আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর নেই, কনেও নেই, কন্যাদান বা সাতপাকের অনুষ্ঠানেরও কোনো নজির নেই—তবু হচ্ছে বিয়ের উৎসব। আলোকসজ্জা, গান, গাঁদা ফুলের মালা, ঝলমলে পোশাক আর অন্তহীন নাচ-গানই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। দিল্লির বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ক্লাব, সর্বত্র এই ধরনের ভুয়া বিয়ের উৎসবে মেতেছে ভারতের তরুণ প্রজন্ম। এর উদ্দেশ্য একটাই—বাস্তব বিয়েতে অংশ নেওয়ার বিপুল ব্যয়ের ঝামেলা এড়িয়ে বিয়ের আনন্দ উপভোগ করা।
ভারতের শহুরে তরুণ সমাজের এই অদ্ভুত প্রবণতা নিয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, ভারতের বিবাহ শিল্পের আয় বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বিশেষ করে দেশটির ধনী পরিবারগুলো একেকটি বিয়েতে কোটি কোটি রুপি ব্যয় করে। তবে এর বিপরীতে নতুন ‘ভুয়া বিয়ের’ সংস্কৃতিতে খরচ অনেক কম। এই ধরনের একটি পার্টিতে অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে একেকজনের ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
বর্তমানে ভারতে এই ধরনের বিয়ের উৎসবের আয়োজন করছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দিল্লির ‘জুম্মা কি রাত’ নামের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ভুয়া বিয়ের আয়োজন করেছিল। এর উদ্যোক্তা সাহিব গুজরাল বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মজার ছলে একটা সাজানো মঞ্চ করব। কিন্তু মানুষ এমনভাবে সাড়া দেবে ভাবিনি। এখানে কেউ বিয়ে করছে না, শুধু নাচছে আর উপভোগ করছে।’
ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিরা একে অপরকে মজা করে জিজ্ঞেস করছিল—আপনি কনে পক্ষ, নাকি বর পক্ষ? যদিও বাস্তবে কোনো পক্ষই ছিল না সেখানে। এই ধরনের উৎসবে অচেনা মানুষ একে অপরের সঙ্গে পরিবারের মতো করে ছবি তোলে, আবার কেউ কেউ বলিউডের গানে দল বেঁধে নাচে। মধ্যরাত নাগাদ পুরো জায়গাটা যেন আনন্দে ডুবে যায়।
২১ বছর বয়সী এক তরুণ বলেন, ‘নাইটক্লাবে গেলে সবাই নিজের গ্রুপে থাকে, কিন্তু এখানে সবাই মিশে যায়।’
এই ভুয়া বিয়ে এখন শুধু তরুণদের নয়, অংশ নিচ্ছেন মাঝবয়সীরাও। কেউ কেউ এই আসরকে ব্যবহার করছেন সাজগোজের সুযোগ হিসেবে। পূজা নামে দিল্লির এক অংশগ্রহণকারী জানান, তাঁর কাজিনের বিয়ের একটি দামি লেহেঙ্গা বাড়িতে পড়ে ছিল। তাই তিনি সেটা পরে ভুয়া বিয়ের উৎসবে এসেছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে আয়োজিত ‘শাদি মুবারক’ ছিল কুইয়ার সম্প্রদায়কেন্দ্রিক একটি ভুয়া বিয়ে। আয়োজক বৈভব মোদি ও আশিস চোপড়া বলেন, ‘এটা এমন এক বিবাহ, যা আমরা আইনি স্বীকৃতি না পেলেও হৃদয়ে অনুভব করি।’
এই ধরনের বিয়েতে এখনো তেমন কোনো সামাজিক প্রতিরোধ দেখা যায়নি। তবে কিছু বিতর্ক উঠেছে। মহারাষ্ট্রে একবার অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতির জন্য একটি ভুয়া বিয়ের পার্টি ভেঙে দিয়েছিল পুলিশ।
সমালোচকেরা বলছেন, এটি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ক্ষণস্থায়ী ট্রেন্ড। কিন্তু অনেক সংগঠক বিশ্বাস করেন, ছোট শহরগুলোতে এই আয়োজন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাঁদের মতে, এই ভুয়া বিয়েগুলো আসলে আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের চাপ, ব্যয় আর প্রত্যাশার বিরুদ্ধে একধরনের সামাজিক প্রতিক্রিয়া।
‘জুম্মা কি রাত’ এর উদ্যোক্তা গুজরাল বলেন, ‘ভারতের বিয়ে শিল্প বহুদিন ধরে মানুষকে শিখিয়েছে বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে, সেটাই বড় ব্যাপার। সেই ধারণাটাকেই উল্টে আমরা বিয়েকে পণ্য বানিয়ে বিক্রি করছেন।’
ভারতের নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে এখন প্রায়ই শোনা যাচ্ছে—বিয়ের মতো সাজো, কিন্তু বিয়ে নয়; শুধু আনন্দে নাচো গাঁদা ফুলের আলোয়।
বর নেই, কনেও নেই, কন্যাদান বা সাতপাকের অনুষ্ঠানেরও কোনো নজির নেই—তবু হচ্ছে বিয়ের উৎসব। আলোকসজ্জা, গান, গাঁদা ফুলের মালা, ঝলমলে পোশাক আর অন্তহীন নাচ-গানই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। দিল্লির বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ক্লাব, সর্বত্র এই ধরনের ভুয়া বিয়ের উৎসবে মেতেছে ভারতের তরুণ প্রজন্ম। এর উদ্দেশ্য একটাই—বাস্তব বিয়েতে অংশ নেওয়ার বিপুল ব্যয়ের ঝামেলা এড়িয়ে বিয়ের আনন্দ উপভোগ করা।
