Ajker Patrika

জনগণের টাকায় নীল নদে বিশাল বাঁধ বানাল ইথিওপিয়া, অস্বস্তিতে প্রতিবেশীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৫
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করেছে ইথিওপিয়া। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করেছে ইথিওপিয়া। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক অঙ্গনে মিসরকে টেক্কা দেওয়ার পর, ইথিওপিয়া অবশেষে নীল নদের একটি উপনদীতে নিয়ন্ত্রণ পেল। দেশটি শিগগির বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধগুলোর মধ্যে অন্যতম বাঁধ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক আমলের একটি চুক্তি কার্যত বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ওই চুক্তির বলে মিসর নীল নদের পানির সিংহভাগ ব্যবহারের নিশ্চয়তা পেয়েছিল।

প্রায় ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার ব্যয়ে এই গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস ড্যাম (গার্ড) প্রকল্পটি নীল নদের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। এর বিশাল জলাধার গ্রেটার লন্ডনের প্রায় সমান। এই বাঁধ কেবল একটি অবকাঠামো নয়, এটি এখন ইথিওপীয়দের জাতীয় গর্বের প্রতীক। দেশটি প্রায়শই জাতিগত বিভেদে জর্জরিত থাকলেও এই বাঁধ সব ইথিওপীয়কে ঐক্যবদ্ধ করেছে।

উজানে বাঁধের কারণে নীল নদ অববাহিকায় মিসরের ধান উৎপাদন কমে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
উজানে বাঁধের কারণে নীল নদ অববাহিকায় মিসরের ধান উৎপাদন কমে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের বিশ্লেষক মোসেস ক্রিসপাস ওকেলো বিবিসিকে বলেন, ‘ইথিওপীয়রা হয়তো তাদের প্রধান খাদ্য কী হবে, তা নিয়ে একমত না-ও হতে পারে, কিন্তু বাঁধ নিয়ে তারা সবাই একমত।’

এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন এসেছে দেশের সাধারণ মানুষ ও প্রবাসী ইথিওপীয়দের অনুদান এবং সরকারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে। এর ফলে বাঁধটি জনগণের মালিকানা ও অর্জনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রকল্পটি চালু হলে এটি আফ্রিকার বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে, যা দেশের ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎসও হবে। ইথিওপিয়ার লক্ষ্য প্রতিবেশী দেশগুলো; যেমন কেনিয়া ও জিবুতিতে বিদ্যুৎ রপ্তানি বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে লোহিতসাগর পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

নীল নদে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে ২০১৯ সালের হোয়াইট হাউসে মিসর, সুদান ও ইথিওপিয়ার প্রতিনিধি দল। ছবি: হোয়াইট হাউস
নীল নদে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে ২০১৯ সালের হোয়াইট হাউসে মিসর, সুদান ও ইথিওপিয়ার প্রতিনিধি দল। ছবি: হোয়াইট হাউস

তবে মিসরের জন্য এই বাঁধ গভীর উদ্বেগের কারণ। দেশটির প্রায় ৯৩ শতাংশ অঞ্চল মরুভূমি এবং ১০ কোটি ৭০ লাখ মানুষ তাদের জীবনের জন্য সম্পূর্ণভাবে নীল নদের পানির ওপর নির্ভরশীল। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক আব্বাস শারাকে বলেন, ‘নীল নদ আমাদের জীবন। বাঁধটি ৬৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি জমা করছে, যা আমাদের বার্ষিক ভাগের চেয়ে বেশি। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি।’ তাঁর আশঙ্কা, এই বাঁধ মিসরে ‘পানি সংকট হেতু দারিদ্র্য’ আরও বাড়াবে।

অধ্যাপক শারাকে জানান, ইথিওপিয়া মিসরের তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে বাঁধ নির্মাণের একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় হোসনি মুবারকের পতনের পর মিসর এক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তবে এখন মিসর পানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পানির শোধনাগার নির্মাণ এবং ৫ হাজারের বেশি কুয়া খনন।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিয়া আহমেদ। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিয়া আহমেদ। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

বাঁধ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ইথিওপিয়ার পক্ষের সাবেক আলোচক ফেকাহমেদ নেগাশ বলেন, বাঁধটিতে বোমা হামলা চালানো মিসর ও সুদানের জন্য ‘আত্মঘাতী’ হবে। কারণ, এতে বিপুল জলরাশি বেরিয়ে এসে দুটি দেশকেই ধ্বংস করে দেবে। মিসরীয় অধ্যাপক শারাকেও যুদ্ধের বিরোধিতা করে বলেন, ‘তারা আমাদের ভাই। আমরা একই পানি পান করি।’ তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ইথিওপিয়া এই বাঁধকে সুদানসহ আঞ্চলিক সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। একই সঙ্গে, তিনি বাঁধের কারণে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেন। ইথিওপিয়া অবশ্য এই আশঙ্কাগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে।

বাঁধের উদ্বোধনের পর ইথিওপিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য হলো লোহিতসাগরে প্রবেশাধিকার ফিরে পাওয়া। ১৯৯১ সালে ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতার সময় এই অধিকার হারিয়েছিল তারা। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘কোনো বৃহৎ দেশ সমুদ্রবন্দর ছাড়া হয় না।’ বাঁধের সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইথিওপিয়া এখন নিজেদের একটি ‘মহান জাতি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া: লাভরভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি: সংগৃহীত
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।

লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।

লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।

গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের জি-২০ সম্মেলন বয়কট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ইপিএ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ইপিএ

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।

এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।

গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।

পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।

মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’

এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।

উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবি: সংগৃহীত
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত