ডা. মো. তালহা চৌধুরী
হাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
» ঝাপসা দৃষ্টি
» ঘুম ঘুম ভাব
» কাজে মনোযোগের অভাব
» দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারা
» অস্বাভাবিক আচরণ, সহজে রেগে যাওয়া
» বিভ্রান্তি, প্রলাপ বকা
» উদ্ভ্রম
» কথা জড়িয়ে যাওয়া
» খিঁচুনি
» অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার স্বল্পতার কারণ
রক্তে শর্করার স্বল্পতার প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ। এ ছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় কম খাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক শ্রম, অ্যালকোহল পান এবং ওষুধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পর সময়মতো না খাওয়া। এর আরও কিছু কারণ আছে। সেগুলো হলো—
» গুরুতর অসুস্থতা
» জীবাণুদূষণ
» বৃক্কীয় বৈকল্য বা যকৃতের রোগ
» হরমোনের ঘাটতি
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে যা করবেন
শর্করাযুক্ত খাদ্য বা পানীয় খাওয়ার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান না হলে এবং খাবার খেতে সক্ষম হলে শর্করাযুক্ত খাদ্য ও পানীয়, যেমন গ্লুকোজ ট্যাবলেট অথবা জেল, আপেলের রস, কোমল পানীয় বা ললিপপ ইত্যাদি খেতে হবে। এর লক্ষ্য হচ্ছে রক্তের শর্করা মাত্রা যেন ন্যূনপক্ষে ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার পর্যন্ত বাড়ে।
যদি কোনো ব্যক্তি মুখে খাবার খেতে না পারে, সে ক্ষেত্রে গ্লুকাগন ইনজেকশনের মাধ্যমে বা পাউডার নাসারন্ধ্রে বায়ু ক্ষেপণ পদ্ধতিতে নিতে হবে। ডায়াবেটিস ভিন্ন অন্য কোনো কারণে হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে তার কারণ খুঁজে চিকিৎসা করাতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধের জন্য এর উপসর্গ সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। ডায়াবেটিসের ওষুধ; যেমন ইনসুলিন, সালফোনিল ইউরিয়া, মেগ্লিটিনাইড প্রভৃতির মাত্রা সমন্বয় করার মাধ্যমেও হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
প্রতিরোধ
হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্যশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়গুলো করা যেতে পারে
» এর ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় ও চিকিৎসাকে গুরুত্ব দেওয়া।
» নিয়মিত গ্লুকোজ পরীক্ষা, নমনীয় ইনসুলিন প্রয়োগের মাত্রা, গ্লুকোজ ও গ্লুকাগনের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
» আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। হঠাৎ হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে অসুস্থ ব্যক্তিকে গ্লুকাগন ইনজেকশন দেওয়াসহ কীভাবে সাহায্য করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া।
» রোগীদের এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন করে তোলা।
» লক্ষণ দেখা দেওয়ার শুরুতে কোনো উপায় অবলম্বন করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
» রক্তের গ্লুকোজ নিয়মিত পরিমাপ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট, ফ্যামিলি মেডিসিন, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার, মিরপুর-১০
হাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
» ঝাপসা দৃষ্টি
» ঘুম ঘুম ভাব
» কাজে মনোযোগের অভাব
» দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারা
» অস্বাভাবিক আচরণ, সহজে রেগে যাওয়া
» বিভ্রান্তি, প্রলাপ বকা
» উদ্ভ্রম
» কথা জড়িয়ে যাওয়া
» খিঁচুনি
» অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার স্বল্পতার কারণ
রক্তে শর্করার স্বল্পতার প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ। এ ছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় কম খাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক শ্রম, অ্যালকোহল পান এবং ওষুধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পর সময়মতো না খাওয়া। এর আরও কিছু কারণ আছে। সেগুলো হলো—
» গুরুতর অসুস্থতা
» জীবাণুদূষণ
» বৃক্কীয় বৈকল্য বা যকৃতের রোগ
» হরমোনের ঘাটতি
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে যা করবেন
শর্করাযুক্ত খাদ্য বা পানীয় খাওয়ার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান না হলে এবং খাবার খেতে সক্ষম হলে শর্করাযুক্ত খাদ্য ও পানীয়, যেমন গ্লুকোজ ট্যাবলেট অথবা জেল, আপেলের রস, কোমল পানীয় বা ললিপপ ইত্যাদি খেতে হবে। এর লক্ষ্য হচ্ছে রক্তের শর্করা মাত্রা যেন ন্যূনপক্ষে ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার পর্যন্ত বাড়ে।
যদি কোনো ব্যক্তি মুখে খাবার খেতে না পারে, সে ক্ষেত্রে গ্লুকাগন ইনজেকশনের মাধ্যমে বা পাউডার নাসারন্ধ্রে বায়ু ক্ষেপণ পদ্ধতিতে নিতে হবে। ডায়াবেটিস ভিন্ন অন্য কোনো কারণে হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে তার কারণ খুঁজে চিকিৎসা করাতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধের জন্য এর উপসর্গ সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। ডায়াবেটিসের ওষুধ; যেমন ইনসুলিন, সালফোনিল ইউরিয়া, মেগ্লিটিনাইড প্রভৃতির মাত্রা সমন্বয় করার মাধ্যমেও হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
প্রতিরোধ
হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্যশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়গুলো করা যেতে পারে
» এর ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় ও চিকিৎসাকে গুরুত্ব দেওয়া।
» নিয়মিত গ্লুকোজ পরীক্ষা, নমনীয় ইনসুলিন প্রয়োগের মাত্রা, গ্লুকোজ ও গ্লুকাগনের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
» আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। হঠাৎ হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে অসুস্থ ব্যক্তিকে গ্লুকাগন ইনজেকশন দেওয়াসহ কীভাবে সাহায্য করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া।
» রোগীদের এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন করে তোলা।
» লক্ষণ দেখা দেওয়ার শুরুতে কোনো উপায় অবলম্বন করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
» রক্তের গ্লুকোজ নিয়মিত পরিমাপ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট, ফ্যামিলি মেডিসিন, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার, মিরপুর-১০
ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ দিন আগেচিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
১ দিন আগেশরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
২ দিন আগে