গুঞ্জন সত্যি করে ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া দুই দেশই তাঁর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ সফরের মাধ্যমে কিম জং উন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে উদ্বেগে আছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিনের আমন্ত্রণে ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে’ রাশিয়া সফরে আসছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা থেকেও স্থান–কাল উল্লেখ না করে এ দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সফরকালে মাননীয় কমরেড কিম জং উন কমরেড পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন ও আলাপ করবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দুই দেশের প্রতিনিধি দল দেখা করবেন। কিন্তু তিনি কিম ও পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে তাঁরা মুখোমুখি বসে কথা বলবেন।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকেরা উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্তের একটি স্টেশনে সবুজ–হলুদ রঙের একটি ট্রেন দেখতে পেয়েছেন। এর আগেও বিদেশ সফরকালে কিম একই ট্রেন ব্যবহার করেছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং উন ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
তবে তখন কিম ওই ট্রেনে ছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ট্রেনটি স্টেশন ও দেশ দুটিকে সংযোগকারী সেতু মাঝ বারবার আসা যাওয়া করছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ট্রেনটির সেতু পার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম চসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ট্রেনটি রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিম–পুতিন বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা ও অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জাপানের কিয়োদো সংবাদ সংস্থা রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, কিম সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত ট্রেনে করে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ভ্লাদিভস্তক ও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সরকার প্রধানের সফরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারক করেন রাশিয়ার এমন নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে চুক্তি হলে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে, আবার পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজনের সময় রাশিয়াও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সফল হওয়ার জন্য উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি বা জ্ঞান সরবরাহের জন্য পুতিনকে অনুরোধ জানাতে পারেন।
এ চুক্তি কৌশলের চেয়ে লেনদেন–ভিত্তিক হবে বেশি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রয়োজন অস্ত্র, আর নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন অর্থ ও খাদ্য।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে সম্ভবত ১ কোটি কামানের গোলা ও সোভিয়েত ডিজাইন ভিত্তিক রকেট আছে। এগুলো ইউক্রেনে রুশ সেনাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
গুঞ্জন সত্যি করে ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া দুই দেশই তাঁর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ সফরের মাধ্যমে কিম জং উন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে উদ্বেগে আছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিনের আমন্ত্রণে ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে’ রাশিয়া সফরে আসছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা থেকেও স্থান–কাল উল্লেখ না করে এ দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সফরকালে মাননীয় কমরেড কিম জং উন কমরেড পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন ও আলাপ করবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দুই দেশের প্রতিনিধি দল দেখা করবেন। কিন্তু তিনি কিম ও পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে তাঁরা মুখোমুখি বসে কথা বলবেন।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকেরা উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্তের একটি স্টেশনে সবুজ–হলুদ রঙের একটি ট্রেন দেখতে পেয়েছেন। এর আগেও বিদেশ সফরকালে কিম একই ট্রেন ব্যবহার করেছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং উন ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
তবে তখন কিম ওই ট্রেনে ছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ট্রেনটি স্টেশন ও দেশ দুটিকে সংযোগকারী সেতু মাঝ বারবার আসা যাওয়া করছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ট্রেনটির সেতু পার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম চসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ট্রেনটি রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিম–পুতিন বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা ও অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জাপানের কিয়োদো সংবাদ সংস্থা রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, কিম সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত ট্রেনে করে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ভ্লাদিভস্তক ও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সরকার প্রধানের সফরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারক করেন রাশিয়ার এমন নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে চুক্তি হলে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে, আবার পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজনের সময় রাশিয়াও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সফল হওয়ার জন্য উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি বা জ্ঞান সরবরাহের জন্য পুতিনকে অনুরোধ জানাতে পারেন।
এ চুক্তি কৌশলের চেয়ে লেনদেন–ভিত্তিক হবে বেশি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রয়োজন অস্ত্র, আর নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন অর্থ ও খাদ্য।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে সম্ভবত ১ কোটি কামানের গোলা ও সোভিয়েত ডিজাইন ভিত্তিক রকেট আছে। এগুলো ইউক্রেনে রুশ সেনাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
৪৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে