আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।
প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক লিউ জুন স্থায়ীভাবে চীনে ফিরেছেন। তিনি সম্প্রতি চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিংহুয়া ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরের’ পদ গ্রহণ করেছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লিউ জুনের স্থায়ীভাবে চীনে ফেরার ঘটনাকে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ডেটা সায়েন্স, বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক সচেতনতার সংমিশ্রণকে সামনে রেখে চীন যে রূপকল্প সাজিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে লিউ জুনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক বিরল ঘটনা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে চীনা বিজ্ঞানীদের নিজ ঘরে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে।
লিউ জুনের বেড়ে ওঠা এই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। তাঁর পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লিউ জুনের গণিতে গভীর আগ্রহ ছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কঠিন সময়ে—যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রামে কৃষিকাজে পাঠানো হচ্ছিল তখন লিউয়ের পিতা তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলেন।
লিউয়ের বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের বই ধার নিতেন এবং নিজে হাতে লিখে লিউকে গাণিতিক সমস্যার বিষয়ে পাঠদান করাতেন। লিউ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শিখতেন। তিনি গণিতকে খেলা হিসেবেই দেখতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানোর সময়ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতেন।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, লিউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি প্রধানত ব্রিজ খেলায় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলেও গণিতে তাঁর আগ্রহ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি গণিত বিভাগের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি একটি বৃত্তি লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
লিউ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু করেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষাগত বাধা থাকলেও গণিতের দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ উইং হুং ওং-এর অধীনে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তিনি মানবাধিকার ও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালের বেইজিং তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রমে। শিকাগোয় তাঁর শিক্ষক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি রাজনীতিবিদ হবেন না গণিতজ্ঞ—এই প্রশ্ন তার জীবনের একটি মোড় নেয়। মনোযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনার পর তিনি গণিতকে নিজের জীবনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।
লিউ ১৯৯১ সালে মাত্র তিন বছরে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০০ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর গবেষণায় বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। বড় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে তাঁর কাজের গভীর প্রভাব রয়েছে।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি কিওপিএসেস প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্প্রদায়ে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে প্রায়োগিক গণিতে মর্নিংসাইড মেডেল পান এবং ২০১৬ সালে পাও-লু হসু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো হন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরও, লিউ চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তিনি সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে শীর্ষ বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে ও বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন।
লিউয়ের চীনে ফেরার সিদ্ধান্ত বহু বছরের চিন্তাভাবনার ফল। ২০১০ সালে নিউ ইংল্যান্ডে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ফোরামে তিনি চীনে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫ বছর পর চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হার্ভার্ডে তহবিল কাটছাঁট তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করলে লিউ আরও অনুপ্রাণিত হন দেশে ফিরতে।
সর্বশেষ ৩০ আগস্ট সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে লিউ জানান, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং দেশপ্রেমই তাঁর ফেরার মূল কারণ। তিনি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সকে আন্তঃশাস্ত্রীয় গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন, যা চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জাতীয় বড় ডেটা কৌশলকে সমর্থন করে, এআই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখে। লিউ জুনের প্রত্যাবর্তন কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি চীনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যকে শক্তিশালী করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও জাতীয় অগ্রাধিকারের মিলন ঘটেছে।
নিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার এক বছর পর নানা ধরনের অভিজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো এবং ক্লাসে বিভ্রান্তি কমানো। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
৫ মিনিট আগেইউরোপ ভ্রমণে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে এই শরতে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু প্রতীক্ষিত ডিজিটাল বর্ডার সিস্টেম এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম (ইউএস)।
৩৮ মিনিট আগে২০০৬ সালে লিউকোমিয়ায় মারা যাওয়া এক কিশোরকে প্রথম মিলেনিয়াল প্রজন্মের ‘সন্ত’ বা ‘সাধু’ বা ‘সেইন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ক্যাথলিক চার্চ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভ্যাটিকানে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০ হাজার তরুণ-তরুণীর উপস্থিতিতে পোপ লিও এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগেবিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্থানীয় বেদুইনদের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে