
ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে