পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার সরকার রিজার্ভে থাকা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রিজার্ভ ক্রমশ কমছে। এর ফলে ঘানার স্থানীয় মুদ্রা সিডি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বেড়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। ঘানার সরকার বলেছে, দেশের সংকটাপন্ন এই পরিস্থিতিতে ডলারের সংকট মোকাবিলায় সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
ঘানার সরকারি তথ্যমতে, গত বছরের শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৯৭০ কোটি ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা নেমে এসেছে ৬৬০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও কম আমদানি চাহিদা মেটানো সম্ভব।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া বলেছেন, ‘২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের পরিকল্পনা (সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনা) বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের স্থানীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
মাহামুদু বাউমিয়া আরও বলেছেন, সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কিনলে মুদ্রা বিনিময় হারের প্রভাব জ্বালানি বিলের ওপর পড়বে না। কারণ, তেল বা অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে বিক্রেতাদের তখন বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনা বিনিময়ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তন আনবে।
আল-জাজিরা লিখেছে, ঘানার পরিকল্পনা অস্বাভাবিক। অনেক দেশ মাঝে মাঝে তেলের বিনিময়ে অন্যান্য পণ্য বা সেবা কেনে বটে, তবে তেল উৎপাদক দেশগুলোকেই তেল ছাড়া অন্য পণ্য ক্রয়ে এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়, তেল আমদানিকারক দেশকে নয়।
ঘানা অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে ২০১৭ সালে একটি বিস্ফোরণে দেশটির একমাত্র তেল শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তেল আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ে ঘানা।
বাউমিয়ার ঘোষণাটি পোস্ট করা হয়েছিল যখন অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা একটি স্পাইলিং ঋণ সংকট মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
কয়েক দিন আগে ঘানার অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা বলেছিলেন, ঋণের সংকট মোকাবিলায় ব্যয় কমানো ও রাজস্ব বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এরই মধ্যে রিজার্ভের ডলারের বদলে সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনার কথা জানালেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদু বাউমিয়া।
গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ২০২৩ সালের বাজেট উপস্থাপন করেছেন ওফোরি-আত্তা। বাজেট বক্তৃতায় তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ঘানা ঋণসংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঘানার সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি ত্রাণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছে। কোকো, সোনা ও তেল উৎপাদনকারী দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার সরকার রিজার্ভে থাকা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রিজার্ভ ক্রমশ কমছে। এর ফলে ঘানার স্থানীয় মুদ্রা সিডি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বেড়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। ঘানার সরকার বলেছে, দেশের সংকটাপন্ন এই পরিস্থিতিতে ডলারের সংকট মোকাবিলায় সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
ঘানার সরকারি তথ্যমতে, গত বছরের শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৯৭০ কোটি ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা নেমে এসেছে ৬৬০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও কম আমদানি চাহিদা মেটানো সম্ভব।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া বলেছেন, ‘২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের পরিকল্পনা (সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনা) বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের স্থানীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
মাহামুদু বাউমিয়া আরও বলেছেন, সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কিনলে মুদ্রা বিনিময় হারের প্রভাব জ্বালানি বিলের ওপর পড়বে না। কারণ, তেল বা অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে বিক্রেতাদের তখন বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনা বিনিময়ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তন আনবে।
আল-জাজিরা লিখেছে, ঘানার পরিকল্পনা অস্বাভাবিক। অনেক দেশ মাঝে মাঝে তেলের বিনিময়ে অন্যান্য পণ্য বা সেবা কেনে বটে, তবে তেল উৎপাদক দেশগুলোকেই তেল ছাড়া অন্য পণ্য ক্রয়ে এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়, তেল আমদানিকারক দেশকে নয়।
ঘানা অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে ২০১৭ সালে একটি বিস্ফোরণে দেশটির একমাত্র তেল শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তেল আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ে ঘানা।
বাউমিয়ার ঘোষণাটি পোস্ট করা হয়েছিল যখন অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা একটি স্পাইলিং ঋণ সংকট মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
কয়েক দিন আগে ঘানার অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা বলেছিলেন, ঋণের সংকট মোকাবিলায় ব্যয় কমানো ও রাজস্ব বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এরই মধ্যে রিজার্ভের ডলারের বদলে সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনার কথা জানালেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদু বাউমিয়া।
গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ২০২৩ সালের বাজেট উপস্থাপন করেছেন ওফোরি-আত্তা। বাজেট বক্তৃতায় তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ঘানা ঋণসংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঘানার সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি ত্রাণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছে। কোকো, সোনা ও তেল উৎপাদনকারী দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৪ ঘণ্টা আগে