আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গলার স্বর নামিয়ে কিশোরীটি বলল, ‘আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তালেবান আসার পর সব স্কুল বন্ধ হয়ে গেল।’
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক প্রান্তে অবস্থিত তালেবান অনুমোদিত নারীদের মাদ্রাসা নাজি-এ-বসরায় বসে কথা বলছিল মেয়েটি। মুখ ঢাকা, কণ্ঠ জড়ানো ভয় আর সংশয়ে। সহপাঠী আরেক মেয়ে তাকে নিচু স্বরে চুপ করায়। স্মরণ করিয়ে দেয়, তালেবান শাসনের সমালোচনা করা কতটা বিপজ্জনক!
তালেবান ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ। এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়েদের সাধারণ শিক্ষায় বাধা দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা নারী অধিকারের ওপর ভয়াবহ আঘাত। এখন মেয়েদের শিক্ষার একমাত্র পথ হলো ধর্মীয় মাদ্রাসা।
সোমবার (৪ আগস্ট) সিএনএন জানিয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত তিন বছরে আফগানিস্তানে ২২ হাজার ৯৭২টি রাষ্ট্র অনুমোদিত মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়েছে। নাজি-এ-বসরা মাদ্রাসায় তালেবানের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কোরআন, হাদিস, ইসলামি আইন শেখানো হয়। তবে যেহেতু এটি বেসরকারি ও অভিভাবকদের অর্থায়নে পরিচালিত, তাই এখানে বিজ্ঞান ও ভাষারও সামান্য শিক্ষা দেওয়া হয়। সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় পড়াশোনাই একমাত্র বিষয়।
২০২২ সালে তালেবানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, মেয়েরা ভালো করে হিজাব পরে না; যেন তারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। কৃষি আর প্রকৌশল পড়া ইসলাম ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে মানায় না।
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানের প্রায় ১৫ লাখ মেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ হারিয়েছে।
এদিকে কিছু সাহসী নারী গড়ে তুলছেন গোপন পাঠশালা। কাবুলের ২৩ বছর বয়সী নারগিস এমনই একজন। একসময় তিনি অর্থনীতি পড়তেন, ইংরেজি শেখার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরিও করতেন। তালেবান আসার পর তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়, চাকরি চলে যায়, স্বপ্ন হারিয়ে যায়। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। শুরু করেন নিজের ছোট বোনদের পড়ানো। ধীরে ধীরে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের মেয়েরাও যোগ দেয়। এখন প্রতিদিন সকাল ৬টায় ১২ বছর বা এর বেশি বয়সী প্রায় ৪৫ জন মেয়ে চুপিচুপি তাঁর বাড়িতে আসে।
ঝুঁকি থাকলেও নারগিস থামেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ভয় লাগে। তালেবান যদি ধরে ফেলে?’
দুই মাস আগে নারগিসের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তালেবান। নারগিস এক রাত হাজতেও ছিলেন। পরিবার তাঁকে থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি থামেননি, স্থান বদলে আবারও চালু করেছেন তাঁর গোপন স্কুল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস-এইডের মাধ্যমে আফগানিস্তানে এই ধরনের কিছু গোপন বিদ্যালয় ও অনলাইন স্কলারশিপ চালু ছিল। কিন্তু সংস্থাটির অর্থায়ন বন্ধ হওয়ায় সেগুলোও এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নারগিস নিজেও এমন একটি স্কলারশিপে ব্যাচেলর ডিগ্রি করছিলেন।
নারগিসের হতাশ কণ্ঠে যে প্রশ্নটি ভেসে আসে, তা হলো ‘আমার মা কোনো দিন স্কুলে যাননি। আমিও আজ ঘরে বন্দী। তাহলে আমরা এত পড়ালেখা করছি কিসের জন্য? কী ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে?’
তালেবান বলছে, তাদের মাদ্রাসার শিক্ষা মেয়েদের মায়ের ভূমিকার জন্য প্রস্তুত করছে। কিন্তু নারগিস ও তাঁর মতো মেয়েরা বলছেন, এই শিক্ষা নয়, তাঁরা চান সত্যিকার শিক্ষা, যা ভবিষ্যৎ গড়ে।
তাঁদের মতে, তালেবানের মাদ্রাসা শিক্ষার নামে চলেছে এক নিষ্ঠুর স্বপ্নহত্যা।
গলার স্বর নামিয়ে কিশোরীটি বলল, ‘আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তালেবান আসার পর সব স্কুল বন্ধ হয়ে গেল।’
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক প্রান্তে অবস্থিত তালেবান অনুমোদিত নারীদের মাদ্রাসা নাজি-এ-বসরায় বসে কথা বলছিল মেয়েটি। মুখ ঢাকা, কণ্ঠ জড়ানো ভয় আর সংশয়ে। সহপাঠী আরেক মেয়ে তাকে নিচু স্বরে চুপ করায়। স্মরণ করিয়ে দেয়, তালেবান শাসনের সমালোচনা করা কতটা বিপজ্জনক!
তালেবান ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ। এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়েদের সাধারণ শিক্ষায় বাধা দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা নারী অধিকারের ওপর ভয়াবহ আঘাত। এখন মেয়েদের শিক্ষার একমাত্র পথ হলো ধর্মীয় মাদ্রাসা।
সোমবার (৪ আগস্ট) সিএনএন জানিয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত তিন বছরে আফগানিস্তানে ২২ হাজার ৯৭২টি রাষ্ট্র অনুমোদিত মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়েছে। নাজি-এ-বসরা মাদ্রাসায় তালেবানের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কোরআন, হাদিস, ইসলামি আইন শেখানো হয়। তবে যেহেতু এটি বেসরকারি ও অভিভাবকদের অর্থায়নে পরিচালিত, তাই এখানে বিজ্ঞান ও ভাষারও সামান্য শিক্ষা দেওয়া হয়। সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় পড়াশোনাই একমাত্র বিষয়।
২০২২ সালে তালেবানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, মেয়েরা ভালো করে হিজাব পরে না; যেন তারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। কৃষি আর প্রকৌশল পড়া ইসলাম ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে মানায় না।
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানের প্রায় ১৫ লাখ মেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ হারিয়েছে।
এদিকে কিছু সাহসী নারী গড়ে তুলছেন গোপন পাঠশালা। কাবুলের ২৩ বছর বয়সী নারগিস এমনই একজন। একসময় তিনি অর্থনীতি পড়তেন, ইংরেজি শেখার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরিও করতেন। তালেবান আসার পর তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়, চাকরি চলে যায়, স্বপ্ন হারিয়ে যায়। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। শুরু করেন নিজের ছোট বোনদের পড়ানো। ধীরে ধীরে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের মেয়েরাও যোগ দেয়। এখন প্রতিদিন সকাল ৬টায় ১২ বছর বা এর বেশি বয়সী প্রায় ৪৫ জন মেয়ে চুপিচুপি তাঁর বাড়িতে আসে।
ঝুঁকি থাকলেও নারগিস থামেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ভয় লাগে। তালেবান যদি ধরে ফেলে?’
দুই মাস আগে নারগিসের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তালেবান। নারগিস এক রাত হাজতেও ছিলেন। পরিবার তাঁকে থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি থামেননি, স্থান বদলে আবারও চালু করেছেন তাঁর গোপন স্কুল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস-এইডের মাধ্যমে আফগানিস্তানে এই ধরনের কিছু গোপন বিদ্যালয় ও অনলাইন স্কলারশিপ চালু ছিল। কিন্তু সংস্থাটির অর্থায়ন বন্ধ হওয়ায় সেগুলোও এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নারগিস নিজেও এমন একটি স্কলারশিপে ব্যাচেলর ডিগ্রি করছিলেন।
নারগিসের হতাশ কণ্ঠে যে প্রশ্নটি ভেসে আসে, তা হলো ‘আমার মা কোনো দিন স্কুলে যাননি। আমিও আজ ঘরে বন্দী। তাহলে আমরা এত পড়ালেখা করছি কিসের জন্য? কী ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে?’
তালেবান বলছে, তাদের মাদ্রাসার শিক্ষা মেয়েদের মায়ের ভূমিকার জন্য প্রস্তুত করছে। কিন্তু নারগিস ও তাঁর মতো মেয়েরা বলছেন, এই শিক্ষা নয়, তাঁরা চান সত্যিকার শিক্ষা, যা ভবিষ্যৎ গড়ে।
তাঁদের মতে, তালেবানের মাদ্রাসা শিক্ষার নামে চলেছে এক নিষ্ঠুর স্বপ্নহত্যা।
দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে সমর্থন জোগাতে বেশ কয়েকটি দেশকে নিয়ে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছে সৌদি আরব ও ফ্রান্স। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সোমবারই নিউ ইয়র্কে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেএইচ-১বি ভিসা ফি এক লাখ ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রতি নতুন আবেদনকারীকে এই ফি দিতে হবে। পুরোনোদের বা ভিসা নবায়নে এই ফি লাগবে না।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার পর এবার ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রোববার, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রওজেল এ ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগেচলমান বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান দাবি যদি কোনো সুরক্ষা গ্যারান্টি ছাড়া মেনে নেওয়া হয়, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি আবারও ১৯৯৭ সালের মতো ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং।
২ ঘণ্টা আগে