ডাক্তার শুভাগত চৌধুরী
ঢাকা: প্রতি মিনিটে হৃৎপিণ্ড কতোবার পাম্প হচ্ছে তা মাপা হয় হৃৎস্পন্দনের হার দিয়ে। শান্ত হয়ে বসে বা বিশ্রামের সময় এই হার প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হতে পারে। তবে ব্যক্তি বিশেষে কম-বেশি হয়ে থাকে।
এই হৃৎস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৬০ বারের কম হলে একে বলা হয়, ব্রাডিকার্ডিয়া বা মন্থর হৃৎস্পন্দন।
জেগে থাকা অবস্থায় হৃৎস্পন্দনের হার নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতি মিনিটে ৬০ এর কম থাকলে কিংবা গভীর ঘুমের সময় হৃৎস্পন্দন ৪০ থেকে ৬০ বার হলে তা ব্রাডিকার্ডিয়ার লক্ষণ।
যেসব উপসর্গ থাকে
• শরীরে বল শক্তি কম
• স্ট্যাঁমিনা কম।
• মাথা ঝিমঝিম
• দুর্বলতা
• বুক ব্যথা
• হতবুদ্ধি ভাব
• বুক ধড়ফড়
মন্থর হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে এই উপসর্গগুলো থাকলে ডাক্তার দেখাতে হবে, অবহেলা চলবে না। হৃৎস্পন্দনের হার ৩০ এর নিচে নেমে গেলে মগজে যথেষ্ট অক্সিজেন পৌঁছায় না। এমন অবস্থায় রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট হয়, মাথাও হালকা হয়ে যায়। জেনে রাখা ভালো, স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড় ও শরীরচর্চাকারীদের হৃৎস্পন্দনের হার ধীর বা কম হতে পারে। যারা হার্টের ওষুধ ‘বিটা ব্লকার্স’ খান তাদেরও হৃৎস্পন্দনের হার কম থাকতে পারে। অনেকক্ষণ ব্যায়ামের পর বিশ্রাম নিলে হৃৎস্পন্দন ৬০ এর নিচে নামতে পারে।
কেনো কমে হৃৎস্পন্দনের হার?
শরীরের সর্বত্র হৃৎপিণ্ডের উপর আর নিচের কক্ষ কতো দ্রুত রক্ত পাম্প করবে তা নিয়ন্ত্রণ করে পেস মেকার। হার্টের স্বাভাবিক পেস মেকার এসএনোড এর কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলে হৃৎস্পন্দন মন্থর হয়ে যায়। হার্টের অলিন্দ ও নিলয় দুটোর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হলেও স্পন্দনের হার কমে।
কখন কমে হৃৎস্পন্দনের হার
• করোনারি হৃদরোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক হলে
• হৃদ পেশির প্রদাহ হলে
• রক্তের ভেতর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে
• থাইরয়েডের কাজ-কর্ম কমে গেলে
• রক্তে বেশি পটাসিয়াম হলে
• বিটা ব্লকার্স ওষুধ খেলে
করণীয়
ধীরগতির স্পন্দন নিয়ে ভাবনায় পড়লে ডাক্তার দেখানো যেতে পারে। তবে যদি উপসর্গসহ হৃদস্পন্দনের হার কম থাকে তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। উপসর্গ না থাকলে ভাবনার কিছু নেই। বেশি বয়সে শরীরের পাশাপাশি হৃৎস্পন্দনেও মন্থরতা আসে।
চিকিৎসা
হার্টের ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম পরীক্ষার জন্য ডাক্তার ইকেজি করতে বলতে পারেন। ওষুধ দিতে পারেন। প্রয়োজনে খুব ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করে স্থাপন করতে পারেন পেস মেকার।
লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ঢাকা: প্রতি মিনিটে হৃৎপিণ্ড কতোবার পাম্প হচ্ছে তা মাপা হয় হৃৎস্পন্দনের হার দিয়ে। শান্ত হয়ে বসে বা বিশ্রামের সময় এই হার প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হতে পারে। তবে ব্যক্তি বিশেষে কম-বেশি হয়ে থাকে।
এই হৃৎস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৬০ বারের কম হলে একে বলা হয়, ব্রাডিকার্ডিয়া বা মন্থর হৃৎস্পন্দন।
জেগে থাকা অবস্থায় হৃৎস্পন্দনের হার নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতি মিনিটে ৬০ এর কম থাকলে কিংবা গভীর ঘুমের সময় হৃৎস্পন্দন ৪০ থেকে ৬০ বার হলে তা ব্রাডিকার্ডিয়ার লক্ষণ।
যেসব উপসর্গ থাকে
• শরীরে বল শক্তি কম
• স্ট্যাঁমিনা কম।
• মাথা ঝিমঝিম
• দুর্বলতা
• বুক ব্যথা
• হতবুদ্ধি ভাব
• বুক ধড়ফড়
মন্থর হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে এই উপসর্গগুলো থাকলে ডাক্তার দেখাতে হবে, অবহেলা চলবে না। হৃৎস্পন্দনের হার ৩০ এর নিচে নেমে গেলে মগজে যথেষ্ট অক্সিজেন পৌঁছায় না। এমন অবস্থায় রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট হয়, মাথাও হালকা হয়ে যায়। জেনে রাখা ভালো, স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড় ও শরীরচর্চাকারীদের হৃৎস্পন্দনের হার ধীর বা কম হতে পারে। যারা হার্টের ওষুধ ‘বিটা ব্লকার্স’ খান তাদেরও হৃৎস্পন্দনের হার কম থাকতে পারে। অনেকক্ষণ ব্যায়ামের পর বিশ্রাম নিলে হৃৎস্পন্দন ৬০ এর নিচে নামতে পারে।
কেনো কমে হৃৎস্পন্দনের হার?
শরীরের সর্বত্র হৃৎপিণ্ডের উপর আর নিচের কক্ষ কতো দ্রুত রক্ত পাম্প করবে তা নিয়ন্ত্রণ করে পেস মেকার। হার্টের স্বাভাবিক পেস মেকার এসএনোড এর কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলে হৃৎস্পন্দন মন্থর হয়ে যায়। হার্টের অলিন্দ ও নিলয় দুটোর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হলেও স্পন্দনের হার কমে।
কখন কমে হৃৎস্পন্দনের হার
• করোনারি হৃদরোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক হলে
• হৃদ পেশির প্রদাহ হলে
• রক্তের ভেতর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে
• থাইরয়েডের কাজ-কর্ম কমে গেলে
• রক্তে বেশি পটাসিয়াম হলে
• বিটা ব্লকার্স ওষুধ খেলে
করণীয়
ধীরগতির স্পন্দন নিয়ে ভাবনায় পড়লে ডাক্তার দেখানো যেতে পারে। তবে যদি উপসর্গসহ হৃদস্পন্দনের হার কম থাকে তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। উপসর্গ না থাকলে ভাবনার কিছু নেই। বেশি বয়সে শরীরের পাশাপাশি হৃৎস্পন্দনেও মন্থরতা আসে।
চিকিৎসা
হার্টের ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম পরীক্ষার জন্য ডাক্তার ইকেজি করতে বলতে পারেন। ওষুধ দিতে পারেন। প্রয়োজনে খুব ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করে স্থাপন করতে পারেন পেস মেকার।
লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসি শুধু আনন্দ প্রকাশের উপায় নয়; এটি আমাদের শরীর ও মনের জন্য প্রাকৃতিক চিকিৎসার মতো কাজ করে। যখন আমরা হাসি, তখন শরীর যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা সুস্থতা, শিথিলতা ও মানসিক শক্তি বাড়ায়। কমেডি দেখেই হোক, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে কিংবা নিজের ছোট ভুলে হোক, হাসির ফলাফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
৩ মিনিট আগেপেরি-অ্যানাল ফিস্টুলা হলো মলদ্বারের চারপাশে একটি অস্বাভাবিক সরু পথ, যা মলদ্বারের ভেতরের অংশ থেকে বাইরের চামড়ায় গিয়ে খুলে থাকে। এটি সাধারণত মলদ্বারের এক পাশে দেখা যায়। এটি শুধু অস্বস্তি নয়, বরং অবহেলা করলে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, ব্যথা ও জীবনযাত্রার মান নষ্ট করতে পারে।
১১ মিনিট আগেকম ক্যালরিযুক্ত খাবার এখন বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে। অর্থাৎ তেমন খাবারের প্রতি মানুষ ঝুঁকছে, যেগুলোতে ক্যালরি কম; কিন্তু শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এ ধরনের খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমতে দেয় না এবং হজমপ্রক্রিয়া সহজ কর
২৯ মিনিট আগেআমাদের দেশে অনেক শিশু আছে, যাদের চোখ ‘মারাত্মক খারাপ’ হওয়ার আগে চিকিৎসা শুরু হয় না। এতে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্মগত লেজি আই অথবা এমব্লায়োপিয়া, ক্যাটারাক্ট কিংবা ছানি, গ্লুকোমা, রেটিনার ক্যানসার বা রেটিনোব্লাস্টোমার মতো দুরারোগ্য রোগও হতে পারে। তাই ‘মারাত্মক খারাপ’ হওয়ার আগেই শিশুর চো
৩৯ মিনিট আগে