ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিশ্বে ৯১ শতাংশ অল্প বয়সী নারীই উদ্বিগ্ন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্যের প্রভাব নিয়ে তারা মানসিক কষ্ট পান, হতাশায় ভোগেন। সেই সঙ্গে নিজের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভোগেন এবং রাজনীতিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এক বৈশ্বিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২৬টি দেশের ২৬ হাজারেরও বেশি কিশোরী ও তরুণীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
প্ল্যানের এই গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রতি তিনজন নারীর একজন বলেন, মিথ্যা তথ্য তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নারীদের আতঙ্কিত এবং বিষাদগ্রস্ত করে তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া পরামর্শমূলক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৮ শতাংশই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনো না কোনো মিথ্যা তথ্য বা কুসংস্কার বিশ্বাস করেছে। ২৫ শতাংশ নারী কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়া উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫ জনের একজন (১৯%) জানিয়েছে, অনলাইনে মিথ্যাচার এত বেশি যে তারা নির্বাচনের ফলাফলকে অবিশ্বাস করেছে। অন্যদিকে ১৮ শতাংশ নারী এই মিথ্যাচারের কারণে রাজনীতি বা সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ হারিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসেবে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্ভর করেন ৪৮ শতাংশ নারী। বাকিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই খবর খুঁজে থাকেন।
জরিপের ফলাফল বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নারীরাই ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্যের ভুক্তভোগী বেশি। ১০ জনের মধ্যে প্রায় নয়জন নারী (৮৭%) মনে করেন, ইন্টারনেটে ভুল তথ্য দেওয়ার এই প্রবণতা তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রতি ১০ জনের ৭ জন মেয়ে (৬৭%) তাদের স্কুলে কখনোই ভুল ও মিথ্যা তথ্য চিহ্নিতকরণ সম্পর্কে পড়েনি।
৬৫ শতাংশ নারী মনে করেন, ফেসবুকেই সবচেয়ে বেশি ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। এর পরেই আছে টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউব।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ পলিসি’র নির্বাহী পরিচালক ভাগ্যশ্রী ডেংগলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘মেয়েদের নিজেদের সম্পর্কে ধারণা, তারা কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবে এবং তাদের চারপাশের জগতের একটি অবয়ব দেয় ইন্টারনেট। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব বাস্তব জীবনেও পড়ছে। এটি মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটে নারীদের শরীর, পরিচয় ও আচরণ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে ছবি ও ভিডিও বিকৃত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে এবং নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে।’
‘মেয়ে আমি সমানে সমান’ ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী শিশু ও যুবাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে।
গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে ব্রাজিল, কানাডা, কলাম্বিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, জর্ডান, ইকুয়েডর, এল সালভেদর, পেরু, বুরকিনা ফাসো, কেনিয়া, মালাওয়ি, টগো এবং জাম্বিয়াতে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এই জরিপের মাধ্যমে শিশু ও নারীদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিশ্বে ৯১ শতাংশ অল্প বয়সী নারীই উদ্বিগ্ন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্যের প্রভাব নিয়ে তারা মানসিক কষ্ট পান, হতাশায় ভোগেন। সেই সঙ্গে নিজের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভোগেন এবং রাজনীতিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এক বৈশ্বিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২৬টি দেশের ২৬ হাজারেরও বেশি কিশোরী ও তরুণীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
প্ল্যানের এই গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রতি তিনজন নারীর একজন বলেন, মিথ্যা তথ্য তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নারীদের আতঙ্কিত এবং বিষাদগ্রস্ত করে তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া পরামর্শমূলক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৮ শতাংশই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনো না কোনো মিথ্যা তথ্য বা কুসংস্কার বিশ্বাস করেছে। ২৫ শতাংশ নারী কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়া উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫ জনের একজন (১৯%) জানিয়েছে, অনলাইনে মিথ্যাচার এত বেশি যে তারা নির্বাচনের ফলাফলকে অবিশ্বাস করেছে। অন্যদিকে ১৮ শতাংশ নারী এই মিথ্যাচারের কারণে রাজনীতি বা সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ হারিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসেবে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্ভর করেন ৪৮ শতাংশ নারী। বাকিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই খবর খুঁজে থাকেন।
জরিপের ফলাফল বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নারীরাই ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্যের ভুক্তভোগী বেশি। ১০ জনের মধ্যে প্রায় নয়জন নারী (৮৭%) মনে করেন, ইন্টারনেটে ভুল তথ্য দেওয়ার এই প্রবণতা তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রতি ১০ জনের ৭ জন মেয়ে (৬৭%) তাদের স্কুলে কখনোই ভুল ও মিথ্যা তথ্য চিহ্নিতকরণ সম্পর্কে পড়েনি।
৬৫ শতাংশ নারী মনে করেন, ফেসবুকেই সবচেয়ে বেশি ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। এর পরেই আছে টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউব।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ পলিসি’র নির্বাহী পরিচালক ভাগ্যশ্রী ডেংগলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘মেয়েদের নিজেদের সম্পর্কে ধারণা, তারা কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবে এবং তাদের চারপাশের জগতের একটি অবয়ব দেয় ইন্টারনেট। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব বাস্তব জীবনেও পড়ছে। এটি মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটে নারীদের শরীর, পরিচয় ও আচরণ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে ছবি ও ভিডিও বিকৃত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে এবং নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে।’
‘মেয়ে আমি সমানে সমান’ ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী শিশু ও যুবাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে।
গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে ব্রাজিল, কানাডা, কলাম্বিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, জর্ডান, ইকুয়েডর, এল সালভেদর, পেরু, বুরকিনা ফাসো, কেনিয়া, মালাওয়ি, টগো এবং জাম্বিয়াতে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এই জরিপের মাধ্যমে শিশু ও নারীদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৫ ঘণ্টা আগে