Ajker Patrika

কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, স্থানীয়দের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, স্থানীয়দের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

ঢাকা: গোমা শহরের ৬ মাইল দূরত্বে অবস্থিত নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা আসার আগেই শহরটির বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেন। বিবিসি জানিয়েছে, শহরটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস।

রুয়ান্ডা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গোমার মানুষ রুয়ান্ডা পূর্ব সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে। ৩ হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।

কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের সামরিক গভর্নরের দপ্তর থেকে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়। কর্তৃপক্ষ গোমার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

অগ্নুৎপাতের ফলে নাইরাগঙ্গোর আশপাশের এলাকা ও গোমা শহরের আকাশ লাল হয়ে উঠেছে। কেরিন এমবালা নামে শহরের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বাতাসে সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সামান্য দূরেই পাহাড় থেকে আসা আগুনের শিখা দেখা যায়।

কঙ্গোর যোগাযোগ মন্ত্রী প্যাটট্রিক মুইয়াইয়া এক টুইট বার্তায় বলেন, গোমা শহরকে খালি করার ঘোষণা কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে।

আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই নাইরাগঙ্গোর পাদদেশের শহর গোমার অধিবাসীদের নিরাপদ এলকায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ডিআর কঙ্গোর সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহরের অধিকাংশ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

নাইনাগঙ্গো সক্রিয় হয়ে ওঠায় গোমা শহরের মানুষদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জাচারি পালুকু নামে গোমার এক বাসিন্দা মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) কে জানান, ‘আমরা ব্যাপক মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকেই আতঙ্কগ্রস্ত। সবই ছুটছে। আমরা সত্যিই জানি না আমাদের কী করা উচিত আসলে।’

গোমার বাসিন্দা দারিও তেড়েস্কো বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, জ্বালমুখ ছাড়াও এর কাছে পর্বতের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই ফাটল থেকেও নিঃসৃত হচ্ছে লাভা। পর্বতের যে দিকের ফাটল লাভা বের হচ্ছে, সেটি অব্যাহত থাকলে শহরের বিমানবন্দর পর্যন্ত লাভা এসে পড়তে পারে।

সর্বশেষ ২০০২ সালে এই পর্বতটিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। সে সময় অগ্নুৎপাতের ফলে প্রায় আড়াইশ’র মতো মানুষ মারা গিয়েছিলেন, বাস্তুহারা হয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত