অনলাইন ডেস্ক
২০২৪ সালে জাপানে যত শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, তার তুলনায় ৯ লাখ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬৮ সালে এ ধরনের সরকারি পর্যবেক্ষণ শুরুর পর থেকে এটি ছিল দেশটির সবচেয়ে বড় বার্ষিক জনসংখ্যা হ্রাসের ঘটনা। এই পরিস্থিতিকে জাপানের দীর্ঘমেয়াদি জনসংখ্যা সংকটের এক গভীর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, এই অবস্থাকে ‘নীরব জরুরি অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি পরিবারবান্ধব নানা নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে শিশুর যত্নসেবা ও কর্মঘণ্টায় আরও নমনীয়তা আনার পরিকল্পনা।
গতকাল বুধবার জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটির জাতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৯ লাখ ৮ হাজার ৫৭৪ জন কমেছে। ওই বছরে জন্ম হয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১টি শিশুর—যা ১৮৯৯ সাল থেকে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর সর্বনিম্ন। একই সময়ে মারা গেছে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। অর্থাৎ প্রতি শিশুর জন্মের বিপরীতে মৃত্যু ঘটেছে দুজনেরও বেশি মানুষের।
এটি টানা ১৬তম বছর, যেখানে জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দেশের পেনশন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।
অন্যদিকে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ লাখে পৌঁছেছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ। বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে দেশটির সরকার ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা চালু করেছে এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। তবে অভিবাসন এখনো দেশটির রক্ষণশীল রাজনীতিতে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুতে দেশটির মোট জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ কোটি ৪৩ লাখে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর এই হিসাব অনুযায়ী, এটি মোনাকোর পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া জাপানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে ৬০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জনসংখ্যা কমতে থাকার কারণে বিগত দুই দশকে জাপানজুড়ে প্রায় ৪০ লাখ ঘরবাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শহর ও গ্রাম কার্যত জনমানবশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
জাপান সরকার বিগত কয়েক দশক ধরে জন্মহার বাড়াতে নানা উদ্দীপনা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাড়িভাড়ায় ভর্তুকি থেকে শুরু করে পিতা-মাতার ছুটিতে বেতন দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গভীর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বাধা এখনো রয়ে গেছে।
দেশটির উচ্চ জীবনযাপন ব্যয়, স্থবির মজুরি ও কঠোর কর্মসংস্কৃতি অনেক তরুণ-তরুণীকেই পরিবার শুরু করার পথে নিরুৎসাহিত করছে। বিশেষ করে, নারীরা এখনো প্রথাগত লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকার কারণে প্রাথমিক অভিভাবক হিসেবে প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন।
জাপানের প্রজনন হার বা একজন নারীর গড় সন্তানসংখ্যা ১৯৭০-এর দশক থেকেই নিম্নমুখী। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটিতে এখন বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও এর ফল পেতে কয়েক দশক সময় লাগবে।
২০২৪ সালে জাপানে যত শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, তার তুলনায় ৯ লাখ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬৮ সালে এ ধরনের সরকারি পর্যবেক্ষণ শুরুর পর থেকে এটি ছিল দেশটির সবচেয়ে বড় বার্ষিক জনসংখ্যা হ্রাসের ঘটনা। এই পরিস্থিতিকে জাপানের দীর্ঘমেয়াদি জনসংখ্যা সংকটের এক গভীর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, এই অবস্থাকে ‘নীরব জরুরি অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি পরিবারবান্ধব নানা নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে শিশুর যত্নসেবা ও কর্মঘণ্টায় আরও নমনীয়তা আনার পরিকল্পনা।
গতকাল বুধবার জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটির জাতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৯ লাখ ৮ হাজার ৫৭৪ জন কমেছে। ওই বছরে জন্ম হয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১টি শিশুর—যা ১৮৯৯ সাল থেকে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর সর্বনিম্ন। একই সময়ে মারা গেছে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। অর্থাৎ প্রতি শিশুর জন্মের বিপরীতে মৃত্যু ঘটেছে দুজনেরও বেশি মানুষের।
এটি টানা ১৬তম বছর, যেখানে জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দেশের পেনশন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।
অন্যদিকে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ লাখে পৌঁছেছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ। বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে দেশটির সরকার ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা চালু করেছে এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। তবে অভিবাসন এখনো দেশটির রক্ষণশীল রাজনীতিতে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুতে দেশটির মোট জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ কোটি ৪৩ লাখে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর এই হিসাব অনুযায়ী, এটি মোনাকোর পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া জাপানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে ৬০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জনসংখ্যা কমতে থাকার কারণে বিগত দুই দশকে জাপানজুড়ে প্রায় ৪০ লাখ ঘরবাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শহর ও গ্রাম কার্যত জনমানবশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
জাপান সরকার বিগত কয়েক দশক ধরে জন্মহার বাড়াতে নানা উদ্দীপনা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাড়িভাড়ায় ভর্তুকি থেকে শুরু করে পিতা-মাতার ছুটিতে বেতন দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গভীর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বাধা এখনো রয়ে গেছে।
দেশটির উচ্চ জীবনযাপন ব্যয়, স্থবির মজুরি ও কঠোর কর্মসংস্কৃতি অনেক তরুণ-তরুণীকেই পরিবার শুরু করার পথে নিরুৎসাহিত করছে। বিশেষ করে, নারীরা এখনো প্রথাগত লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকার কারণে প্রাথমিক অভিভাবক হিসেবে প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন।
জাপানের প্রজনন হার বা একজন নারীর গড় সন্তানসংখ্যা ১৯৭০-এর দশক থেকেই নিম্নমুখী। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটিতে এখন বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও এর ফল পেতে কয়েক দশক সময় লাগবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৩ মিনিট আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
২৩ মিনিট আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৪৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের জবাবে এটি দেশটির প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ...
২ ঘণ্টা আগে