Ajker Patrika

তেল আবিবে মহাসমাবেশ: নেতানিয়াহুর নাম বলতেই মার্কিন দূতকে থামিয়ে দুয়োধ্বনি, ট্রাম্পের নামে স্লোগান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২২
তেল আবিবে হোস্টেজ স্কয়ারের সমাবেশে ট্রাম্পের নামে ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত
তেল আবিবে হোস্টেজ স্কয়ারের সমাবেশে ট্রাম্পের নামে ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গতকাল শনিবার রাতে তেল আবিবে জিম্মি মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করতেই জনতা সমস্বরে দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করে। রাষ্ট্রদূত উইটকফের বক্তব্য বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। উইটকফ যখন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করছিলেন, তখনই এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, তাঁর স্ত্রী ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং স্টিভ উইটকফ এই সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিন দিন আগে উইটকফ ও কুশনারই মার্কিন সমর্থিত জিম্মি-যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সমাবেশে উইটকফ ও কুশনারকে উল্লাস ও করতালি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এক লাখের বেশি মানুষ এতে অংশ নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন উইটকফ চুক্তির আলোচনায় নেতানিয়াহুর ভূমিকার প্রশংসা করতে শুরু করেন। তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’, বলতেই জনতা দুয়োধ্বনি দেয় এবং নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে শুরু করে। বিব্রত উইটকফ পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, ‘ঠিক আছে, আমাকে আমার কথাটা শেষ করতে দিন।’

উইটকফ পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একত্রে কাজ করেছি। বিশ্বাস করুন, তিনি এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ছিলেন।’ পরে তিনি নেতানিয়াহু এবং স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডার্মারের দীর্ঘ প্রশংসা করেন। যখনই তিনি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেন, তখনই উল্লাসধ্বনি শোনা যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর অপহৃত জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে প্রতি সপ্তাহে এই ধরনের সমাবেশ হয়ে আসছে। এসব সমাবেশে প্রায়ই নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নামে এমন দুয়োধ্বনি দেওয়ায় খেপেছেন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মন্ত্রীরা। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ইয়োভ কিসচ প্রতিবাদকারীদের ‘ইসরায়েলি সমাজের চরমপন্থী অংশ’ বলে অভিহিত করেন, আর বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন এটিকে ‘বিরাট কলঙ্ক’ এবং ‘অকৃতজ্ঞতার লজ্জাজনক প্রদর্শন’ বলে বর্ণনা করেন। লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যতটা চিৎকারই করুন না কেন, আপনারা সত্যকে দুয়ো দিচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চীনের বেলুন সহ্য হয়নি, এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কাতারকে বিমানঘাঁটি দিচ্ছেন ট্রাম্প

চট্টগ্রামে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জেরে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের সময়ে অনড় জামায়াত-এনসিপি

সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ, কলেজশিক্ষার্থী আটক

ট্রাম্পকে না দেওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা নষ্ট হয়েছে: পুতিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত