মাসুমা চৌধুরী
আমাদের রক্তের লাল অংশ হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান হলো আয়রন। শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির দেহে ৩-৫ গ্রাম আয়রন থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীদেহে আয়রনের চাহিদা বেশি। এর অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ঘটে দুর্বলতা, অবসাদ ও কাজে অনীহা দেখা দেয়।
আমাদের দেশে আয়রনযুক্ত খাবার নিয়ে সবার মধ্যে কিছুটা আগ্রহ থাকলেও কোন বয়স থেকে আয়রনযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সাধারণভাবে গর্ভকালে আয়রনের ওপর জোর দেওয়া হয় আমাদের দেশে। কিন্তু কিশোরী বয়স থেকেই এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। মাসিক শুরু হলে ১৩-১৯ বছরের মেয়েদের নিয়মিত সপ্তাহে ২টি অর্থাৎ মাসে ৮টি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। টানা ৩ মাস খাওয়ার পর ২ মাস বিরতি দিয়ে আবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়া সন্তান প্রসবের আগে ছয় মাস এবং প্রসবের পর ছয় মাস করে প্রত্যেক মাকে দিনে ১টি করে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। তার সঙ্গে খেতে হবে আয়রনযুক্ত খাবার, যেমন: সব রকমের মাছ, মাংস, বিশেষ করে কলিজা ও কিডনি, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বিশেষ করে বুটের ডাল, পালংশাক, ফুলকপি, তিল, শিম, কুমড়া বীজ, লালশাক, পুঁইশাক, মুলাশাক, নটেশাক, কচুশাক ইত্যাদি গাড় সবুজ শাকসবজি। তবে প্রাণিজ উৎস থেকে আয়রন গ্রহণ করা বেশি ভালো।
আয়রনজাতীয় খাবারের বন্ধু হলো ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার। ভিটামিন সি শরীরে আয়রন প্রবেশে সহায়তা করে। তাই আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় লেবুজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। আর আয়রনজাতীয় খাবারের শত্রু হলো চা, কফি, সিগারেট বা তামাকজাতীয় খাবার। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে চা, কফি না খেয়ে কমপক্ষে ৪০ মিনিট পর এগুলো খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ভালো। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করা উচিত। এটাও মনে রাখা দরকার যে পেটে কৃমি থাকলেও শরীরে রক্তস্বল্পতা হতে পারে এবং আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। তাই বছরে দুবার ঘরের সবাইকে একসঙ্গে কৃমিনাশক ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
আমাদের রক্তের লাল অংশ হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান হলো আয়রন। শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির দেহে ৩-৫ গ্রাম আয়রন থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীদেহে আয়রনের চাহিদা বেশি। এর অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ঘটে দুর্বলতা, অবসাদ ও কাজে অনীহা দেখা দেয়।
আমাদের দেশে আয়রনযুক্ত খাবার নিয়ে সবার মধ্যে কিছুটা আগ্রহ থাকলেও কোন বয়স থেকে আয়রনযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সাধারণভাবে গর্ভকালে আয়রনের ওপর জোর দেওয়া হয় আমাদের দেশে। কিন্তু কিশোরী বয়স থেকেই এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। মাসিক শুরু হলে ১৩-১৯ বছরের মেয়েদের নিয়মিত সপ্তাহে ২টি অর্থাৎ মাসে ৮টি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। টানা ৩ মাস খাওয়ার পর ২ মাস বিরতি দিয়ে আবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়া সন্তান প্রসবের আগে ছয় মাস এবং প্রসবের পর ছয় মাস করে প্রত্যেক মাকে দিনে ১টি করে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। তার সঙ্গে খেতে হবে আয়রনযুক্ত খাবার, যেমন: সব রকমের মাছ, মাংস, বিশেষ করে কলিজা ও কিডনি, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বিশেষ করে বুটের ডাল, পালংশাক, ফুলকপি, তিল, শিম, কুমড়া বীজ, লালশাক, পুঁইশাক, মুলাশাক, নটেশাক, কচুশাক ইত্যাদি গাড় সবুজ শাকসবজি। তবে প্রাণিজ উৎস থেকে আয়রন গ্রহণ করা বেশি ভালো।
আয়রনজাতীয় খাবারের বন্ধু হলো ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার। ভিটামিন সি শরীরে আয়রন প্রবেশে সহায়তা করে। তাই আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় লেবুজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। আর আয়রনজাতীয় খাবারের শত্রু হলো চা, কফি, সিগারেট বা তামাকজাতীয় খাবার। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে চা, কফি না খেয়ে কমপক্ষে ৪০ মিনিট পর এগুলো খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ভালো। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করা উচিত। এটাও মনে রাখা দরকার যে পেটে কৃমি থাকলেও শরীরে রক্তস্বল্পতা হতে পারে এবং আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। তাই বছরে দুবার ঘরের সবাইকে একসঙ্গে কৃমিনাশক ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া ও এমআরএসএ (মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস) মোকাবিলায় দুটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধগুলোর ‘পরমাণু থেকে পরমাণু’ সম্পূর্ণভাবে এআই দিয়ে নকশা করা হয়েছে...
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেসচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
২ দিন আগে