আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পিয়ংইয়ং কখনোই সিউলকে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অপসারণের পর বর্তমানে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন উদারপন্থী নেতা লি জে মিয়ং। গত জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দুই কোরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন তিনি। সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী গান বাজানোসহ তাদের বিরক্ত করে এমন সব কার্যকলাপ বন্ধ করেন তিনি।
গত শুক্রবার লি জে মিয়ং এক ভাষণে বলেন যে তার সরকার উত্তর কোরিয়ার বর্তমান ব্যবস্থাকে সম্মান করে। তারা কোনো ধরনের শত্রুতামূলক কাজ করবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু কিম ইয়ো জং দাবি করেন, সিউলের এই শান্তির পদক্ষেপগুলোর মোটেই এমন সাধারণ নয়। এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে বলেই মনে করেন তিনি। তার ভাষ্য—লোক দেখানোর জন্য এসব করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দুই কোরিয়ার শীতল সম্পর্কের জন্য যাতে উত্তর কোরিয়াকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করা যায় তা-ই তাদের আসল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কিম ইয়ো জং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কোনো দিনই স্বাভাবিক হবে না। তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বস্ত কুকুর’ বলেও অভিহিত করেন। বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই সবচেয়ে ক্ষতিকর। তারা যুক্তরাষ্ট্রের পোষা কুকুর। দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ‘বেপরোয়া’ সামরিক মহড়াগুলো সিউলের বৈরী মনোভাবের প্রমাণ। তাদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
একসময় উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে রাজনৈতিক পট। এখন দক্ষিণ কোরিয়াকে যে কোনো আন্তর্জাতিক অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়াকে চিরশত্রু ঘোষণারও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিম ইয়ো জং-এর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সিউল-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের আহ্বান জানাবে।
সিউলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক কিম ডং-ইয়ুব বলেছেন, কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্য আসলে প্রেসিডেন্ট লির সাম্প্রতিক শান্তি-বক্তব্যের জবাব, যা কার্যত আলোচনা ও পুনর্মিলনের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার, কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দেন, উত্তর কোরিয়া দ্রুত তাদের পারমাণবিক শক্তি বিস্তারের পথে অগ্রসর হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন পিয়ংইয়ং-মস্কো সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে হাজার হাজার সেনা ও বিপুল সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এই ঘনিষ্ঠতার প্রভাবে পিয়ংইয়ং এখন কোরীয় উপদ্বীপের বাইরেও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বেশি সরব হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত থেকে শুরু করে তাইওয়ান প্রণালির টানাপোড়েন—প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারা মতামত প্রকাশ করছে।
পিয়ংইয়ং কখনোই সিউলকে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অপসারণের পর বর্তমানে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন উদারপন্থী নেতা লি জে মিয়ং। গত জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দুই কোরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন তিনি। সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী গান বাজানোসহ তাদের বিরক্ত করে এমন সব কার্যকলাপ বন্ধ করেন তিনি।
গত শুক্রবার লি জে মিয়ং এক ভাষণে বলেন যে তার সরকার উত্তর কোরিয়ার বর্তমান ব্যবস্থাকে সম্মান করে। তারা কোনো ধরনের শত্রুতামূলক কাজ করবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু কিম ইয়ো জং দাবি করেন, সিউলের এই শান্তির পদক্ষেপগুলোর মোটেই এমন সাধারণ নয়। এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে বলেই মনে করেন তিনি। তার ভাষ্য—লোক দেখানোর জন্য এসব করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দুই কোরিয়ার শীতল সম্পর্কের জন্য যাতে উত্তর কোরিয়াকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করা যায় তা-ই তাদের আসল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কিম ইয়ো জং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কোনো দিনই স্বাভাবিক হবে না। তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বস্ত কুকুর’ বলেও অভিহিত করেন। বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই সবচেয়ে ক্ষতিকর। তারা যুক্তরাষ্ট্রের পোষা কুকুর। দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ‘বেপরোয়া’ সামরিক মহড়াগুলো সিউলের বৈরী মনোভাবের প্রমাণ। তাদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
একসময় উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে রাজনৈতিক পট। এখন দক্ষিণ কোরিয়াকে যে কোনো আন্তর্জাতিক অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়াকে চিরশত্রু ঘোষণারও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিম ইয়ো জং-এর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সিউল-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের আহ্বান জানাবে।
সিউলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক কিম ডং-ইয়ুব বলেছেন, কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্য আসলে প্রেসিডেন্ট লির সাম্প্রতিক শান্তি-বক্তব্যের জবাব, যা কার্যত আলোচনা ও পুনর্মিলনের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার, কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দেন, উত্তর কোরিয়া দ্রুত তাদের পারমাণবিক শক্তি বিস্তারের পথে অগ্রসর হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন পিয়ংইয়ং-মস্কো সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে হাজার হাজার সেনা ও বিপুল সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এই ঘনিষ্ঠতার প্রভাবে পিয়ংইয়ং এখন কোরীয় উপদ্বীপের বাইরেও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বেশি সরব হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত থেকে শুরু করে তাইওয়ান প্রণালির টানাপোড়েন—প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারা মতামত প্রকাশ করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বশান্তির জন্য অনেক কিছু করছেন। এর জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে এই পুরস্কার না দেওয়ায় তিনি নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেদুই বছর যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছেন। সোমবার পর্যন্ত জারি থাকা ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্
২ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিরস্ত্রীকরণ ‘অসম্ভব ও আলোচনাযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক কর্মকর্তা। আজ শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই আসে না, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
২ ঘণ্টা আগেঘটনাটি ঘটে শুক্রবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ওয়াশিংটন কাউন্টির ছোট শহর লিল্যান্ডে। লিল্যান্ডের মেয়র জন লি শনিবার সকালে দ্য গার্ডিয়ানকে টেলিফোনে জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে