
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৭ ঘণ্টা আগে