দেশের প্রতিটি শেনজেন সীমান্তে ইইএস সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।
যাত্রীদের কী করতে হবে
প্রথমবার সিস্টেম ব্যবহারকালে অধিকাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশের নাগরিকদের (যেমন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা) পাসপোর্ট স্ক্যানের পাশাপাশি বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) দিতে হবে। বিমানযাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন গন্তব্য হবে বিমানবন্দরে। আর ডোভার, ইউরোটানেল বা ইউরোস্টার দিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশকারীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যাত্রার শুরুতেই।
এ জন্য স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক মেশিন বসানো হয়েছে। যাত্রীদের সেখানে পাসপোর্ট স্ক্যান, আঙুলের ছাপ ও ছবি দিতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের আঙুলের ছাপ লাগবে না।
এ ছাড়া ভ্রমণসংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে—যেমন, কোথায় থাকবেন, পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে কি না ইত্যাদি।
ইউরোস্টার লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস টার্মিনালে ইতিমধ্যে ৪৯টি কিয়স্ক বসানো হয়েছে। ইউরোটানেলে চালু করা হয়েছে শতাধিক কিয়স্ক। একটি মোবাইল অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে, যাতে আগেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। তবে শুরুতে এটি সীমিত আকারে ব্যবহার হবে।
একবার নিবন্ধন করলে তা তিন বছরের জন্য বৈধ থাকবে। প্রতিবার ভ্রমণে শুধু যাচাই করা হবে।
উদ্বেগ কোথায়
মূল উদ্বেগ হলো, শুরুর দিকে ভিড় ও দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে, জায়গা সংকুলান কম হওয়ায় ডোভারে দীর্ঘ বিলম্ব হতে পারে। এ জন্য সেখানে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আবার ম্যানুয়াল সিল মারার পদ্ধতিও চালু করা যাবে।
ইউরোস্টার অবশ্য শুরুতে সীমিতসংখ্যক যাত্রীদের জন্য সিস্টেমটি চালু করছে, যাতে ভিড় কমানো যায়।
সামনে আসছে ইটিআইএএস
ইইএস-এর ভিত্তিতে ইইউ আরও একটি ভিসা ওয়েভার সিস্টেম চালু করবে, নাম হবে ‘ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সিস্টেম’ বা ইটিআইএএস। এই পদ্ধতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন দেশগুলোর যেসব নাগরিককে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তাঁদের ভ্রমণের আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
ইটিআইএএস ২০২৬ সালের শেষদিকে চালু হওয়ার কথা। এর ফি হবে ২০ ইউরো এবং এটি তিন বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে ১৮ বছরের নিচে ও ৭০ বছরের ওপরে আবেদনকারীদের ফি দিতে হবে না।
নতুন এই সিস্টেমগুলো কার্যকর হলে নিরাপত্তা বাড়বে ও ভ্রমণ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও শুরুর দিকে ভ্রমণকারীদের কিছুটা ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ইউরোপ ভ্রমণে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে এই শরতে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বহু প্রতীক্ষিত ডিজিটাল বর্ডার সিস্টেম এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)। নিরাপত্তা জোরদার ও ভ্রমণকে আরও সহজ করার লক্ষ্য থাকলেও শুরুর দিকে এ নিয়মে দীর্ঘ লাইনের আশঙ্কা রয়েছে।
ইইএস কী, কোথায় চালু হবে
ইইএস মূলত একটি ডিজিটাল সিস্টেম, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন দেশগুলোর নাগরিকেরা কখন শেনজেন এলাকায় প্রবেশ করছেন এবং কখন বের হচ্ছেন, তা নথিভুক্ত করবে। শেনজেন মূলত একটি চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা অবাধে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারেন। শেনজেনের আওতায় ইউরোপের মোট ২৯টি দেশ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা কোনো ধরনের সীমান্ত বাধা ছাড়াই এই অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারেন। বর্তমান পদ্ধতিতে সীমান্ত কর্মকর্তারা হাতে হাতে পাসপোর্টে সিল মেরে প্রবেশ-প্রস্থান নথিভুক্ত করেন।
কবে শুরু হচ্ছে
বেশ কয়েক দফা বিলম্বের পর ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, ১২ অক্টোবর থেকে ইইএস ধাপে ধাপে চালু হবে এবং ছয় মাস ধরে পর্যায়ক্রমে বিস্তৃত হবে।
এ ক্ষেত্রে ডোভার বন্দরে প্রথমে কোচযাত্রীদের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে এটি চালু হবে। অন্যান্য পর্যটক যাত্রীদের জন্য ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। দ্রুতগতির ট্রেন লাইন ইউরোস্টার টার্মিনালে শুরুতে সীমিতসংখ্যক ব্যবসায়ী যাত্রী নতুন সিস্টেম ব্যবহার করবেন, পরে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। ইউরোটানেলও ১২ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে চালু করবে। ২০২৬ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে শেনজেনভুক্ত ২৯টি দেশের প্রতিটি শেনজেন সীমান্তে ইইএস সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।
যাত্রীদের কী করতে হবে
প্রথমবার সিস্টেম ব্যবহারকালে অধিকাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশের নাগরিকদের (যেমন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা) পাসপোর্ট স্ক্যানের পাশাপাশি বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) দিতে হবে। বিমানযাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন গন্তব্য হবে বিমানবন্দরে। আর ডোভার, ইউরোটানেল বা ইউরোস্টার দিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশকারীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যাত্রার শুরুতেই।
এ জন্য স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক মেশিন বসানো হয়েছে। যাত্রীদের সেখানে পাসপোর্ট স্ক্যান, আঙুলের ছাপ ও ছবি দিতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের আঙুলের ছাপ লাগবে না।
এ ছাড়া ভ্রমণসংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে—যেমন, কোথায় থাকবেন, পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে কি না ইত্যাদি।
ইউরোস্টার লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস টার্মিনালে ইতিমধ্যে ৪৯টি কিয়স্ক বসানো হয়েছে। ইউরোটানেলে চালু করা হয়েছে শতাধিক কিয়স্ক। একটি মোবাইল অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে, যাতে আগেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। তবে শুরুতে এটি সীমিত আকারে ব্যবহার হবে।
একবার নিবন্ধন করলে তা তিন বছরের জন্য বৈধ থাকবে। প্রতিবার ভ্রমণে শুধু যাচাই করা হবে।
উদ্বেগ কোথায়
মূল উদ্বেগ হলো, শুরুর দিকে ভিড় ও দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে, জায়গা সংকুলান কম হওয়ায় ডোভারে দীর্ঘ বিলম্ব হতে পারে। এ জন্য সেখানে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আবার ম্যানুয়াল সিল মারার পদ্ধতিও চালু করা যাবে।
ইউরোস্টার অবশ্য শুরুতে সীমিতসংখ্যক যাত্রীদের জন্য সিস্টেমটি চালু করছে, যাতে ভিড় কমানো যায়।
সামনে আসছে ইটিআইএএস
ইইএস-এর ভিত্তিতে ইইউ আরও একটি ভিসা ওয়েভার সিস্টেম চালু করবে, নাম হবে ‘ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সিস্টেম’ বা ইটিআইএএস। এই পদ্ধতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয়—এমন দেশগুলোর যেসব নাগরিককে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তাঁদের ভ্রমণের আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
ইটিআইএএস ২০২৬ সালের শেষদিকে চালু হওয়ার কথা। এর ফি হবে ২০ ইউরো এবং এটি তিন বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে ১৮ বছরের নিচে ও ৭০ বছরের ওপরে আবেদনকারীদের ফি দিতে হবে না।
নতুন এই সিস্টেমগুলো কার্যকর হলে নিরাপত্তা বাড়বে ও ভ্রমণ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও শুরুর দিকে ভ্রমণকারীদের কিছুটা ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) আননা কন্টুলা জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসার আগে তিনি দীর্ঘ সময় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। শনিবার প্রকাশিত ‘হেলসিঙ্গিন সানোমাত’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন—১৬ বছর বয়সে ছাত্রাবাসে থাকার সময় আর্থিক সংকট ও কৌতূহল থেকে তিনি ‘এসকর্ট’ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।
১ মিনিট আগেইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি দেশটির তেল খাতে দুর্নীতি ও চোরাচালানের অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, ইরানি অপরিশোধিত তেলকে ইরাকি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার এক বছর পর নানা ধরনের অভিজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো এবং ক্লাসে বিভ্রান্তি কমানো। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে২০০৬ সালে লিউকোমিয়ায় মারা যাওয়া এক কিশোরকে প্রথম মিলেনিয়াল প্রজন্মের ‘সন্ত’ বা ‘সাধু’ বা ‘সেইন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ক্যাথলিক চার্চ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভ্যাটিকানে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০ হাজার তরুণ-তরুণীর উপস্থিতিতে পোপ লিও এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।
৬ ঘণ্টা আগে