ভারতের শহুরে তরুণ সমাজের এই অদ্ভুত প্রবণতা নিয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, ভারতের বিবাহ শিল্পের আয় বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বিশেষ করে দেশটির ধনী পরিবারগুলো একেকটি বিয়েতে কোটি কোটি রুপি ব্যয় করে। তবে এর বিপরীতে নতুন ‘ভুয়া বিয়ের’ সংস্কৃতিতে খরচ অনেক কম। এই ধরনের একটি পার্টিতে অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে একেকজনের ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
বর্তমানে ভারতে এই ধরনের বিয়ের উৎসবের আয়োজন করছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দিল্লির ‘জুম্মা কি রাত’ নামের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ভুয়া বিয়ের আয়োজন করেছিল। এর উদ্যোক্তা সাহিব গুজরাল বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মজার ছলে একটা সাজানো মঞ্চ করব। কিন্তু মানুষ এমনভাবে সাড়া দেবে ভাবিনি। এখানে কেউ বিয়ে করছে না, শুধু নাচছে আর উপভোগ করছে।’
ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিরা একে অপরকে মজা করে জিজ্ঞেস করছিল—আপনি কনে পক্ষ, নাকি বর পক্ষ? যদিও বাস্তবে কোনো পক্ষই ছিল না সেখানে। এই ধরনের উৎসবে অচেনা মানুষ একে অপরের সঙ্গে পরিবারের মতো করে ছবি তোলে, আবার কেউ কেউ বলিউডের গানে দল বেঁধে নাচে। মধ্যরাত নাগাদ পুরো জায়গাটা যেন আনন্দে ডুবে যায়।
২১ বছর বয়সী এক তরুণ বলেন, ‘নাইটক্লাবে গেলে সবাই নিজের গ্রুপে থাকে, কিন্তু এখানে সবাই মিশে যায়।’
এই ভুয়া বিয়ে এখন শুধু তরুণদের নয়, অংশ নিচ্ছেন মাঝবয়সীরাও। কেউ কেউ এই আসরকে ব্যবহার করছেন সাজগোজের সুযোগ হিসেবে। পূজা নামে দিল্লির এক অংশগ্রহণকারী জানান, তাঁর কাজিনের বিয়ের একটি দামি লেহেঙ্গা বাড়িতে পড়ে ছিল। তাই তিনি সেটা পরে ভুয়া বিয়ের উৎসবে এসেছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে আয়োজিত ‘শাদি মুবারক’ ছিল কুইয়ার সম্প্রদায়কেন্দ্রিক একটি ভুয়া বিয়ে। আয়োজক বৈভব মোদি ও আশিস চোপড়া বলেন, ‘এটা এমন এক বিবাহ, যা আমরা আইনি স্বীকৃতি না পেলেও হৃদয়ে অনুভব করি।’
এই ধরনের বিয়েতে এখনো তেমন কোনো সামাজিক প্রতিরোধ দেখা যায়নি। তবে কিছু বিতর্ক উঠেছে। মহারাষ্ট্রে একবার অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতির জন্য একটি ভুয়া বিয়ের পার্টি ভেঙে দিয়েছিল পুলিশ।
সমালোচকেরা বলছেন, এটি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ক্ষণস্থায়ী ট্রেন্ড। কিন্তু অনেক সংগঠক বিশ্বাস করেন, ছোট শহরগুলোতে এই আয়োজন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাঁদের মতে, এই ভুয়া বিয়েগুলো আসলে আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের চাপ, ব্যয় আর প্রত্যাশার বিরুদ্ধে একধরনের সামাজিক প্রতিক্রিয়া।
‘জুম্মা কি রাত’ এর উদ্যোক্তা গুজরাল বলেন, ‘ভারতের বিয়ে শিল্প বহুদিন ধরে মানুষকে শিখিয়েছে বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে, সেটাই বড় ব্যাপার। সেই ধারণাটাকেই উল্টে আমরা বিয়েকে পণ্য বানিয়ে বিক্রি করছেন।’
ভারতের নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে এখন প্রায়ই শোনা যাচ্ছে—বিয়ের মতো সাজো, কিন্তু বিয়ে নয়; শুধু আনন্দে নাচো গাঁদা ফুলের আলোয়।
ভারতে সফররত তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর এবার বিপরীত ঘটনা ঘটল। রোববার (১২ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লিতে আরও একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মুত্তাকি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিকেরাও। শুধু তাই নয়, নারী নিয়ে তিনি বেশ...
১৫ মিনিট আগেছত্তিশগড়ের খৈরাগড় জেলার সারাগোন্ডি গ্রামের বৃদ্ধা দেবলা বাই। নিঃসন্তান এই নারী দুই দশক আগে নিজের উঠানে একটি ছোট অশ্বত্থগাছ লাগিয়েছিলেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, তিনি গাছটিকে নিজের সন্তানের মতো যত্ন করতেন। নিয়মিত পানি দিতেন, পরিচর্যা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। উভয় দেশই দাবি করছে—তারা একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক (জাতীয়) নেত্রী পূজা শকুন পাণ্ডে। ১৫ দিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার রাতে রাজস্থানের ভরতপুর জেলার লোধা বাইপাস এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার...
৪ ঘণ্টা আগে