আটলান্টিকের দুই তীরের দেশগুলোর জোট ন্যাটোর এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ন্যাটোর প্রজ্ঞাপনে চীনকে জোটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানাল বেইজিং।
ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশ লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলিনাসে গত ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলন ছিল ন্যাটোর। সম্মেলন শেষে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের বর্তমান অবস্থান এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর করণীয় সম্পর্কিত একটি যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে চীন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে; কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে বেইজিং কী চায়, তা এখনো আমাদের কাছে অস্পষ্ট। গত কয়েক বছর ধরে এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলো ইতিমধ্যেই চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী, বিদ্বেষপরায়ণ ও জবরদস্তিমূলক বিভিন্ন নীতির শিকারে পরিণত হচ্ছে এবং চীনের এই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তা একসময় জোটের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে চীন ও রাশিয়া নিজেদের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং এই দুই দেশের মিত্রতা অদূর ভবিষ্যতে আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলবে।
ন্যাটোর এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই পাল্টা বিবৃতি দেয় ইইউর চীনা দূতাবাস। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ন্যাটো এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে চাইছে। আমরা দৃঢ়ভাবে তার আপত্তি জানিয়ে বলতে চাই—যদি চীনের জাতীয় স্বার্থ ও বৈধ অধিকারসমূহে হস্তক্ষেপের কোনো চেষ্টা কেউ করে, সে ক্ষেত্রে শক্তভাবে তা প্রতিরোধ করতে বেইজিং প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের একমাত্র এশীয় সদস্যের নাম তুরস্ক।
তবে সম্মেলনে জোটের নিয়মিত সদস্যরাষ্ট্রগুলো ছাড়াও এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরা হলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। প্রতিটি দেশের সঙ্গেই সমুদ্রসীমাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে বেইজিংয়ের। এর আগে গত মে মাসে টোকিওতে ন্যাটোর মৈত্রী কার্যালয় খোলার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু কিশিদা তাতে সায় দেননি।
তবে সদ্য শেষ হওয়া ভিলিনাস সম্মেলনে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের যে চারটি দেশ উপস্থিত ছিল, প্রত্যেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে কয়েক দফায় সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
আটলান্টিকের দুই তীরের দেশগুলোর জোট ন্যাটোর এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ন্যাটোর প্রজ্ঞাপনে চীনকে জোটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানাল বেইজিং।
ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশ লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলিনাসে গত ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলন ছিল ন্যাটোর। সম্মেলন শেষে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের বর্তমান অবস্থান এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর করণীয় সম্পর্কিত একটি যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে চীন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে; কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে বেইজিং কী চায়, তা এখনো আমাদের কাছে অস্পষ্ট। গত কয়েক বছর ধরে এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলো ইতিমধ্যেই চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী, বিদ্বেষপরায়ণ ও জবরদস্তিমূলক বিভিন্ন নীতির শিকারে পরিণত হচ্ছে এবং চীনের এই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তা একসময় জোটের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে চীন ও রাশিয়া নিজেদের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং এই দুই দেশের মিত্রতা অদূর ভবিষ্যতে আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলবে।
ন্যাটোর এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই পাল্টা বিবৃতি দেয় ইইউর চীনা দূতাবাস। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ন্যাটো এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে চাইছে। আমরা দৃঢ়ভাবে তার আপত্তি জানিয়ে বলতে চাই—যদি চীনের জাতীয় স্বার্থ ও বৈধ অধিকারসমূহে হস্তক্ষেপের কোনো চেষ্টা কেউ করে, সে ক্ষেত্রে শক্তভাবে তা প্রতিরোধ করতে বেইজিং প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের একমাত্র এশীয় সদস্যের নাম তুরস্ক।
তবে সম্মেলনে জোটের নিয়মিত সদস্যরাষ্ট্রগুলো ছাড়াও এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরা হলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। প্রতিটি দেশের সঙ্গেই সমুদ্রসীমাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে বেইজিংয়ের। এর আগে গত মে মাসে টোকিওতে ন্যাটোর মৈত্রী কার্যালয় খোলার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু কিশিদা তাতে সায় দেননি।
তবে সদ্য শেষ হওয়া ভিলিনাস সম্মেলনে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের যে চারটি দেশ উপস্থিত ছিল, প্রত্যেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে কয়েক দফায় সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৪৩ মিনিট আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
১ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৩ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৪ ঘণ্টা আগে