ডা. গুলজার হোসেন
ডেঙ্গু আবারও হানা দিয়েছে। বছর বছর ডেঙ্গু রুদ্রমূর্তি নিয়ে ফিরে এলেও প্রায় সবার মধ্যে এখনো অনেক বিভ্রান্তি রয়ে গেছে এ নিয়ে। সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসক উভয় পক্ষেই আছে কিছু ভুল জানাজানি।
ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং এর ট্রান্সফিউশন নিয়ে রোগীরা আতঙ্ক ও নানা রকম বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকে। সমস্যা হচ্ছে, শুধু রোগী নয়, খোদ চিকিৎসকেরাও এই প্লাটিলেট কমে যাওয়া নিয়ে থাকেন আতঙ্কে। ফলে রোগীরা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়। প্লাটিলেট কী, তার কাজ কী, কীভাবে এটি কাজ করে—সেই সব নিয়ে ঠিকমতো জানার চেষ্টা করলে আতঙ্কটা থাকার কথা ছিল না।
কেউ কেউ প্রোফাইলেকটিক বা আগাম সতর্কতামূলক প্লাটিলেট দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। এর জন্য তাঁরা কিছু নিজস্ব যুক্তিও তৈরি করেন। যেমন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে প্লাটিলেট দিয়ে লাভ কী ইত্যাদি।
এগুলো মূলত মনগড়া আতঙ্ক এবং অনেকখানি অজ্ঞতাপ্রসূত ধারণা।
যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে
প্লাটিলেট কখন দেবেন
প্লাটিলেট তখনই দেবেন, যখন রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দেবে শরীরে। র্যাশ হবে, রক্তক্ষরণ হবে—কেবল তখনই দিতে পারেন। আর রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখলেই আতঙ্কিত হবেন না। এটুকু রক্তক্ষরণে কিছু হবে না।
রক্তক্ষরণের চিহ্ন নেই কিন্তু প্লাটিলেট ১০ হাজার বা এর নিচে হলেও দিতে পারেন। ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট আসলে খুব জরুরি না হলে দেওয়ার দরকার নেই। জরুরি হলে সিদ্ধান্তটিও নেবেন চিকিৎসকেরা।
ডেঙ্গু হলেই বারবার প্লাটিলেটের মাত্রা দেখারও কোনো প্রয়োজন নেই। এটা দেখে রোগের তীব্রতা বোঝা যায় না। প্লাটিলেট পর্যাপ্ত থাকার পরও রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে। মারাও যেতে পারে। জেনে রাখা ভালো, ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী মারা যায়, ব্যাপারটা সব ক্ষেত্রে এমন নয়।
রোগী মারা যায় ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। ডেঙ্গুতে ভাইরাসের কারণে রক্তনালিগুলো আক্রান্ত হয়। রক্তনালির গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, সেগুলো বড় হয়ে যায়। এই ছিদ্র দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। ফলে রক্তচাপ কমতে থাকে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে রক্তসঞ্চালন কমে যায়। তখন অরগান ফেইলিউর হয়, যা খুবই বিপজ্জনক।
এটা ঠেকাতে রোগীকে প্রচুর ফ্লুইড বা তরল খাওয়াতে হবে। মুখে খাওয়াতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসক শিরাপথে শরীরে তরল ঢোকানোর ব্যবস্থা করবেন। তাই ঘন ঘন প্লাটিলেট না দেখে রক্তচাপ কমছে কি না, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ডায়রিয়া ও রক্তের পিসিভি বা হেমাটোক্রিট ঠিক আছে কি না দেখুন।
ডা. গুলজার হোসেন, রক্তরোগ ও রক্ত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
ডেঙ্গু আবারও হানা দিয়েছে। বছর বছর ডেঙ্গু রুদ্রমূর্তি নিয়ে ফিরে এলেও প্রায় সবার মধ্যে এখনো অনেক বিভ্রান্তি রয়ে গেছে এ নিয়ে। সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসক উভয় পক্ষেই আছে কিছু ভুল জানাজানি।
ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং এর ট্রান্সফিউশন নিয়ে রোগীরা আতঙ্ক ও নানা রকম বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকে। সমস্যা হচ্ছে, শুধু রোগী নয়, খোদ চিকিৎসকেরাও এই প্লাটিলেট কমে যাওয়া নিয়ে থাকেন আতঙ্কে। ফলে রোগীরা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়। প্লাটিলেট কী, তার কাজ কী, কীভাবে এটি কাজ করে—সেই সব নিয়ে ঠিকমতো জানার চেষ্টা করলে আতঙ্কটা থাকার কথা ছিল না।
কেউ কেউ প্রোফাইলেকটিক বা আগাম সতর্কতামূলক প্লাটিলেট দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। এর জন্য তাঁরা কিছু নিজস্ব যুক্তিও তৈরি করেন। যেমন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে প্লাটিলেট দিয়ে লাভ কী ইত্যাদি।
এগুলো মূলত মনগড়া আতঙ্ক এবং অনেকখানি অজ্ঞতাপ্রসূত ধারণা।
যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে
প্লাটিলেট কখন দেবেন
প্লাটিলেট তখনই দেবেন, যখন রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দেবে শরীরে। র্যাশ হবে, রক্তক্ষরণ হবে—কেবল তখনই দিতে পারেন। আর রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখলেই আতঙ্কিত হবেন না। এটুকু রক্তক্ষরণে কিছু হবে না।
রক্তক্ষরণের চিহ্ন নেই কিন্তু প্লাটিলেট ১০ হাজার বা এর নিচে হলেও দিতে পারেন। ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট আসলে খুব জরুরি না হলে দেওয়ার দরকার নেই। জরুরি হলে সিদ্ধান্তটিও নেবেন চিকিৎসকেরা।
ডেঙ্গু হলেই বারবার প্লাটিলেটের মাত্রা দেখারও কোনো প্রয়োজন নেই। এটা দেখে রোগের তীব্রতা বোঝা যায় না। প্লাটিলেট পর্যাপ্ত থাকার পরও রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে। মারাও যেতে পারে। জেনে রাখা ভালো, ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী মারা যায়, ব্যাপারটা সব ক্ষেত্রে এমন নয়।
রোগী মারা যায় ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। ডেঙ্গুতে ভাইরাসের কারণে রক্তনালিগুলো আক্রান্ত হয়। রক্তনালির গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, সেগুলো বড় হয়ে যায়। এই ছিদ্র দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। ফলে রক্তচাপ কমতে থাকে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে রক্তসঞ্চালন কমে যায়। তখন অরগান ফেইলিউর হয়, যা খুবই বিপজ্জনক।
এটা ঠেকাতে রোগীকে প্রচুর ফ্লুইড বা তরল খাওয়াতে হবে। মুখে খাওয়াতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসক শিরাপথে শরীরে তরল ঢোকানোর ব্যবস্থা করবেন। তাই ঘন ঘন প্লাটিলেট না দেখে রক্তচাপ কমছে কি না, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ডায়রিয়া ও রক্তের পিসিভি বা হেমাটোক্রিট ঠিক আছে কি না দেখুন।
ডা. গুলজার হোসেন, রক্তরোগ ও রক্ত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন।
১ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩৯২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দুজনই নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
১ দিন আগেদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩২৯ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
১ দিন আগে