আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।
ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বন্দিবিনিমিয় এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে উদ্যাপন শুরু হয়েছে। ইসরায়েলিরা বন্দী ফিরে পাবে এই আনন্দে উদ্যাপন করছে। অন্যদিকে হামলা বন্ধের আনন্দ উদ্যাপন করছে গাজাবাসী। তবে তাঁদের এই উদ্যাপনের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বিষাদ।
৪ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের গাজায় দুই বছর ধরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় অবশেষে গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে তারা। গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেয় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ঘরে ফিরতে শুরু করেছে গাজাবাসী। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার সৈকতে আছড়ে পড়ছে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ আর পাশের সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে গাজা শহর এবং উত্তর গাজার দিকে যাচ্ছে তারা।
৫ ঘণ্টা আগেভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো জিতলেন এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। গতকাল শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি বলেছে, ২০২৫ সালের শান্তির নোবেল এমন একজনের হাতে যাচ্ছে, যিনি সাহসী এবং শান্তির জন্য লড়াই জারি রেখেছেন। একই সঙ্গে অন্ধকার সময়ে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের আলো...
৫ ঘণ্টা আগে