আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে। যার অনেকগুলোই প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য হলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে না বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত ‘ল্যানসেট কমিশন অন অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং’-এর দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকেরা বলেছেন, বিশ্বে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজের অগ্রগতি খুবই ধীর এবং অসম। ফলে অনেকে তরুণ বয়সে এসে পেছনে পড়ে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য এখন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক গবেষক জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা বের্ড।
২০১৬ সালে ল্যানসেট এই বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন করেছিল। নতুন এই প্রতিবেদনটিতে গত ১০ বছরে কিশোর স্বাস্থ্যের পরিবর্তন পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছু ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিশোরদের মধ্যে ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনের হার কমেছে। বেড়েছে শিক্ষার হার। অনেকেই মাধ্যমিক শেষ করে কলেজে যাচ্ছে। তবে এসব সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে নতুন ও বাড়তে থাকা সমস্যার কারণে।
বেড়েছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও স্থূলতা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আরও তীব্র ও ব্যাপক হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে কিশোরদের স্থূলতার হার ৮ গুণ বেড়েছে। এর চেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এক দশকেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের। গত ৩০ বছরে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটাই খারাপের দিকে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে মানসিক অসুস্থতা ও আত্মহত্যার কারণে কিশোর প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৪ কোটি ২০ লাখ ‘সুস্থ জীবন বছর’, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ২০ লাখ বেশি।
এছাড়াও বিশ্বজুড়ে অস্বাভাবিক হারে স্থূলতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ল্যানসেট কমিশন। ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ, ল্যাটিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি তিনজন কিশোরের একজন অতিরিক্ত ওজনের হতে পারে। বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত ওজনের কিশোরের সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৩২ কোটি ১০ লাখ। ২০৩০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৬ কোটি ৪০ লাখে।
আরেকটি বড় সমস্যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যাচ্ছে। ল্যানসেটের প্রতিবেদন বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি তিনজন কিশোরীর একজন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। রক্তশূন্যতা ক্লান্তি, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। অথচ এই সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি খুব ধীর।
আগামীতে কিশোর স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বৈশ্বিক অগ্রগতি নির্ধারণে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেক্স ইজে। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার কিশোর-কিশোরীদের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বর্তমানে ২৫ শতাংশের নিচে। ২১০০ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৪৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে আফ্রিকায় কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে অগ্রগতি না হলে বৈশ্বিক পর্যায়ে এই বয়সভিত্তিক উন্নয়ন থমকে যাবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব
ল্যানসেট কমিশন বলছে, আগামী কয়েক দশকে কিশোরদের স্বাস্থ্যকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে দুটি উদীয়মান বিষয়—জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আজকের তরুণেরা ইতিমধ্যেই অনুভব করছে। এই প্রজন্মই প্রথম, যারা গড়ে শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় অন্তত শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রায় বেড়ে উঠছে।
২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত। এই বাড়তি তাপমাত্রা কিশোরদের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করবে—তাপজনিত অসুস্থতা, খাদ্য ও পানির সংকট, এবং জলবায়ু-জনিত মানসিক সমস্যার মতো নানা সংকট দেখা দেবে।
কমিশনের এক নতুন পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, আকস্মিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়) ও দীর্ঘমেয়াদি সংকট (যেমন-খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা) কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পিটিএসডি (ট্রমাজনিত মানসিক চাপ), উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো সমস্যাও বাড়ছে।
পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমও এ প্রজন্মের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
ল্যানসেট কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল জীবন কিশোরদের জন্য এক ধরনের দ্বিমুখী তলোয়ার। একদিকে এটি তরুণদের শেখা, কাজ করা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নতুন সুযোগ এনে দিচ্ছে। অন্যদিকে, অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা এখন ভার্চুয়াল মাধ্যম দখল করে নিচ্ছে। যদিও গবেষণা এখনো সীমিত, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
কমিশনের মতে, এখানে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। অপ্রয়োজনীয়ভাবে কিশোরদের বিচ্ছিন্ন না করে আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
২০১৬ সালে প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রায় ১০০ কোটি কিশোর-তরুণ এমন দেশে বাস করে যেগুলো ‘বহুমুখী-সংকটপূর্ণ দেশ’। সেসব দেশে তরুণ প্রজন্ম প্রতিদিন নানা স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছে। এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১০ কোটিতে। জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩০ সালেও এই সংখ্যাটা ১০০ কোটির ওপরেই থাকবে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
এই সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে অর্থায়ন যথেষ্ট নয়। বিশ্বের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হলো কিশোর-কিশোরী। তারা বৈশ্বিক রোগ-ভার বোঝার ৯ শতাংশের সম্মুখীন। তবু তাদের জন্য বরাদ্দ বৈশ্বিক সহায়তা মাত্র ২.৪ শতাংশ।
তরুণদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বিনিয়োগ ছাড়া ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক সারা বের্ড। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলগুলোর ক্ষমতা বাড়ানো এবং কিশোরদের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।’
কমিশনের ভাষ্য, এটি অত্যন্ত দুর্বল বিনিয়োগ কৌশল। তরুণদের ওপর ব্যয় করলে তার ফলাফল শিশুদের প্রাথমিক বয়সে বিনিয়োগের সমান বা কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি হতে পারে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, অর্থ বরাদ্দ হয় মূলত প্রাপ্তবয়স্ক বা ছোট শিশুদের জন্য। এর পেছনে অন্যতম কারণ, কিশোরদের স্বাস্থ্য নিয়ে বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে শক্ত নেতৃত্ব ও সমন্বয়ের ঘাটতি।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অ্যারন জেনকিন্স বলেন, ‘মানব কল্যাণের প্রাকৃতিক ভিত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দ্বিতীয় ল্যানসেট কমিশন যেভাবে কিশোর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিয়ে কাজ করেছে, তা আমাকে গভীরভাবে আশাবাদী করেছে। প্রথমবারের মতো আমরা এমন হস্তক্ষেপ চিহ্নিত করছি যা একযোগে কিশোর স্বাস্থ্য, পরিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়ের অগ্রগতি ঘটাতে পারে।’
এই গবেষণায়র বিশেষত্ব হলো, তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১০ জন ‘ইয়ুথ কমিশনার’ বিভিন্ন খাত যেমন শিক্ষা, সিভিল সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বই কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া, ৩৬টি দেশের ২০০-রও বেশি কিশোর অংশ নিয়েছে ‘ইয়ুথ সলিউশন ল্যাব’-এ। তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অগ্রাধিকার ও সমাধান চিহ্নিত করেছে।
কমিশনার ড. শাকিরা চুনারা বলেন, ‘তরুণরা এক দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে পথ খুঁজছে। এই কমিশনের মাধ্যমে আমরা তাদের বৈচিত্র্যময় ও উদ্বেগজনক অভিজ্ঞতা শুনেছি। তবে সুযোগও রয়েছে। আমরা দেখেছি, তরুণরা ইতিমধ্যেই সক্রিয় নাগরিক হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে, পরিবর্তন আনছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ নেতৃত্ব যেভাবে নিজ নিজ সমাজ ও বৈশ্বিক পরিসরে পরিবর্তন আনছে, তা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের প্রজন্মে বিনিয়োগ ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গড়লে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব আরও সুস্থ, সচেতন ও সক্ষম হবে।’

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে। যার অনেকগুলোই প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য হলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে না বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত ‘ল্যানসেট কমিশন অন অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং’-এর দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকেরা বলেছেন, বিশ্বে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজের অগ্রগতি খুবই ধীর এবং অসম। ফলে অনেকে তরুণ বয়সে এসে পেছনে পড়ে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য এখন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক গবেষক জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা বের্ড।
২০১৬ সালে ল্যানসেট এই বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন করেছিল। নতুন এই প্রতিবেদনটিতে গত ১০ বছরে কিশোর স্বাস্থ্যের পরিবর্তন পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছু ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিশোরদের মধ্যে ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনের হার কমেছে। বেড়েছে শিক্ষার হার। অনেকেই মাধ্যমিক শেষ করে কলেজে যাচ্ছে। তবে এসব সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে নতুন ও বাড়তে থাকা সমস্যার কারণে।
বেড়েছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও স্থূলতা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আরও তীব্র ও ব্যাপক হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে কিশোরদের স্থূলতার হার ৮ গুণ বেড়েছে। এর চেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এক দশকেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের। গত ৩০ বছরে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটাই খারাপের দিকে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে মানসিক অসুস্থতা ও আত্মহত্যার কারণে কিশোর প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৪ কোটি ২০ লাখ ‘সুস্থ জীবন বছর’, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ২০ লাখ বেশি।
এছাড়াও বিশ্বজুড়ে অস্বাভাবিক হারে স্থূলতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ল্যানসেট কমিশন। ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ, ল্যাটিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি তিনজন কিশোরের একজন অতিরিক্ত ওজনের হতে পারে। বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত ওজনের কিশোরের সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৩২ কোটি ১০ লাখ। ২০৩০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৬ কোটি ৪০ লাখে।
আরেকটি বড় সমস্যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যাচ্ছে। ল্যানসেটের প্রতিবেদন বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি তিনজন কিশোরীর একজন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। রক্তশূন্যতা ক্লান্তি, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। অথচ এই সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি খুব ধীর।
আগামীতে কিশোর স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বৈশ্বিক অগ্রগতি নির্ধারণে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেক্স ইজে। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার কিশোর-কিশোরীদের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বর্তমানে ২৫ শতাংশের নিচে। ২১০০ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৪৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে আফ্রিকায় কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে অগ্রগতি না হলে বৈশ্বিক পর্যায়ে এই বয়সভিত্তিক উন্নয়ন থমকে যাবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব
ল্যানসেট কমিশন বলছে, আগামী কয়েক দশকে কিশোরদের স্বাস্থ্যকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে দুটি উদীয়মান বিষয়—জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আজকের তরুণেরা ইতিমধ্যেই অনুভব করছে। এই প্রজন্মই প্রথম, যারা গড়ে শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় অন্তত শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রায় বেড়ে উঠছে।
২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত। এই বাড়তি তাপমাত্রা কিশোরদের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করবে—তাপজনিত অসুস্থতা, খাদ্য ও পানির সংকট, এবং জলবায়ু-জনিত মানসিক সমস্যার মতো নানা সংকট দেখা দেবে।
কমিশনের এক নতুন পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, আকস্মিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়) ও দীর্ঘমেয়াদি সংকট (যেমন-খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা) কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পিটিএসডি (ট্রমাজনিত মানসিক চাপ), উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো সমস্যাও বাড়ছে।
পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমও এ প্রজন্মের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
ল্যানসেট কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল জীবন কিশোরদের জন্য এক ধরনের দ্বিমুখী তলোয়ার। একদিকে এটি তরুণদের শেখা, কাজ করা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নতুন সুযোগ এনে দিচ্ছে। অন্যদিকে, অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা এখন ভার্চুয়াল মাধ্যম দখল করে নিচ্ছে। যদিও গবেষণা এখনো সীমিত, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
কমিশনের মতে, এখানে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। অপ্রয়োজনীয়ভাবে কিশোরদের বিচ্ছিন্ন না করে আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
২০১৬ সালে প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রায় ১০০ কোটি কিশোর-তরুণ এমন দেশে বাস করে যেগুলো ‘বহুমুখী-সংকটপূর্ণ দেশ’। সেসব দেশে তরুণ প্রজন্ম প্রতিদিন নানা স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছে। এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১০ কোটিতে। জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩০ সালেও এই সংখ্যাটা ১০০ কোটির ওপরেই থাকবে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
এই সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে অর্থায়ন যথেষ্ট নয়। বিশ্বের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হলো কিশোর-কিশোরী। তারা বৈশ্বিক রোগ-ভার বোঝার ৯ শতাংশের সম্মুখীন। তবু তাদের জন্য বরাদ্দ বৈশ্বিক সহায়তা মাত্র ২.৪ শতাংশ।
তরুণদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বিনিয়োগ ছাড়া ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক সারা বের্ড। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কিশোরদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলগুলোর ক্ষমতা বাড়ানো এবং কিশোরদের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।’
কমিশনের ভাষ্য, এটি অত্যন্ত দুর্বল বিনিয়োগ কৌশল। তরুণদের ওপর ব্যয় করলে তার ফলাফল শিশুদের প্রাথমিক বয়সে বিনিয়োগের সমান বা কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি হতে পারে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, অর্থ বরাদ্দ হয় মূলত প্রাপ্তবয়স্ক বা ছোট শিশুদের জন্য। এর পেছনে অন্যতম কারণ, কিশোরদের স্বাস্থ্য নিয়ে বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে শক্ত নেতৃত্ব ও সমন্বয়ের ঘাটতি।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অ্যারন জেনকিন্স বলেন, ‘মানব কল্যাণের প্রাকৃতিক ভিত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দ্বিতীয় ল্যানসেট কমিশন যেভাবে কিশোর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিয়ে কাজ করেছে, তা আমাকে গভীরভাবে আশাবাদী করেছে। প্রথমবারের মতো আমরা এমন হস্তক্ষেপ চিহ্নিত করছি যা একযোগে কিশোর স্বাস্থ্য, পরিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়ের অগ্রগতি ঘটাতে পারে।’
এই গবেষণায়র বিশেষত্ব হলো, তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১০ জন ‘ইয়ুথ কমিশনার’ বিভিন্ন খাত যেমন শিক্ষা, সিভিল সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বই কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া, ৩৬টি দেশের ২০০-রও বেশি কিশোর অংশ নিয়েছে ‘ইয়ুথ সলিউশন ল্যাব’-এ। তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অগ্রাধিকার ও সমাধান চিহ্নিত করেছে।
কমিশনার ড. শাকিরা চুনারা বলেন, ‘তরুণরা এক দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে পথ খুঁজছে। এই কমিশনের মাধ্যমে আমরা তাদের বৈচিত্র্যময় ও উদ্বেগজনক অভিজ্ঞতা শুনেছি। তবে সুযোগও রয়েছে। আমরা দেখেছি, তরুণরা ইতিমধ্যেই সক্রিয় নাগরিক হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে, পরিবর্তন আনছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ নেতৃত্ব যেভাবে নিজ নিজ সমাজ ও বৈশ্বিক পরিসরে পরিবর্তন আনছে, তা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের প্রজন্মে বিনিয়োগ ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গড়লে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব আরও সুস্থ, সচেতন ও সক্ষম হবে।’

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে।
২৩ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে।
২৩ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে।
২৩ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কিশোর-কিশোরীরা। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবে। এই বয়সীদের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস, অকাল গর্ভধারণ, অনিরাপদ যৌনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনার মতো সংকট বেড়ে যাবে।
২৩ মে ২০২৫
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
২ দিন আগে