রাশিয়াকে কোনো ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত নয় ইউক্রেন। এমনকি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কোনো অঞ্চল ছেড়ে দিতেও রাজি নয় দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দ্রুত রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। ট্রাম্পের ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে এ কথা বলেন ওয়াশিংটন সফররত আন্দ্রেই ইয়ারমাক।
এ সময় ইয়ারমাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধে কীভাবে ন্যায়সংগত শান্তি অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে কিয়েভ যেকোনো পরামর্শ শুনতে রাজি। তবে আমরা মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতাসহ সার্বভৌমত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।’
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রধান্য পাবে বা আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ। এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই মূলত ইয়ারমাকের যুক্তরাষ্ট্র সফর।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। তবে তিনি কীভাবে এটি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো রূপরেখা দেননি।
তবে গত সপ্তাহে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের দুই উপদেষ্টা তাঁকে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কিয়েভ যদি মস্কোর সাথে আলোচনায় না বসে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সকল সহায়তা বন্ধের হুমকি দেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন, কিয়েভ যদি মস্কোর দাবি করা ইউক্রেনের পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হয় তবে রাশিয়া যুদ্ধ গুটিয়ে নেবে। তবে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই দাবি গ্রহণ করেননি। যুদ্ধ বন্ধে করতে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ইয়ারমাক বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না। দেখা যাক।’
ইউক্রেনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে নতুন করে মার্কিন প্রশাসনকে তদবির করবেন বলেও উল্লেখ করে ইয়ারমাক। তিনি বলেন, ‘কিয়েভ সব সময় ওয়াশিংটন থেকে দুই দলেরই (রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট) সমর্থন পেয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, যুদ্ধের দুই বছর পরও বেশির ভাগ আমেরিকান এখনো ইউক্রেনকে সমর্থন করেন।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে এ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। সর্বশেষ, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ইউক্রেনের জন্য আরও ২৩০ কোটি ডলারের বেশি নতুন নিরাপত্তা সহায়তা ঘোষণা করবে।
রাশিয়াকে কোনো ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত নয় ইউক্রেন। এমনকি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কোনো অঞ্চল ছেড়ে দিতেও রাজি নয় দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দ্রুত রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। ট্রাম্পের ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে এ কথা বলেন ওয়াশিংটন সফররত আন্দ্রেই ইয়ারমাক।
এ সময় ইয়ারমাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধে কীভাবে ন্যায়সংগত শান্তি অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে কিয়েভ যেকোনো পরামর্শ শুনতে রাজি। তবে আমরা মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতাসহ সার্বভৌমত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।’
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রধান্য পাবে বা আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ। এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই মূলত ইয়ারমাকের যুক্তরাষ্ট্র সফর।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। তবে তিনি কীভাবে এটি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো রূপরেখা দেননি।
তবে গত সপ্তাহে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের দুই উপদেষ্টা তাঁকে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কিয়েভ যদি মস্কোর সাথে আলোচনায় না বসে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সকল সহায়তা বন্ধের হুমকি দেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন, কিয়েভ যদি মস্কোর দাবি করা ইউক্রেনের পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হয় তবে রাশিয়া যুদ্ধ গুটিয়ে নেবে। তবে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই দাবি গ্রহণ করেননি। যুদ্ধ বন্ধে করতে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ইয়ারমাক বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না। দেখা যাক।’
ইউক্রেনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে নতুন করে মার্কিন প্রশাসনকে তদবির করবেন বলেও উল্লেখ করে ইয়ারমাক। তিনি বলেন, ‘কিয়েভ সব সময় ওয়াশিংটন থেকে দুই দলেরই (রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট) সমর্থন পেয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, যুদ্ধের দুই বছর পরও বেশির ভাগ আমেরিকান এখনো ইউক্রেনকে সমর্থন করেন।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে এ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। সর্বশেষ, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ইউক্রেনের জন্য আরও ২৩০ কোটি ডলারের বেশি নতুন নিরাপত্তা সহায়তা ঘোষণা করবে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা থেকে ইরানকে বিরত রাখতে চীন উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, দেশটির পার্লামেন্ট প্রণালিটি বন্ধ করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন
১ ঘণ্টা আগেচলমান সংঘাতের মধ্যেই পবিত্র মহররম মাসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইরানিরা। হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। পুরো মুসলিম বিশ্ব তো বটেই, শিয়া মুসলিমদের কাছে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এই মাস। চাঁদের ওপর নির্ভর করে আগামী ২৬ অথবা ২৭ জুন শুরু হতে যাচ্ছে নতুন হিজরি সন।
১ ঘণ্টা আগেচলমান মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার মুখেও ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি জানিয়েছেন, তেহরান এনপিটির ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য’ হিসেবেই থাকবে।
২ ঘণ্টা আগেচীনের কাছে গোপন সামরিক তথ্য বিক্রির চেষ্টা করেছে বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা সার্জেন্ট জোসেফ ড্যানিয়েল শ্মিট। গত শুক্রবার তিনি সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন।
২ ঘণ্টা আগে