Ajker Patrika

ভারতীয় পণ্যে ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক: জেলেনস্কি বললেন, ‘সঠিক কাজ হয়েছে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে, এমন দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে একে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান ‘রুশ আগ্রাসনে’ জ্বালানি-বাণিজ্যও মস্কোর একটি অস্ত্র। তিনি মনে করেন যেকোনো মূল্যে বহির্বিশ্বে তাদের জ্বালানি-বাণিজ্য বন্ধ করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানানো হয়, ভারত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনে বলেই অতিরিক্ত এই শুল্কারোপ। মার্কিন এই পদক্ষেপে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত। একে আখ্যা দিয়েছে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে।

এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যারা এখনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধরে রেখেছে, তাদের ওপর শুল্কারোপ আমার কাছে “সঠিক” বলেই মনে করি আমি।’

এ সময় যেসব ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি নিচ্ছে, তাদেরও সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘হত্যাকারীর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়াই তাকে থামানোর একমাত্র উপায়। আর রাশিয়ার অস্ত্র তার জ্বালানি। আমাদের এই জ্বালানি কেনা বন্ধ করেই তাকে চাপে ফেলতে হবে। আর তা নিশ্চিতে মার্কিন পদক্ষেপ দরকার। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কাজই করছে।’

ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আলাস্কায় বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলেনস্কি বলেন, ‘এটা দুঃখের বিষয় যে ইউক্রেন সেখানে ছিল না।’ তাঁর দাবি—পুতিন বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছিলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি সেখানে বৈঠক করছেন। আর তাঁর ওই ইচ্ছাই পূরণ করেছেন ট্রাম্প।’

এ সময় যুদ্ধ নিয়ে আলাপ করতে জেলেনস্কিকে পুতিনের মস্কোয় আমন্ত্রণ প্রসঙ্গও উঠে আসে। ওই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার দেশ যখন মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার, তখন আমি মস্কোয় যেতে পারি না। তবে, পুতিনকে আমি কিয়েভে আসার আহ্বান জানাই। আমরা এখানে আলোচনা করতে পারি।’

এদিকে, গতকাল রোববারই ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় ইউক্রেনজুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে রাজধানী কিয়েভের সরকারি বেশ কিছু অফিস।

এই হামলার জেরে রাশিয়া ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুব একটা খুশি নন’ এবং মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাবছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত