Ajker Patrika

মার্কিন শুল্কে বিপদগ্রস্ত ভারতের পাশে দাঁড়াবে চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ২৯
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ফাইল ছবি

ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক শুল্ক আরোপকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে চীন। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে তারা ভারতের পাশে থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে এবং আরও শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং ভারতের পাশে থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নিপীড়ক রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে ফেইহং দাবি করেন, শুল্ককে চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে, অথচ বিশ্বজুড়ে মুক্ত বাণিজ্যের সুফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, এমন কর্মকাণ্ডের মুখে নীরব থাকা বা আপস করা শুধু নিপীড়ককেই আরও সাহসী করে তোলে।

এ মন্তব্য এমন এক সময় এল, যখন সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন বছরের মধ্যে প্রথমবার ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সীমান্ত সংকট সমাধানে দুই দেশের মধ্যে ১০ দফা ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এর মধ্যে একটি কমিটি সীমান্ত নির্ধারণ করবে এবং আরও একটি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা করবে।

এ ছাড়া উভয় দেশ পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সীমান্ত ইস্যুতে সমাধানের পথে এগোনোর বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘স্থিতিশীল, পূর্বানুমানযোগ্য ও গঠনমূলক সম্পর্ক শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’

চীনা রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, ভারত ও চীনের ঐক্য সমগ্র এশিয়ার উপকারে আসবে। তিনি দুই দেশকে ‘এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বৈত ইঞ্জিন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, বিশ্বে ন্যায়সংগত ও বহু মেরুকাঠামো গঠনে ভারত ও চীনের দায়িত্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও রাশিয়া থেকে ছাড়মূল্যে তেল কেনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন যখন দিল্লিকে শাস্তির মুখে রেখেছে, তখন দিল্লি ও বেইজিং নতুন করে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি চীন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া ভারতীয় পণ্য তারা আমদানি করতে প্রস্তুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত