Ajker Patrika

রেকর্ড ভাঙা গরমে পুড়ছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক
গরম থেকে বাঁচতে হাতে বহনযোগ্য ইলেকট্রিক ফ্যান ব্যবহার করছেন জাপানের এক নারী। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
গরম থেকে বাঁচতে হাতে বহনযোগ্য ইলেকট্রিক ফ্যান ব্যবহার করছেন জাপানের এক নারী। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ভয়াবহ গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় জুলাই মাসে টানা ২২ দিন ‘ট্রপিক্যাল নাইট’ বা গরমের রাত পাড়ি দিয়েছে মানুষ, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড। অন্যদিকে, জাপানে বৃহস্পতিবার ইতিহাসের সবচেয়ে গরম দিন রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটিতে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এ অবস্থায় দুই দেশের সরকারই জনগণকে গরমজনিত অসুস্থতা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। হাসপাতালে প্রচুর রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরও চাপ বেড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জুলাইয়ে সিউলে টানা ২২ রাত তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে ছিল—১৯০৭ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। গতকাল বুধবার রাতেও সিউলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার এই রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

সিউল আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগের পরিচালক ইয়ুন কি-হান জানিয়েছেন, সিউলে গরম বাড়ছে কারণ উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উচ্চ চাপ বলয়ের উষ্ণ বাতাস এবার একটু আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেন, ‘যখন কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন রাতের বেলাতেও সেই গরম পুরোপুরি কমে না। বরং তা জমে জমে আরও বাড়ে।’

এদিকে জাপানের হিয়োগো অঞ্চলের তাম্বায় গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির ৯১৪টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৭১ টিতেই এদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রির ওপরে। ৩৯টি স্থানে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এর আগে, ২০২০ সালের আগস্টে হামামাতসু শহরে এবং ২০১৮ সালের জুলাইয়ে টোকিওর কাছে কুমাগায়া শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তীব্র গরম সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলেছে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে। দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে এ বছর এখন পর্যন্ত গরমজনিত কারণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি।

জাপানে ২১ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১০ হাজার ৮০৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ৬৪ বছরের ওপরে। গরমে এবার দেশটিতে অন্তত ১৬ জন মারা গেছেন।

জাপানে গত গ্রীষ্ম ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গরম গ্রীষ্মগুলোর একটি। পরে দেখা যায়, একই বছরে উষ্ণতার দিক দিয়ে দেশটির শরৎকালও রেকর্ড ভাঙে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বজুড়েই চরম আবহাওয়া বেড়ে চলেছে। এর ফলেই বাড়ছে গরমের দানবীয় রূপ, বন্যা ও দাবানলের মতো বিপর্যয়।

বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জাপানের কিয়োটো শহরে এবার প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রতিবছর এখানে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে। ফলে এবারের গরম শুধু স্থানীয় নয়, বিদেশি পর্যটকদের জন্যও মারাত্মক হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, মানুষ সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন পরিস্থিতি আরও ঘন ঘন এবং ভয়াবহভাবে ফিরে আসবে। তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

সখীপুরে সন্তানদের সামনেই ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত