Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি কূটনীতিকদের চলাফেরা সীমিত, কেনাকাটা নিষিদ্ধ করল ওয়াশিংটন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি কর্মকর্তাদের কেনাকাটা ও চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি কর্মকর্তাদের কেনাকাটা ও চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানি কূটনীতিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে কস্টকোসহ বিভিন্ন ‘হোলসেল ক্লাব স্টোর’ থেকে কেনাকাটা ও বিলাস পণ্য কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট। কেবল তাই নয়, তাঁদের চলাফেরাও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাওয়া ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পিগট বলেছেন, তাঁদের চলাফেরা সীমিত থাকবে। তাঁরা কেবল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যাওয়া–আসা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কাজে যেখানে যাওয়া প্রয়োজন সেখানেই যেতে পারবেন। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানি প্রতিনিধিদলের ওপর এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নিউইয়র্কে অবস্থানরত ইরানি মিশনের কর্মকর্তা-পরিষদসহ সব ইরানি কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো হোলসেল ক্লাব স্টোরে (যেমন কস্টকো, স্যাম’স ক্লাব বা বিজে’স হোলসেল ক্লাব) সদস্যপদ গ্রহণ ও কেনাকাটার জন্য অনুমতি নিতে হবে।

এ ছাড়া, ১ হাজার ডলারের বেশি দামের বিলাসবহুল পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতে হবে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ঘড়ি, চামড়া ও সিল্কের পোশাক, পশমি কাপড়, গয়না, সুগন্ধি, ইলেকট্রনিকস, মদ এবং ৬০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের গাড়ি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া অনেক পণ্যই ইরানে পাওয়া যায় না, দেশটি কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মক সংকটে ভুগছে।

পিগট সোমবার বলেন, ‘আমরা ইরানি শাসকদের নিউইয়র্কে বিলাসী কেনাকাটার সুযোগ দেব না, যখন ইরানের সাধারণ মানুষ দারিদ্র্য, ভেঙে পড়া অবকাঠামো এবং পানি-বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকটে দিন কাটাচ্ছে।’

ইরানি প্রতিনিধিদলের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের ভিসাও আটকে দিয়েছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ তাঁরা সোমবার অনুষ্ঠিত দ্বিরাষ্ট্র সমাধানবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি।

জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে নিউইয়র্কে ইরানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে, যখন ইরান পরমাণু চুক্তির আওতায় প্রত্যাহার করা সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা ফের বহাল করার প্রক্রিয়া সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

পিগট আরও বলেন, ‘আমেরিকানদের নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অজুহাতে ইরানি সরকারকে নিউইয়র্কে অবাধ চলাচল ও সন্ত্রাসবাদী এজেন্ডা ছড়াতে আমরা কখনোই দেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের কূটনৈতিক সফরকে ইরানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য এমন পণ্য সংগ্রহের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে আমরা দিচ্ছি না, যেগুলো সাধারণ ইরানিরা পাচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছি—আমরা যখন বলি, যুক্তরাষ্ট্র ইরানি জনগণের পাশে আছে, তখন আমরা সত্যিই তা-ই বোঝাই। আজকের এই পদক্ষেপ দেখাচ্ছে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা এবং একটি উন্নত জীবনের জন্য ইরানি জনগণের সংগ্রামে আমরা অটলভাবে তাঁদের সমর্থন দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

ভবদহের দুঃখ ঘোচাতে আসছে সেনাবাহিনী, খনন করবে ৫ নদ-নদীর ৮১.৫ কিমি

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

তাহসান তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন: তসলিমা

ছাত্রদলের দাবির মুখে রাকসু ভোট পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত