Ajker Patrika

জেন-জি বিক্ষোভ

ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ২৬ প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা চাপা ক্ষোভ উসকে দিল নেপালে, সহিংসতায় ঝরল ১৯ প্রাণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২: ৫৮
২৬টি যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তরুণেরা। গতকাল কাঠমান্ডুর পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে এই তরুণদের ওপর চালানো হয় গুলি। ছবি: এএফপি
২৬টি যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তরুণেরা। গতকাল কাঠমান্ডুর পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে এই তরুণদের ওপর চালানো হয় গুলি। ছবি: এএফপি

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভ শুরুর পর হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতাল। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রায় ১০০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

এই গুলির ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’

নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই বিক্ষোভকে ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ হয়েছে আখ্যা দিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বিক্ষোভ ডিজিটাল স্পেস থেকে সড়কে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে কাঠমান্ডুর মাইতিগড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এই মাইতিগড় ছাড়াও গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করলে তারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।

এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।

এদিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জন নেপাল বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি এই হাসপাতালে এর আগে কখনো দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক আহতের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখানেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে। এতে চিকিৎসকদেরও কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

কারফিউ জারি

বিক্ষোভের কারণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রথমে এই কারফিউ ছিল বানেস্বর এলাকায়। এই এলাকায় নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, কাঠমান্ডু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। পুলিশের হামলার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। পরে কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় শীতল নিউওয়াজ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া লাইনচাউর (ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলাকা), বালুওয়াতার (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা), মহারাজগঞ্জ, সিংঘা দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য এলাকায়ও কারফিউ জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ বজায় থাকবে।

তারকাদের সমর্থন

কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভ এখনো চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণেরা এখনো রাস্তা ছেড়ে যাননি। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশটির তারকারা। অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ এবং হরি বনস আচারিয়া এই আন্দোলনের পক্ষে সরাসরি এবং প্রকাশে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন আচারিয়া। প্রবীণ নেতাদের সরে গিয়ে তরুণদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী প্রকাশ সপুত তাঁর ছোট দুই ভাইকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের অর্থ তাঁদের হাতে দিয়েছেন তিনি।

যাঁরা বিক্ষোভের পেছনে

কাঠমান্ডুর প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলের জন্য আগেই অনুমোদনও নিয়েছিল তারা। এই সংগঠনের প্রধান সুধান গুরুং বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা যে বিক্ষোভ করছি, তেমনি একটি বিক্ষোভ ছিল গতকাল।’

তবে এই বিক্ষোভকে জোরালো করার জন্য কাজ করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘হামি নেপালের’ পক্ষ থেকে বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন তথ্য আগেই দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী করতে হবে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে জানিয়ে দিচ্ছিল সংগঠনটি। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই স্কুল, কলেজের ড্রেস পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার ছিল। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, দুর্নীতিকে না বলুন এবং একতাবদ্ধ হোন। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জেন-জি এখানে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।

নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিক্ষোভ

কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), মেসেঞ্জার, সিগন্যাল, ইমো, ইউচ্যাট, স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পাস করা নতুন বিধি অনুসারে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

তবে টিকটক, ভাইবার ও আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন করায় তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান এই মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছিল। মূলত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তরুণেরা। তবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। গত রোববার সাংবাদিকেরা কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকেরা বলেন, সরকার এর মাধ্যমে জনসাধারণের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পথ রোধ করে কর্তৃত্ববাদের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। উল্টো তিনি হুমকি দেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

ক্ষতির কারণে সড়কে মানুষেরা

সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন খাত। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছে না পর্যটন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া নেপালের অনেকেই দেশটির বাইরে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সংসদীয় এলাকায় গুলি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল সোমবার আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

গতকাল বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী জুজান রাজভান্ডরি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। তবে এটাই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ নয়। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। নেপালে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে।’

এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইকসামা তুমরক বলেন, ‘সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যা করছে তা কর্তৃত্ববাদী আচরণ। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্কে বরাদ্দ দেবেন না ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।

রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।

আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।

নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’

ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’

৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’

সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’

অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’

কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশ ইরান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ইরানে ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ছবি: আইএইচআর
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ইরানে ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ছবি: আইএইচআর

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের উন্মাদনা চলছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইরানিয়ান মানবাধিকার সংগঠন আব্দর রহমান বোরোমান্ড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রয়া বোরোমান্ড বলেন, কাউকে খুনের জন্য ইরানে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। হয় আপনাকে ক্ষমা করা হবে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।

কিন্তু ইরানের চেয়েও যেসব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেখানেও এত বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তথ্য দিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে এসব মৃত্যুদণ্ডের মাত্র ১২ শতাংশ সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়।

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক নারী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।

রয়া বোরোমান্ড বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ২২ বছরে কমপক্ষে ২৩৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ডের তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে খুনের দায়ে আর ৯৬ জন অবৈধ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ এর একটি ক্ষুদ্র অংশকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বোরোমান্ড।

এ ছাড়া দেশটির আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করা যায় না। ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে শুধু নিহতের পরিবার পারে কাউকে ক্ষমা করতে।

সম্প্রতি গোলি কোহকান নামের এক বালিকাবধূর মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে ইরানের এই অন্ধকার দিকটি আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।

গোলির মতো আরও তিন নারী মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন। সামিরা সাবজিয়ান ফারদ, যাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর স্বামীর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাতেমা সালবেহি, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন; পরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জয়নাব সেকানভান্দ, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে আটক হন। আদালতে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানালেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত অপেরা হাউস। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত অপেরা হাউস। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।

সিডনিতে একটি একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা ফিশার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছি এখন—যেটা ওয়েলিংটনে অসম্ভব মনে হয়েছিল।’

স্ট্যাটস এনজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডের ৭৩ হাজার ৯০০ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড এই ‘মেধা পাচার’ এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হলেও অস্ট্রেলিয়া এতে লাভবান হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন হাবের পরিচালক অ্যালান গ্যামলেন বলেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে মানুষের প্রবাহ বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দুর্বল এবং বৈশ্বিক ধাক্কায় বেশি প্রভাবিত হয়।’

তিনি জানান, মাথাপিছু জিডিপিতে দুই দেশের পার্থক্যই এই প্রবণতার জন্য দায়ী। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার, নিউজিল্যান্ডে তা মাত্র ৪৮ হাজার ডলার।

২২ বছর বয়সী জেনিভিভ ফালটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেছেন। আগে ঘণ্টায় তিনি ২২.৭০ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতেন। এখন তাঁর আয় দ্বিগুণ। এতে তিনি কম সময় কাজ করেও তাঁর পছন্দের ইলাস্ট্রেশনের পেশায় মন দিতে পারছেন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রেরণাটুকু তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই একজন ওয়েল্ডার। দুই বছর আগে তিনি মেলবোর্নে গিয়ে বোনকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজও বেশি, টাকাও পাগল করা।’

একইভাবে, ঐতিহ্যবাহী সামোয়ান ট্যাটু শিল্পী টাইলা ভায়াউ বলেন, ‘অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ডের শহর) এখন আর আমার বেড়ে ওঠা শহরের মতো নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাড়ির দাম সেখানে এমন পর্যায়ে যে, ফেরার চিন্তা করাও অসম্ভব।’ তিনি এখন পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে স্থায়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তরুণ অ্যান্ডি ফেকনি জানান, তাঁর সিডনিতে যাওয়া সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারভিত্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে পেশাগতভাবে।’

গবেষণায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁদের ৮০ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে বসবাস করেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও গোল্ড কোস্টে এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা থাকেন। এরপরই তাঁদের পছন্দের শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ও সিডনি।

গল্পের শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই হেইডেন ফিশার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সুন্দর দেশ ঠিকই। কিন্তু সুন্দর পাহাড় ভাড়া আর বিল পরিশোধ করে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস করা মেজর জেনারেলকে গ্রেপ্তার করল ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমি। ছবি: সংগৃহীত
মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমি। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।

এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।

এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।

ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।

গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত