জাতিসংঘের দুজন বিশেষজ্ঞকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বেশ কয়েকজন আসামির অনুপস্থিতিতে আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সামরিক আদালত গতকাল শনিবার এ রায় দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ মার্চ কঙ্গোর কাসাই এলাকা থেকে সুইডিশ নাগরিক জাইদা কাতালান ও আমেরিকান মিশেল শার্প অপহরণের শিকার হন। জাতিসংঘের এ দুই বিশেষজ্ঞকে ওই দিনই হত্যা করা হয়। তবে নিখোঁজের ১৬ দিন পর ২৮ মার্চ একটি গ্রামে তাঁদের মরদেহ পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে কাতালানের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ওই বছরের জুনেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে হস্তান্তর করা এক প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এমন একটি হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে নাড়া দেয়। মামলার চার্জশিটে ‘সন্ত্রাস’ ও ‘খুন’ থেকে ‘একটি বিদ্রোহমূলক আন্দোলন’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক ডজন লোক চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারের মুখোমুখি হন কঙ্গোর সামরিক আদালতে। প্রসিকিউটররা ৫৪ জন আসামির মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করলে গণবিচারে রায় পান। এদের মধ্যে ২২ জন পলাতক রয়েছেন।
প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কর্নেল জিন দে ডিউ মাম্বওয়েনি। প্রসিকিউটররা বলছেন, মিলিশিয়াদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ ছিল, গোলাবারুদ সরবরাহ করেছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর আইনজীবীরা একে পরিকল্পিত বিচার বলে অভিহিত করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে তাঁর প্রতিরক্ষা দল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কঙ্গোর সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া গ্রুপের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ঐতিহ্যবাহী প্রধান কামুইনা এনসাপু হত্যার কারণে এ লড়াই শুরু হয়। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে সংঘাত শুরু হওয়ার আগে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন নিহত হন; কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান।
জাতিসংঘ কর্তৃক নিয়োগ পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ও গণকবর বিষয়ে তদন্ত করতে কঙ্গোতে এসেছিলেন মাইকেল শার্প ও জাইদা কাতালান। এই তদন্তের খবর জানতে পারে সরকার ও একটি স্থানীয় গ্রুপ। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আদালত। এই অপরাধে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করায় রায়টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের দুজন বিশেষজ্ঞকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বেশ কয়েকজন আসামির অনুপস্থিতিতে আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সামরিক আদালত গতকাল শনিবার এ রায় দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ মার্চ কঙ্গোর কাসাই এলাকা থেকে সুইডিশ নাগরিক জাইদা কাতালান ও আমেরিকান মিশেল শার্প অপহরণের শিকার হন। জাতিসংঘের এ দুই বিশেষজ্ঞকে ওই দিনই হত্যা করা হয়। তবে নিখোঁজের ১৬ দিন পর ২৮ মার্চ একটি গ্রামে তাঁদের মরদেহ পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে কাতালানের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ওই বছরের জুনেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে হস্তান্তর করা এক প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এমন একটি হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে নাড়া দেয়। মামলার চার্জশিটে ‘সন্ত্রাস’ ও ‘খুন’ থেকে ‘একটি বিদ্রোহমূলক আন্দোলন’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক ডজন লোক চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারের মুখোমুখি হন কঙ্গোর সামরিক আদালতে। প্রসিকিউটররা ৫৪ জন আসামির মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করলে গণবিচারে রায় পান। এদের মধ্যে ২২ জন পলাতক রয়েছেন।
প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কর্নেল জিন দে ডিউ মাম্বওয়েনি। প্রসিকিউটররা বলছেন, মিলিশিয়াদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ ছিল, গোলাবারুদ সরবরাহ করেছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর আইনজীবীরা একে পরিকল্পিত বিচার বলে অভিহিত করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে তাঁর প্রতিরক্ষা দল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কঙ্গোর সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া গ্রুপের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ঐতিহ্যবাহী প্রধান কামুইনা এনসাপু হত্যার কারণে এ লড়াই শুরু হয়। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে সংঘাত শুরু হওয়ার আগে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন নিহত হন; কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান।
জাতিসংঘ কর্তৃক নিয়োগ পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ও গণকবর বিষয়ে তদন্ত করতে কঙ্গোতে এসেছিলেন মাইকেল শার্প ও জাইদা কাতালান। এই তদন্তের খবর জানতে পারে সরকার ও একটি স্থানীয় গ্রুপ। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আদালত। এই অপরাধে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করায় রায়টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে।
‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নতুন আল্টিমেটাম দেবেন। অন্যথায়, তিনি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ট্যোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময়
১ ঘণ্টা আগেমিসরের লোহিত সাগর সংলগ্ন রিসোর্ট শহর শারম এল-শেখে গাজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সম্মেলনে অন্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মিলিত হতে চলেছেন। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্মেলনের সহ-সভাপতিত্ব করবেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তিনি ‘শান্তি স্থাপনে পারদর্শী।’ গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে’ এবং ‘ইহুদি, মুসলিম ও আরব—সবাই খুশি।’
২ ঘণ্টা আগে