আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।

রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৪ ঘণ্টা আগে
ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুপিয়ানস্কের কাছে ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থার অবনতি দ্রুত ঘটছে। রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া, এখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালানোর আর কোনো পথ নেই।
রুশ সেনাবাহিনীর ৬৮ তম মোটরাইজড রাইফেল ডিভিশনের ১২১ তম রেজিমেন্টের কমান্ডার, যার কল সাইন লাভরিক—বলেছেন, তাঁর ইউনিট কেবল বুধবারই শহরে ২৫টি ভবন ক্লিয়ার করেছে এবং ‘অগ্রগতি অব্যাহত।’ তিনি এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহর সম্পূর্ণ মুক্ত হবে। আমাদের মনোবল খুবই ভালো, এবং আমরা আমাদের মিশন সফল করব।’
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ক্রাসনোআর্মেইস্ক শহর রুশ সেনারা ঘেরাও করেছে। তিনি ঘেরাও হওয়া সৈন্যদের সম্মানজনকভাবে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
মস্কোর হিসাব অনুযায়ী, দুই শহরে ১০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়েছে। কিয়েভ এখনো জানায়নি যে, তারা শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে এবং রাশিয়ান সেনারা পিছিয়ে পড়ছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, ‘ভেতরের বিশ্লেষণ অন্য গল্প বলছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও সেনা কমান্ডার জানিয়েছেন, ‘গুরুতর পরাজয়ের’ আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগে দাবি করেছিলেন, কুপিয়ানস্কের কাছে রাশিয়ান সেনার উপস্থিতি মাত্র ৬০ জন এবং ইউক্রেনীয় সেনারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেলেনস্কি ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।’ তারা জানিয়েছে, ‘কিয়েভ রেজিমের প্রধান বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনীয় (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান আলেকজান্দর) সিরস্কির ভুল রিপোর্ট শোনার পর, তার কাছে মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেই।’
কুপিয়ানস্ক উত্তর–পূর্ব রণাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে বিবেচিত। রাশিয়ার সেনারা আগে শহরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছিল। সেপ্টেম্বরে তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে শহরের কেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন, স্টেডিয়াম এবং টিভি টাওয়ারের কাছে তাদের সেনাদের দেখা যায়।

রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুপিয়ানস্কের কাছে ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থার অবনতি দ্রুত ঘটছে। রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া, এখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালানোর আর কোনো পথ নেই।
রুশ সেনাবাহিনীর ৬৮ তম মোটরাইজড রাইফেল ডিভিশনের ১২১ তম রেজিমেন্টের কমান্ডার, যার কল সাইন লাভরিক—বলেছেন, তাঁর ইউনিট কেবল বুধবারই শহরে ২৫টি ভবন ক্লিয়ার করেছে এবং ‘অগ্রগতি অব্যাহত।’ তিনি এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহর সম্পূর্ণ মুক্ত হবে। আমাদের মনোবল খুবই ভালো, এবং আমরা আমাদের মিশন সফল করব।’
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ক্রাসনোআর্মেইস্ক শহর রুশ সেনারা ঘেরাও করেছে। তিনি ঘেরাও হওয়া সৈন্যদের সম্মানজনকভাবে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
মস্কোর হিসাব অনুযায়ী, দুই শহরে ১০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়েছে। কিয়েভ এখনো জানায়নি যে, তারা শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে এবং রাশিয়ান সেনারা পিছিয়ে পড়ছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, ‘ভেতরের বিশ্লেষণ অন্য গল্প বলছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও সেনা কমান্ডার জানিয়েছেন, ‘গুরুতর পরাজয়ের’ আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগে দাবি করেছিলেন, কুপিয়ানস্কের কাছে রাশিয়ান সেনার উপস্থিতি মাত্র ৬০ জন এবং ইউক্রেনীয় সেনারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেলেনস্কি ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।’ তারা জানিয়েছে, ‘কিয়েভ রেজিমের প্রধান বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনীয় (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান আলেকজান্দর) সিরস্কির ভুল রিপোর্ট শোনার পর, তার কাছে মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেই।’
কুপিয়ানস্ক উত্তর–পূর্ব রণাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে বিবেচিত। রাশিয়ার সেনারা আগে শহরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছিল। সেপ্টেম্বরে তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে শহরের কেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন, স্টেডিয়াম এবং টিভি টাওয়ারের কাছে তাদের সেনাদের দেখা যায়।

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৪ ঘণ্টা আগে
ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূতিশীল সিটি হল, যা এই প্রচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এই নবনির্বাচিত মেয়র কুইন্সে সংবাদ সম্মেলনে পুরোপুরি নারী নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করেন। এই টিমের নির্বাহী পরিচালক ইলানা লিওপোল্ড। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকছেন সাবেক ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান লিনা খান, ইউনাইটেড ওয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্রেস বোনিলা এবং সাবেক ডেপুটি মেয়র ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস মেলানি হার্টজগ।
লিনা খানকে দলে নেওয়া মামদানির প্রশাসনে সংস্কারক নীতি প্রয়োগের ইঙ্গিত দেয়। জো বাইডেনের সময় এফটিসিতে আক্রমণাত্মক অ্যান্টি–ট্রাস্ট পদক্ষেপের জন্য খান জাতীয়ভাবে পরিচিত হন এবং প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল উভয় মহলে প্রশংসিত।
অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করার পর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এই শহর আমাদের প্রস্তুত দেখতে চায়। আমাদের হাতে আছে ৫৭ দিন—এটাই কাজ শুরু করার সময়।’ তাঁর জয় নিউইয়র্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়—প্রথম মুসলিম মেয়র, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এবং শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র।
তবে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুমকি দিয়েছেন, মামদানি দায়িত্ব নিলে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘যদি মামদানি জয়ী হন, নিউইয়র্কে আমি আইনে বাধ্য না হলে ফেডারেল ফান্ড দেব না।’ প্রায়ই তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দেন।
২০২৬ অর্থবছরে নিউইয়র্কের বাজেটে ফেডারেল তহবিল প্রায় ৭৪০ কোটি ডলার, যা মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। নির্বাচনের দিন ট্রাম্প আরও উসকানিমূলক পোস্টে লেখেন, ‘কোনো ইহুদি যদি জোহরান মামদানিকে ভোট দেয়, সে নির্বোধ।’ যদিও মামদানি বহুবার ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন।
প্রচারণাজুড়ে তাঁকে ঘিরে চলেছে তীব্র ইসলামবিদ্বেষী হামলা। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন ও অ্যান্ডি ওগলস বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করতে। টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান চিপ রয় নির্বাচনের আগে লেখেন, মামদানি ‘আধুনিক ডেমোক্র্যাট দলের প্রতীক’ এবং তাঁর নেতৃত্বে ‘একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ ঘটছে।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে মামদানিকে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ। এক মাসে ১৭ হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ হাজার পোস্ট হয়েছে, যা ৭৩ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে।
তবে মামদানি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা গত এক বছর যে নীতিগুলোর কথা বলেছি, আমি নিশ্চিত সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। রাজনীতি যাই হোক, নিউইয়র্কবাসীর সমস্যা একটাই—আমরা সবাই একই সংকটে ভুগছি।’
মামদানির প্রগতিশীল নীতিগুলোর মধ্যে আছে অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থির করা, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত, সর্বজনীন শিশুসেবা, শহর পরিচালিত মুদি দোকান ও ধনীদের ওপর বাড়তি কর। তাঁর প্রচার তহবিলে ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে সাধারণ দাতাদের কাছ থেকে, গড়ে প্রতি অনুদান প্রায় ৮০ ডলার।
মামদানির দপ্তর জানিয়েছে, শিগগিরই তাঁরা ডেপুটি মেয়র ও বিভিন্ন দপ্তরের কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, ‘কিছু নাম পরিচিত হবে, কিছু নতুন। কিন্তু সবাই এক লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ—পুরোনো সমস্যার নতুন সমাধান।’ মামদানি বলেন, ‘১ জানুয়ারি যখন আমরা নতুন প্রশাসনের শপথ নেব, নিউইয়র্কবাসী তখন শুধু নতুন মেয়র নয়, নতুন এক যুগকেও স্বাগত জানাবে—যেখানে প্রত্যেকে নিজের অংশীদারত্ব অনুভব করবে, আর এই শহরের সাফল্য হবে আমাদের সবার।’

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূতিশীল সিটি হল, যা এই প্রচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এই নবনির্বাচিত মেয়র কুইন্সে সংবাদ সম্মেলনে পুরোপুরি নারী নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করেন। এই টিমের নির্বাহী পরিচালক ইলানা লিওপোল্ড। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকছেন সাবেক ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান লিনা খান, ইউনাইটেড ওয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্রেস বোনিলা এবং সাবেক ডেপুটি মেয়র ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস মেলানি হার্টজগ।
লিনা খানকে দলে নেওয়া মামদানির প্রশাসনে সংস্কারক নীতি প্রয়োগের ইঙ্গিত দেয়। জো বাইডেনের সময় এফটিসিতে আক্রমণাত্মক অ্যান্টি–ট্রাস্ট পদক্ষেপের জন্য খান জাতীয়ভাবে পরিচিত হন এবং প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল উভয় মহলে প্রশংসিত।
অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করার পর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এই শহর আমাদের প্রস্তুত দেখতে চায়। আমাদের হাতে আছে ৫৭ দিন—এটাই কাজ শুরু করার সময়।’ তাঁর জয় নিউইয়র্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়—প্রথম মুসলিম মেয়র, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এবং শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র।
তবে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুমকি দিয়েছেন, মামদানি দায়িত্ব নিলে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘যদি মামদানি জয়ী হন, নিউইয়র্কে আমি আইনে বাধ্য না হলে ফেডারেল ফান্ড দেব না।’ প্রায়ই তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দেন।
২০২৬ অর্থবছরে নিউইয়র্কের বাজেটে ফেডারেল তহবিল প্রায় ৭৪০ কোটি ডলার, যা মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। নির্বাচনের দিন ট্রাম্প আরও উসকানিমূলক পোস্টে লেখেন, ‘কোনো ইহুদি যদি জোহরান মামদানিকে ভোট দেয়, সে নির্বোধ।’ যদিও মামদানি বহুবার ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন।
প্রচারণাজুড়ে তাঁকে ঘিরে চলেছে তীব্র ইসলামবিদ্বেষী হামলা। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন ও অ্যান্ডি ওগলস বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করতে। টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান চিপ রয় নির্বাচনের আগে লেখেন, মামদানি ‘আধুনিক ডেমোক্র্যাট দলের প্রতীক’ এবং তাঁর নেতৃত্বে ‘একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ ঘটছে।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে মামদানিকে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ। এক মাসে ১৭ হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ হাজার পোস্ট হয়েছে, যা ৭৩ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে।
তবে মামদানি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা গত এক বছর যে নীতিগুলোর কথা বলেছি, আমি নিশ্চিত সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। রাজনীতি যাই হোক, নিউইয়র্কবাসীর সমস্যা একটাই—আমরা সবাই একই সংকটে ভুগছি।’
মামদানির প্রগতিশীল নীতিগুলোর মধ্যে আছে অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থির করা, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত, সর্বজনীন শিশুসেবা, শহর পরিচালিত মুদি দোকান ও ধনীদের ওপর বাড়তি কর। তাঁর প্রচার তহবিলে ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে সাধারণ দাতাদের কাছ থেকে, গড়ে প্রতি অনুদান প্রায় ৮০ ডলার।
মামদানির দপ্তর জানিয়েছে, শিগগিরই তাঁরা ডেপুটি মেয়র ও বিভিন্ন দপ্তরের কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, ‘কিছু নাম পরিচিত হবে, কিছু নতুন। কিন্তু সবাই এক লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ—পুরোনো সমস্যার নতুন সমাধান।’ মামদানি বলেন, ‘১ জানুয়ারি যখন আমরা নতুন প্রশাসনের শপথ নেব, নিউইয়র্কবাসী তখন শুধু নতুন মেয়র নয়, নতুন এক যুগকেও স্বাগত জানাবে—যেখানে প্রত্যেকে নিজের অংশীদারত্ব অনুভব করবে, আর এই শহরের সাফল্য হবে আমাদের সবার।’

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়ার পর মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পুতিন বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, ‘তাহলে রাশিয়া বাধ্য থাকবে সমান প্রতিক্রিয়া জানাতে।’
পুতিন বলেছেন, ‘এ কারণে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছি—বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে, নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিতে।’
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর ১৯৯১ সাল থেকে রাশিয়া আর কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অনড় অবস্থায় পুতিনের ওপর ট্রাম্পের হতাশা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত অক্টোবর পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরিতে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন। পরদিন তিনি দুই বড় রুশ তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।
এরপর গত ৩০ অক্টোবর ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অবিলম্বে’ পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রও ‘অন্য পরাশক্তিদের সমান অবস্থানে’ থাকে। এর কয়েক দিন আগে ট্রাম্প রাশিয়ার নতুন ‘বুরেভেস্তনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেন। পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
ক্রেমলিন প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুতিন একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে একটি পরিকল্পিত পরামর্শ বৈঠকে বসেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোউসোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ‘রাশিয়ার প্রতি সামরিক হুমকির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পারমাণবিক বাহিনীকে এমন প্রস্তুত অবস্থায় রাখতে হবে, যাতে শত্রুর অগ্রহণযোগ্য ক্ষতি ঘটানো যায়।’
বেলোউসোভ আরও জানান, রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের নোভাইয়া জেমলাইয়া ঘাঁটি অল্প সময়ের নোটিশেই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুত। রুশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যদি এখন যথাযথ পদক্ষেপ না নেই, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের জবাব দেওয়ার সময় ও সুযোগ হারিয়ে ফেলব।’
বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন—পুতিন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করেননি। পেসকভ বলেন, ‘আমরা কবে প্রস্তুতি শুরু করব, তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে কতটা সময় লাগে তার ওপর।’
বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় শক্তি। সেন্টার ফর আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশনের হিসাবে, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি সক্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৫৫০ টি, এর মধ্যে সক্রিয় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ টি। স্নায়ুযুদ্ধের সময়, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের মজুত ছিল ৩১ হাজারের বেশি ওয়ারহেড।
চীন অনেক পেছনে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত তার পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে চীনের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৬০০ এবং ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০টি করে বাড়ছে। অন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেন। ১৯৯৬ সালে যখন বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তখন থেকে মাত্র তিন দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে, আর উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের পর থেকে পাঁচবার পরীক্ষা চালিয়েছে—সর্বশেষ ২০১৭ সালে। ২১শ শতকে এটি একমাত্র দেশ যারা এমন বিস্ফোরণ চালিয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় যেসব দেশ নিয়মিত এ ধরনের পরীক্ষা চালাত, সেসব বিস্ফোরণের পরিবেশগত ক্ষতি ছিল ভয়াবহ।
ট্রাম্প এখনো পরিষ্কার করে বলেননি, তিনি যে পরীক্ষার কথা বলেছেন, তা কি বিস্ফোরণভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা, নাকি পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। পরের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে, বিস্ফোরণ লাগবে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যে কোনো দেশের পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা শুরু করলে তা অন্যদেরও একই পথে ঠেলে দেবে। এতে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক আন্দ্রে বাকলিৎস্কি বলেন, ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া আসলে ‘কর্ম-প্রতিকর্ম চক্রেরই’ উদাহরণ, যা নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ডেকে আনতে পারে। তিনি এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘কেউই এটা চায় না, কিন্তু হয়তো শেষ পর্যন্ত আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।’

ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়ার পর মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পুতিন বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, ‘তাহলে রাশিয়া বাধ্য থাকবে সমান প্রতিক্রিয়া জানাতে।’
পুতিন বলেছেন, ‘এ কারণে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছি—বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে, নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিতে।’
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর ১৯৯১ সাল থেকে রাশিয়া আর কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অনড় অবস্থায় পুতিনের ওপর ট্রাম্পের হতাশা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত অক্টোবর পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরিতে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন। পরদিন তিনি দুই বড় রুশ তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।
এরপর গত ৩০ অক্টোবর ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অবিলম্বে’ পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রও ‘অন্য পরাশক্তিদের সমান অবস্থানে’ থাকে। এর কয়েক দিন আগে ট্রাম্প রাশিয়ার নতুন ‘বুরেভেস্তনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেন। পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
ক্রেমলিন প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুতিন একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে একটি পরিকল্পিত পরামর্শ বৈঠকে বসেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোউসোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ‘রাশিয়ার প্রতি সামরিক হুমকির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পারমাণবিক বাহিনীকে এমন প্রস্তুত অবস্থায় রাখতে হবে, যাতে শত্রুর অগ্রহণযোগ্য ক্ষতি ঘটানো যায়।’
বেলোউসোভ আরও জানান, রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের নোভাইয়া জেমলাইয়া ঘাঁটি অল্প সময়ের নোটিশেই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুত। রুশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যদি এখন যথাযথ পদক্ষেপ না নেই, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের জবাব দেওয়ার সময় ও সুযোগ হারিয়ে ফেলব।’
বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন—পুতিন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করেননি। পেসকভ বলেন, ‘আমরা কবে প্রস্তুতি শুরু করব, তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে কতটা সময় লাগে তার ওপর।’
বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় শক্তি। সেন্টার ফর আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশনের হিসাবে, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি সক্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৫৫০ টি, এর মধ্যে সক্রিয় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ টি। স্নায়ুযুদ্ধের সময়, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের মজুত ছিল ৩১ হাজারের বেশি ওয়ারহেড।
চীন অনেক পেছনে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত তার পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে চীনের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৬০০ এবং ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০টি করে বাড়ছে। অন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেন। ১৯৯৬ সালে যখন বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তখন থেকে মাত্র তিন দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে, আর উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের পর থেকে পাঁচবার পরীক্ষা চালিয়েছে—সর্বশেষ ২০১৭ সালে। ২১শ শতকে এটি একমাত্র দেশ যারা এমন বিস্ফোরণ চালিয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় যেসব দেশ নিয়মিত এ ধরনের পরীক্ষা চালাত, সেসব বিস্ফোরণের পরিবেশগত ক্ষতি ছিল ভয়াবহ।
ট্রাম্প এখনো পরিষ্কার করে বলেননি, তিনি যে পরীক্ষার কথা বলেছেন, তা কি বিস্ফোরণভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা, নাকি পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। পরের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে, বিস্ফোরণ লাগবে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যে কোনো দেশের পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা শুরু করলে তা অন্যদেরও একই পথে ঠেলে দেবে। এতে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক আন্দ্রে বাকলিৎস্কি বলেন, ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া আসলে ‘কর্ম-প্রতিকর্ম চক্রেরই’ উদাহরণ, যা নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ডেকে আনতে পারে। তিনি এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘কেউই এটা চায় না, কিন্তু হয়তো শেষ পর্যন্ত আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।’

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে জোহরান মামদানি প্রথম কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ইতিহাস গড়ার পর মামদানি যখন তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছিলেন, তখনই ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
মামদানি তাঁর বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্পের বিরোধিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘ওটা বিপজ্জনক মন্তব্য।’ ট্রাম্প ফক্স নিউজের ব্রেট বায়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওয়াশিংটনের প্রতি তাঁকে কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’ ওয়াশিংটন বলতে ট্রাম্প মূলত ফেডারেল সরকার এবং তাঁর প্রশাসনকেই বুঝিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই সে সফল হোক। আমি চাই শহরটা সফল হোক।’ এরপর দ্রুত স্পষ্ট করেন, তিনি আসলে নিউইয়র্ক শহরকে সফল দেখতে চান, মামদানিকে নয়। এর আগে, গতকাল বুধবার ট্রাম্প এক ভাষণে বলেন, তাঁর প্রশাসন নতুন মেয়রকে ‘সাহায্য করবে।’ তবে একই বক্তব্যে তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেও আখ্যা দেন।
ফ্লোরিডার মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘কমিউনিস্ট, মার্কসবাদী আর গ্লোবালিস্টরা তাদের সুযোগ পেয়েছিল। তারা শুধু বিপর্যয় এনেছে। এবার দেখা যাক, নিউইয়র্কে এক কমিউনিস্ট কেমন করে। আমরা দেখব কী হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁকে সাহায্য করব, একটু হলেও করব। আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক।’
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্প মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছিলেন। তিনি মামদানিকে ‘উন্মাদ কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, যদি মামদানি জেতে, তবে শহরের ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন।
মামদানি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, তিনি কমিউনিস্ট নন, বরং একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী। তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল বিনা মূল্যে সর্বজনীন শিশু যত্ন, ফ্রি বাস সার্ভিস এবং সরকারি পরিচালিত মুদি দোকান চালুর প্রতিশ্রুতি। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের শহর নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মামদানি। তার এই বিজয় সারা দেশে প্রতিধ্বনি তুলেছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যপন্থী ও প্রগতিশীল অংশের দ্বন্দ্বের মধ্যে এই জয়কে অনেকে জাতীয় রাজনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
বিজয়ী ভাষণে মামদানি তাঁর জয়কে ট্রাম্পকে হারানোর এক উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। টেলিভিশন প্রিয় প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভলিউমটা বাড়িয়ে দিন।’ বুধবার অগ্রাধিকারের বিষয় তুলে ধরে দেওয়া বক্তৃতায় মামদানি জানান, তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন, তবে আলোচনার সুযোগও খোলা রাখবেন। মামদানি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আমি মুখ বন্ধ রাখব না। তাঁর কর্মকাণ্ড যেমন, আমি তেমনই বলব। তবে সেই সঙ্গে সংলাপের দরজাটাও খোলা রাখব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে জোহরান মামদানি প্রথম কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ইতিহাস গড়ার পর মামদানি যখন তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছিলেন, তখনই ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
মামদানি তাঁর বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্পের বিরোধিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘ওটা বিপজ্জনক মন্তব্য।’ ট্রাম্প ফক্স নিউজের ব্রেট বায়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওয়াশিংটনের প্রতি তাঁকে কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’ ওয়াশিংটন বলতে ট্রাম্প মূলত ফেডারেল সরকার এবং তাঁর প্রশাসনকেই বুঝিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই সে সফল হোক। আমি চাই শহরটা সফল হোক।’ এরপর দ্রুত স্পষ্ট করেন, তিনি আসলে নিউইয়র্ক শহরকে সফল দেখতে চান, মামদানিকে নয়। এর আগে, গতকাল বুধবার ট্রাম্প এক ভাষণে বলেন, তাঁর প্রশাসন নতুন মেয়রকে ‘সাহায্য করবে।’ তবে একই বক্তব্যে তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেও আখ্যা দেন।
ফ্লোরিডার মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘কমিউনিস্ট, মার্কসবাদী আর গ্লোবালিস্টরা তাদের সুযোগ পেয়েছিল। তারা শুধু বিপর্যয় এনেছে। এবার দেখা যাক, নিউইয়র্কে এক কমিউনিস্ট কেমন করে। আমরা দেখব কী হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁকে সাহায্য করব, একটু হলেও করব। আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক।’
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্প মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছিলেন। তিনি মামদানিকে ‘উন্মাদ কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, যদি মামদানি জেতে, তবে শহরের ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন।
মামদানি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, তিনি কমিউনিস্ট নন, বরং একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী। তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল বিনা মূল্যে সর্বজনীন শিশু যত্ন, ফ্রি বাস সার্ভিস এবং সরকারি পরিচালিত মুদি দোকান চালুর প্রতিশ্রুতি। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের শহর নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মামদানি। তার এই বিজয় সারা দেশে প্রতিধ্বনি তুলেছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যপন্থী ও প্রগতিশীল অংশের দ্বন্দ্বের মধ্যে এই জয়কে অনেকে জাতীয় রাজনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
বিজয়ী ভাষণে মামদানি তাঁর জয়কে ট্রাম্পকে হারানোর এক উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। টেলিভিশন প্রিয় প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভলিউমটা বাড়িয়ে দিন।’ বুধবার অগ্রাধিকারের বিষয় তুলে ধরে দেওয়া বক্তৃতায় মামদানি জানান, তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন, তবে আলোচনার সুযোগও খোলা রাখবেন। মামদানি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আমি মুখ বন্ধ রাখব না। তাঁর কর্মকাণ্ড যেমন, আমি তেমনই বলব। তবে সেই সঙ্গে সংলাপের দরজাটাও খোলা রাখব।’

প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৪ ঘণ্টা আগে
ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু
৫ ঘণ্টা আগে