ইশতিয়াক হাসান

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ
ইশতিয়াক হাসান

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের উন্মাদনা চলছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইরানিয়ান মানবাধিকার সংগঠন আব্দর রহমান বোরোমান্ড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রয়া বোরোমান্ড বলেন, কাউকে খুনের জন্য ইরানে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। হয় আপনাকে ক্ষমা করা হবে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
কিন্তু ইরানের চেয়েও যেসব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেখানেও এত বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তথ্য দিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে এসব মৃত্যুদণ্ডের মাত্র ১২ শতাংশ সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক নারী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।
রয়া বোরোমান্ড বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ২২ বছরে কমপক্ষে ২৩৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ডের তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে খুনের দায়ে আর ৯৬ জন অবৈধ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ এর একটি ক্ষুদ্র অংশকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বোরোমান্ড।
এ ছাড়া দেশটির আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করা যায় না। ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে শুধু নিহতের পরিবার পারে কাউকে ক্ষমা করতে।
সম্প্রতি গোলি কোহকান নামের এক বালিকাবধূর মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে ইরানের এই অন্ধকার দিকটি আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলির মতো আরও তিন নারী মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন। সামিরা সাবজিয়ান ফারদ, যাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর স্বামীর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাতেমা সালবেহি, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন; পরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জয়নাব সেকানভান্দ, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে আটক হন। আদালতে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানালেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ইরানে মৃত্যুদণ্ডের উন্মাদনা চলছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইরানিয়ান মানবাধিকার সংগঠন আব্দর রহমান বোরোমান্ড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রয়া বোরোমান্ড বলেন, কাউকে খুনের জন্য ইরানে কোনো কারাদণ্ডের বিধান নেই। হয় আপনাকে ক্ষমা করা হবে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
কিন্তু ইরানের চেয়েও যেসব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেখানেও এত বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তথ্য দিচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে এসব মৃত্যুদণ্ডের মাত্র ১২ শতাংশ সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক নারী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ।
রয়া বোরোমান্ড বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ২২ বছরে কমপক্ষে ২৩৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ডের তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে খুনের দায়ে আর ৯৬ জন অবৈধ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ এর একটি ক্ষুদ্র অংশকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বোরোমান্ড।
এ ছাড়া দেশটির আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পরিবর্তন করা যায় না। ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে শুধু নিহতের পরিবার পারে কাউকে ক্ষমা করতে।
সম্প্রতি গোলি কোহকান নামের এক বালিকাবধূর মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে ইরানের এই অন্ধকার দিকটি আবারও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলির মতো আরও তিন নারী মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন। সামিরা সাবজিয়ান ফারদ, যাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর স্বামীর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাতেমা সালবেহি, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন; পরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। জয়নাব সেকানভান্দ, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সে স্বামীর হত্যার অভিযোগে আটক হন। আদালতে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানালেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৫ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
সিডনিতে একটি একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা ফিশার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছি এখন—যেটা ওয়েলিংটনে অসম্ভব মনে হয়েছিল।’
স্ট্যাটস এনজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডের ৭৩ হাজার ৯০০ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড এই ‘মেধা পাচার’ এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হলেও অস্ট্রেলিয়া এতে লাভবান হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন হাবের পরিচালক অ্যালান গ্যামলেন বলেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে মানুষের প্রবাহ বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দুর্বল এবং বৈশ্বিক ধাক্কায় বেশি প্রভাবিত হয়।’
তিনি জানান, মাথাপিছু জিডিপিতে দুই দেশের পার্থক্যই এই প্রবণতার জন্য দায়ী। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার, নিউজিল্যান্ডে তা মাত্র ৪৮ হাজার ডলার।
২২ বছর বয়সী জেনিভিভ ফালটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেছেন। আগে ঘণ্টায় তিনি ২২.৭০ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতেন। এখন তাঁর আয় দ্বিগুণ। এতে তিনি কম সময় কাজ করেও তাঁর পছন্দের ইলাস্ট্রেশনের পেশায় মন দিতে পারছেন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রেরণাটুকু তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই একজন ওয়েল্ডার। দুই বছর আগে তিনি মেলবোর্নে গিয়ে বোনকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজও বেশি, টাকাও পাগল করা।’
একইভাবে, ঐতিহ্যবাহী সামোয়ান ট্যাটু শিল্পী টাইলা ভায়াউ বলেন, ‘অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ডের শহর) এখন আর আমার বেড়ে ওঠা শহরের মতো নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাড়ির দাম সেখানে এমন পর্যায়ে যে, ফেরার চিন্তা করাও অসম্ভব।’ তিনি এখন পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে স্থায়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তরুণ অ্যান্ডি ফেকনি জানান, তাঁর সিডনিতে যাওয়া সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারভিত্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে পেশাগতভাবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁদের ৮০ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে বসবাস করেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও গোল্ড কোস্টে এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা থাকেন। এরপরই তাঁদের পছন্দের শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ও সিডনি।
গল্পের শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই হেইডেন ফিশার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সুন্দর দেশ ঠিকই। কিন্তু সুন্দর পাহাড় ভাড়া আর বিল পরিশোধ করে না।’

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
সিডনিতে একটি একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা ফিশার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছি এখন—যেটা ওয়েলিংটনে অসম্ভব মনে হয়েছিল।’
স্ট্যাটস এনজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডের ৭৩ হাজার ৯০০ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড এই ‘মেধা পাচার’ এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হলেও অস্ট্রেলিয়া এতে লাভবান হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন হাবের পরিচালক অ্যালান গ্যামলেন বলেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে মানুষের প্রবাহ বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দুর্বল এবং বৈশ্বিক ধাক্কায় বেশি প্রভাবিত হয়।’
তিনি জানান, মাথাপিছু জিডিপিতে দুই দেশের পার্থক্যই এই প্রবণতার জন্য দায়ী। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার, নিউজিল্যান্ডে তা মাত্র ৪৮ হাজার ডলার।
২২ বছর বয়সী জেনিভিভ ফালটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেছেন। আগে ঘণ্টায় তিনি ২২.৭০ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতেন। এখন তাঁর আয় দ্বিগুণ। এতে তিনি কম সময় কাজ করেও তাঁর পছন্দের ইলাস্ট্রেশনের পেশায় মন দিতে পারছেন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রেরণাটুকু তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই একজন ওয়েল্ডার। দুই বছর আগে তিনি মেলবোর্নে গিয়ে বোনকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজও বেশি, টাকাও পাগল করা।’
একইভাবে, ঐতিহ্যবাহী সামোয়ান ট্যাটু শিল্পী টাইলা ভায়াউ বলেন, ‘অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ডের শহর) এখন আর আমার বেড়ে ওঠা শহরের মতো নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাড়ির দাম সেখানে এমন পর্যায়ে যে, ফেরার চিন্তা করাও অসম্ভব।’ তিনি এখন পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে স্থায়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তরুণ অ্যান্ডি ফেকনি জানান, তাঁর সিডনিতে যাওয়া সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারভিত্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে পেশাগতভাবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁদের ৮০ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে বসবাস করেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও গোল্ড কোস্টে এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা থাকেন। এরপরই তাঁদের পছন্দের শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ও সিডনি।
গল্পের শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই হেইডেন ফিশার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সুন্দর দেশ ঠিকই। কিন্তু সুন্দর পাহাড় ভাড়া আর বিল পরিশোধ করে না।’

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৩১ জন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এসব নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা তাঁদের স্বামীকে হত্যা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
৫ ঘণ্টা আগে