বিশ্বের ৮০ টির মতো দেশে কার্যক্রম আছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ১৩ বছরে বিশ্বের ৮০টি দেশে পৌঁছাতে উবার যে কৌশল অবলম্বন করেছে, তা নিঃসন্দেহে সর্বগ্রাসী। এমন তথ্যই উঠে এসেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) প্রকাশিত নথিপত্রে।
উবার নিজেদের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে ব্যবহার করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন—বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি, এস্তোনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট থমাস হেন্ড্রিকসহ আরও অনেকেই। আইসিআইজে প্রকাশিত নথিপত্র থেকে এই নামগুলো পাওয়া গেছে।
আইসিআইজের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে উবারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী ট্রেভিস কালানিকের সাক্ষাৎ হয়। সে সময় বাইডেন কালানিকের কথায় এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, সেদিন দেওয়া এক ভাষণে তিনি উবারের মঙ্গল কামনা করেন।
তালিকার এখানেই শেষ নয়। আইসিআইজের প্রকাশিত নথি থেকে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উবারের কর্মকর্তারা অন্তত সাতজন সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ১৯ জন মন্ত্রী, চারজন উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী, তিনজন এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮ জন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এককভাবে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তত ৪২ বার বৈঠক করে প্রতিষ্ঠানটি।
উবার বিশ্বজুড়ে নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে স্রেফ সর্বগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগিয়েছে। বিষয়টি উবারের গ্লোবাল কমিউনিকেশনের সাবেক প্রধান নইরি হৌরদাজিয়ানের এক মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। সে সময় ভারত এবং থাই সরকার দেশ দুটিতে উবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টার জবাবে হৌরদাজিয়ান তাঁর এক কলিগকে পাঠানো ই-মেইলে বলেছিলেন, ‘we are just fucking illegal. ’ সোজা কথায় বললে, উবার তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায়ই অবৈধ পন্থার আশ্রয় নিয়েছে।
কেবল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকই নয়, আরও এগিয়ে সরাসরি বিভিন্ন দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে আনতে লবিস্টদের জন্য ২০১৬ সালে উবারের বরাদ্দ ছিল প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। এমনই এক লবিস্ট ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের রাজনীতিক ব্রায়ান ওর্থ। তাঁকে ২০১৪ সালে নিয়োগ দিয়েছিল উবার। আইসিআইজে প্রকাশিত তথ্য অনুসারের, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেন উবারের বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
ব্রায়ান ওর্থের চেয়ে আরও এক লবিস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন উবারের হয়ে। তিনি ডেভিড প্লাউফ। তিনি ২০০৮ সালে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারের কৌশল নির্ধারণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। পরে তিনি ২০১৪ সালে উবারের যোগ দেন। সেখানে তিনি উবারের গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং, কমিউনিকেশন এবং নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে যে উবার ওবামা প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতেই ব্যবহার করেছিল, তা বোধ হয় না বললেও চলে। কারণ, পরে প্লাউফ মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন, তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী টস পেরেজ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হার্টলি। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি স্বীকার করেনি।
উবারের সাবেক মুখপাত্র জিল হেজেলবেকার প্রতিষ্ঠানটি তার প্রয়োজন অনুসারে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এবং প্রতিষ্ঠানটি যত পরিণত হয়েছে, তত বেশি লবিংয়ের দিকে মনোযোগী হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ‘উবার স্বচ্ছতা বজায় রাখে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন প্রয়োজন হয়েছে, তখন উবার তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করেছে।’
কিন্তু উবার যাই করুক বা বলুক না কেন আইসিআইজের প্রতিবেদন বলছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের উন্নতির স্বার্থে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ব্যবহার করেছে। তাঁদের ঘুষও দিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এই ধরনের আচরণের মাধ্যমে উবার বিভিন্ন দেশেই নিজেদের ব্যবসার অনুকূলে নীতিনির্ধারণে রাজনীতিবিদ-আমলাদের প্রভাবিত করার প্রয়াস পেয়েছে।
বিশ্বের ৮০ টির মতো দেশে কার্যক্রম আছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ১৩ বছরে বিশ্বের ৮০টি দেশে পৌঁছাতে উবার যে কৌশল অবলম্বন করেছে, তা নিঃসন্দেহে সর্বগ্রাসী। এমন তথ্যই উঠে এসেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) প্রকাশিত নথিপত্রে।
উবার নিজেদের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে ব্যবহার করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন—বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি, এস্তোনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট থমাস হেন্ড্রিকসহ আরও অনেকেই। আইসিআইজে প্রকাশিত নথিপত্র থেকে এই নামগুলো পাওয়া গেছে।
আইসিআইজের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে উবারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী ট্রেভিস কালানিকের সাক্ষাৎ হয়। সে সময় বাইডেন কালানিকের কথায় এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, সেদিন দেওয়া এক ভাষণে তিনি উবারের মঙ্গল কামনা করেন।
তালিকার এখানেই শেষ নয়। আইসিআইজের প্রকাশিত নথি থেকে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উবারের কর্মকর্তারা অন্তত সাতজন সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ১৯ জন মন্ত্রী, চারজন উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী, তিনজন এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮ জন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এককভাবে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তত ৪২ বার বৈঠক করে প্রতিষ্ঠানটি।
উবার বিশ্বজুড়ে নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে স্রেফ সর্বগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগিয়েছে। বিষয়টি উবারের গ্লোবাল কমিউনিকেশনের সাবেক প্রধান নইরি হৌরদাজিয়ানের এক মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। সে সময় ভারত এবং থাই সরকার দেশ দুটিতে উবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টার জবাবে হৌরদাজিয়ান তাঁর এক কলিগকে পাঠানো ই-মেইলে বলেছিলেন, ‘we are just fucking illegal. ’ সোজা কথায় বললে, উবার তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায়ই অবৈধ পন্থার আশ্রয় নিয়েছে।
কেবল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকই নয়, আরও এগিয়ে সরাসরি বিভিন্ন দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে আনতে লবিস্টদের জন্য ২০১৬ সালে উবারের বরাদ্দ ছিল প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। এমনই এক লবিস্ট ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের রাজনীতিক ব্রায়ান ওর্থ। তাঁকে ২০১৪ সালে নিয়োগ দিয়েছিল উবার। আইসিআইজে প্রকাশিত তথ্য অনুসারের, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেন উবারের বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
ব্রায়ান ওর্থের চেয়ে আরও এক লবিস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন উবারের হয়ে। তিনি ডেভিড প্লাউফ। তিনি ২০০৮ সালে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারের কৌশল নির্ধারণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। পরে তিনি ২০১৪ সালে উবারের যোগ দেন। সেখানে তিনি উবারের গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং, কমিউনিকেশন এবং নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে যে উবার ওবামা প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতেই ব্যবহার করেছিল, তা বোধ হয় না বললেও চলে। কারণ, পরে প্লাউফ মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন, তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী টস পেরেজ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হার্টলি। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি স্বীকার করেনি।
উবারের সাবেক মুখপাত্র জিল হেজেলবেকার প্রতিষ্ঠানটি তার প্রয়োজন অনুসারে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এবং প্রতিষ্ঠানটি যত পরিণত হয়েছে, তত বেশি লবিংয়ের দিকে মনোযোগী হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ‘উবার স্বচ্ছতা বজায় রাখে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন প্রয়োজন হয়েছে, তখন উবার তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করেছে।’
কিন্তু উবার যাই করুক বা বলুক না কেন আইসিআইজের প্রতিবেদন বলছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের উন্নতির স্বার্থে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ব্যবহার করেছে। তাঁদের ঘুষও দিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এই ধরনের আচরণের মাধ্যমে উবার বিভিন্ন দেশেই নিজেদের ব্যবসার অনুকূলে নীতিনির্ধারণে রাজনীতিবিদ-আমলাদের প্রভাবিত করার প্রয়াস পেয়েছে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে