ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কারণে শ্রীলঙ্কার শিশুরা স্কুল ছাড়ছে। স্কুলগুলো অভিভাবকদের অনুরোধ করে বলছে, খাবার না দিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন না। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকট চলছে। জনগণের জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আমদানি করা খাদ্যসামগ্রী ব্যয়বহুল ও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের জৈব কৃষিকে নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের ফলে গত বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়েছে।
এসব কারণে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। আর খাদ্যসংকটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটির ৩৬ শতাংশ পরিবার খাদ্যসংকটে ভুগছে। অন্যদিকে ইউনিসেফ জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় ৫৬ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এসব কারণে অনেক শিশু এখন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তারা খালি পেটে স্কুলে যেতে চায় না। প্রিয়দর্শিনী নামের একজন অভিভাবক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘অন্য শিশুরা যখন স্কুলে বিরতির সময় খাবার খায়, তখন আমার সন্তান না খেয়ে থাকে। একজন মা হিসেবে এটি সহ্য করা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।’
প্রিয়দর্শিনী আরও বলেছেন, ‘আমার ছেলের বয়স ১৩ বছর। সে না খেয়েই স্কুলে যায়, কারণ সে ক্ষুধা সহ্য করতে পারে। কিন্তু মেয়েটার বয়স মাত্র ছয়। সে এতই ছোট যে তার পক্ষে ক্ষুধা সহ্য করে স্কুলে থাকা সম্ভব নয়।’
বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় খাদ্যসংকটের কারণে কী পরিমাণ শিশু স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে গত বছরের জুনে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছিল, যেসব স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হয় না, সেসব স্কুলে শিশুদের ঝরে পড়ার হার বেশি।
ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার কিছু এলাকার স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।’
স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার শিক্ষাবিদেরা। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. তারা দে মেল বলেছেন, ‘স্কুলগুলো যখন খাবার সরবরাহ করত, তখন শিক্ষার্থী উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে খাবারের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।’
তবে শ্রীলঙ্কার স্কুলশিক্ষকেরা বলছেন, শুধু খাদ্যসংকটের কারণেই শিশুরা স্কুল ছাড়ছে, তা নয়। বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ পরিবহন খরচ, স্টেশনারির দাম বেড়ে যাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামছাড়া হওয়া, জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সিলন টিচার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্টালিন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় শিশুদের অপুষ্টি মোকাবিলায় সরকারকে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এভাবে চলতে থাকলে এই শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে।’
শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশের গাম্পাহা জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেছেন, তাঁর স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে আসা। তাদের বেশির ভাগই সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবার ছাড়াই স্কুলে আসে। প্রায় দেখা যায়, অনেক শিশু ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
ডয়চে ভেলে বলেছে, খাদ্যসংকট ও শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া বিষয়ে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা সাড়া দেয়নি।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কারণে শ্রীলঙ্কার শিশুরা স্কুল ছাড়ছে। স্কুলগুলো অভিভাবকদের অনুরোধ করে বলছে, খাবার না দিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন না। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকট চলছে। জনগণের জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আমদানি করা খাদ্যসামগ্রী ব্যয়বহুল ও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের জৈব কৃষিকে নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের ফলে গত বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়েছে।
এসব কারণে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। আর খাদ্যসংকটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটির ৩৬ শতাংশ পরিবার খাদ্যসংকটে ভুগছে। অন্যদিকে ইউনিসেফ জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় ৫৬ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এসব কারণে অনেক শিশু এখন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তারা খালি পেটে স্কুলে যেতে চায় না। প্রিয়দর্শিনী নামের একজন অভিভাবক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘অন্য শিশুরা যখন স্কুলে বিরতির সময় খাবার খায়, তখন আমার সন্তান না খেয়ে থাকে। একজন মা হিসেবে এটি সহ্য করা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।’
প্রিয়দর্শিনী আরও বলেছেন, ‘আমার ছেলের বয়স ১৩ বছর। সে না খেয়েই স্কুলে যায়, কারণ সে ক্ষুধা সহ্য করতে পারে। কিন্তু মেয়েটার বয়স মাত্র ছয়। সে এতই ছোট যে তার পক্ষে ক্ষুধা সহ্য করে স্কুলে থাকা সম্ভব নয়।’
বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় খাদ্যসংকটের কারণে কী পরিমাণ শিশু স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে গত বছরের জুনে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছিল, যেসব স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হয় না, সেসব স্কুলে শিশুদের ঝরে পড়ার হার বেশি।
ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার কিছু এলাকার স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।’
স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার শিক্ষাবিদেরা। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. তারা দে মেল বলেছেন, ‘স্কুলগুলো যখন খাবার সরবরাহ করত, তখন শিক্ষার্থী উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে খাবারের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।’
তবে শ্রীলঙ্কার স্কুলশিক্ষকেরা বলছেন, শুধু খাদ্যসংকটের কারণেই শিশুরা স্কুল ছাড়ছে, তা নয়। বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ পরিবহন খরচ, স্টেশনারির দাম বেড়ে যাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামছাড়া হওয়া, জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সিলন টিচার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্টালিন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় শিশুদের অপুষ্টি মোকাবিলায় সরকারকে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এভাবে চলতে থাকলে এই শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে।’
শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশের গাম্পাহা জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেছেন, তাঁর স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে আসা। তাদের বেশির ভাগই সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবার ছাড়াই স্কুলে আসে। প্রায় দেখা যায়, অনেক শিশু ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
ডয়চে ভেলে বলেছে, খাদ্যসংকট ও শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া বিষয়ে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
৩ ঘণ্টা আগে