Ajker Patrika

গাজা ইস্যুতে পোস্ট করে চাকরিচ্যুত: এবিসির বিরুদ্ধে আদালতে জিতলেন সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ১২: ২৬
সাংবাদিক আন্তোনেট লাটৌফ। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক আন্তোনেট লাটৌফ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসির (অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) বিরুদ্ধে আদলতে জিতলেন সাংবাদিক আন্তোনেট লাটৌফ। আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২৩ সালে সামাজিক মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার জেরে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল তাকে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবিসির অস্থায়ী রেডিও উপস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ওই পদে কর্মরত অবস্থায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন লাটৌফ। এরপরই সম্পাদকীয় নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে লাটৌফকে চাকরিচ্যুত করে এবিসি।

লাটৌফের অভিযোগ ছিল—রাজনৈতিক মতাদর্শ, জাতিগত পরিচয় আর ইসরায়েলপন্থি লবির চাপে চাকরিচ্যুত করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, লাটৌফ লেবানিজ বংশোদ্ভূত নারী। রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ইসরায়েলপন্থি চাপের কারণেই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে রায়ে দিয়েছেন আদালতের বিচারক ড্যারিল রাঙ্গিয়াহ। তবে, জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

সম্পাদকীয় নীতিমালা লঙ্ঘনের যে অভিযোগ এবিসি লাটৌফের বিরুদ্ধে এনেছিল, তা-ও খারিজ করে দিয়েছেন রাঙ্গিয়াহ। তিনি বলেন, লাটৌফের বিরুদ্ধে কোন নীতিমালা ভাঙনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। বরং এবিসি সাবেক কনটেন্ট অফিসার ক্রিস অলিভার-টেইলর শুধু অনুমানের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করেছেন। লাটৌফের পোস্টকে ঘিরে সমালোচনা হতে পারে—আশঙ্কায় তড়িঘড়ি তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।’

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাটৌফকে ৭০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবিসির। ক্ষতিপূরণ বা শাস্তি বিষয়ে পরে দুই পক্ষের আরও যুক্তি শোনা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আদালতের বাইরে লাটৌফ জানিয়েছে, ‘হাজার হাজার শিশুকে অনাহারে রেখে মারছে ইসরায়েল। সেই তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হয়েছে। একজন নাগরিক হিসেবে মত প্রকাশের এবং সত্য বলার অধিকার আমার আছে। আজ আদালত সেই রায়ই দিয়েছে।’

এ ঘটনার পর লাটৌফের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে এবিসি কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এ ঘটনার মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মী এবং দর্শকদের হতাশ করেছি।’ এবিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মার্কস বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে এই ঘটনা আমাদের প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ ও প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এতে আমাদের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।’

উল্লেখ্য, সাংবাদিকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবাদ, বৈষম্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে আসছেন লাটৌফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত