Ajker Patrika

দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা

ডা. তাহমিদা খানম
দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা

ঋতুচক্রের আবর্তনে প্রকৃতিতে শরৎ সমাগত। অন্যদিকে দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে চলতি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় সংখ্যাগত হিসাবে এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের হিসাব রেকর্ড ছাড়াতে পারে। মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর হওয়ায় ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা বা প্রতিষেধক এখনো সর্বজনীন নয়। এ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ও করোনার মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এ ধরনের রোগীদের সচেতনতার সঙ্গে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতীদেরও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর তালিকাভুক্ত করে অধিক মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর চিকিৎসা
যাঁরা দীর্ঘদিন ডায়বেটিসে ভুগছেন, তাঁদের অনেকেরই ডায়াবেটিসজনিত কিডনির সমস্যা থাকতে পারে। এসব রোগীর ক্ষেত্রে ডেঙ্গু চিকিৎসায় মূলত দুটি বিষয় খুব ভালো করে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। প্রথমত, তাঁদের রক্তে চিনির মাত্রা। কারণ, ডেঙ্গু রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা কমেও যেতে পারে। আবার যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে ডেঙ্গু রোগীর ডায়াবেটিস বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস নামক জটিলতা তৈরি হয় এবং সেটি রোগীর পানিশূন্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই রক্তে চিনির মাত্রা অন্তত ছয় ঘণ্টা পরপর মাপা উচিত। দ্বিতীয়ত, তাঁরা আগে থেকেই যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন, সেগুলোর দিকে খেয়াল করতে হবে। সম্ভব হলে মেটফরমিন ওষুধটি বন্ধ করা যেতে পারে। কারণ, এটি রোগীর রক্তের অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট ত্বরান্বিত করতে পারে। পরিশেষে এ ধরনের রোগীদের খুব সতর্কতার সঙ্গে স্যালাইন দিতে হবে, যেন কিডনি আক্রান্ত থাকলেও তা মোকাবিলা করা যায়।

ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনিজনিত সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের শরীর অনেক সময় ফোলা থাকে। এসব রোগীর দৈনন্দিন সব পানি গ্রহণ সাধারণ এক থেকে দেড় লিটারের বেশি নির্ধারিত থাকে না। তাই এ ধরনের রোগী যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, তখন মূলত ফ্লুইড বা তরলের পরিমাপ মুখে বা শিরাপথে খুব সতর্কতার সঙ্গে হিসাব করে দিতে হয়। প্রতিনিয়ত লক্ষ রাখতে হয়, অতিরিক্ত তরল গ্রহণজনিত কোনো জটিলতা হয় কি না। এ ছাড়া তাঁদের রক্তে লবণ-পানি ও অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে গভীর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

হার্টের রোগীর চিকিৎসা
যাঁরা দীর্ঘদিনের হার্ট ফেইলিওর বা হার্ট ব্লকজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, ডেঙ্গু চিকিৎসায় তাঁদের ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। এসব ভেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে কতটুকু তরল মুখে খাবেন বা শিরাপথে নেবেন; কোন ধরনের তরল ব্যবহার করতে হবে—এ ব্যাপারে সচেতনতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্য যেসব ওষুধ পূর্ব থেকে চলছে, সেগুলোর ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মতামত নিতে হবে। যদি রক্তচাপ কমে যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা
ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থাকে। তাই তাঁদের ডেঙ্গু হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, নির্দেশিত পরিমাণ তরল খাবার খাওয়া (দৈনিক কমপক্ষে আড়াই লিটার) তাঁদের অনেকটাই ভালো রাখতে পারে।

করোনা রোগীর চিকিৎসা
বাংলাদেশের জনগণের একটি বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের অনেকে এখনো করোনার দীর্ঘমেয়াদি জটিলতায় ভুগছে। এসব রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন, যাতে কোনো ধরনের জটিলতা হলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়। বাড়িতে এ ধরনের রোগীর নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তে চিনির মাত্রা, অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা যেতে পারে। কোনো ধরনের ঝুঁকি মনে হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

মূলত সচেতনতা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা ও জটিলতাগুলো থেকে দূরে রাখা সম্ভব। এসব রোগীকে ‘উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন ডেঙ্গু রোগীর’ আওতায় এনে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে ঘরে ও হাসপাতালে ডেঙ্গুর যত্ন ও চিকিৎসা দিতে হবে।

ডা. তাহমিদা খানম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৮ জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮৯, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬ জন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৫৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৯৬৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬, অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অননুমোদিত ওষুধ লিখলে শাস্তির নীতিমালার প্রস্তাব

  • চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
  • চিকিৎসকদের সচেতন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অননুমোদিত ওষুধ লিখলে শাস্তির নীতিমালার প্রস্তাব

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জাতীয় জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ০৫
‘জাতীয় জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন বন্ধ

জাতীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসকদের বদলি ও পদায়ন আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বদলি-পদায়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর প্রস্তুতি চলমান থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রশাসনিক পদে থাকা চিকিৎসকেরা প্রায়ই উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্ব বা পছন্দের কর্মস্থলে বদলি ও পদায়নের জন্য আবেদন করে থাকেন। বর্তমানে চিকিৎসকদের পদোন্নতি কার্যক্রম চলমান থাকায় এসব আবেদন নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিগগির পদোন্নতি কার্যক্রম সম্পন্ন করে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের পছন্দ, বিসিএস ও মেধাক্রমসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অটোমেশন পদ্ধতিতে বদলি-পদায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো আবেদনের ভিত্তিতে বদলি-পদায়ন কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা জরুরি।

বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়, বদলি-পদায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, গতি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জনস্বাস্থ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে না সাপে কাটার চিকিৎসা

  • শুধু বিষধর সাপে দংশনের শিকার বছরে ১ লাখ মানুষ।
  • এর মধ্যে মারা যায় সাড়ে ৭ হাজার জন।
  • প্রান্তিক পর্যায়ে অপ্রতুল চিকিৎসা।
  • ব্যবহৃত প্রতিষেধক সব সাপের বিষে কার্যকর নয়।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৯
জনস্বাস্থ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে না সাপে কাটার চিকিৎসা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়। আর এই দংশনের কারণে বছরে মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫১১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও জনস্বাস্থ্যে সাপের দংশনের সমস্যাটি উপেক্ষিত। প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ সীমিত। জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতা নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের দংশনকে বৈশ্বিকভাবে অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ২৪৪ জন সাপের দংশনের শিকার হয় এবং এতে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যু না হলেও সাপের দংশনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ১১ শতাংশ বিষক্রিয়াজনিত পক্ষাঘাতে ভোগে। বছরে আড়াই হাজার গরুরও মৃত্যু হয় সাপের দংশনে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও একটি চাপ।

পেশাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপের দংশনের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন গৃহবধূরা। তাঁরা মোট আক্রান্তের ৩২ শতাংশ। এরপর রয়েছে কৃষিশ্রমিক ২৬ শতাংশ ও শিক্ষার্থী ১৯ শতাংশ। বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নানা প্রচারণার পরও চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ ভুক্তভোগী এখনো ওঝার কাছে যায়। মাত্র ৩৫ শতাংশ যায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবাদাতার কাছে। ওঝার অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রায়ই কাজে আসে না। এটি মৃত্যুহার ও স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়িয়ে দেয়।

ডব্লিউএইচওর হিসাবে, বছরে বিশ্বে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মারা যায়। এশিয়ায় আক্রান্ত হয় প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যার প্রায় তিন গুণ মানুষ স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা বা অঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়। সময়মতো সুচিকিৎসা না পেলে বিষধর সাপের দংশন পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস), রক্তপাতজনিত জটিলতা এবং কিডনি ও টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে।

দেশজুড়ে সাপের দংশন ও চিকিৎসার চিত্র

উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের শুরু থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়েছিল। আর এতে মারা গেছে ৩০ জন। এর মধ্যে ১০ জন চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) এবং বাকিরা কালাচ, কেউটে ও গোখরা সাপের দংশনের শিকার হয়েছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশেষায়িত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সাপের দংশনের শিকার রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছে ৭ জন।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাপের দংশনের ঘটনা ঘটে খুলনা বিভাগে; প্রতি লাখে ৬১৬ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ, যেখানে প্রতি লাখে ৪২৯ জন সাপের দংশনের শিকার হয়। সারা দেশের ২৬টি জেলার সরকারি হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ওই সব এলাকায় সাড়ে ৯ হাজার সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় অংশ বিষধর সাপের দংশনের শিকার। গত মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৭ রোগীর শরীরে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাপে কাটা রোগীর শরীরে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট, কিডনি বিকল হওয়া, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা, হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা এবং অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে আইসিইউ, অক্সিজেন এবং ডায়ালাইসিস সুবিধা থাকা প্রয়োজন।

প্রতিষেধক ও তার কার্যকারিতা

বাংলাদেশের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮২ প্রজাতির সাপের মধ্যে ২৮টি বিষধর। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রকুইস্টে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। এতে বলা হয়েছে, সাপের ধরনভেদে অ্যান্টিভেনমের পরিমাণ ও প্রয়োগও ভিন্ন। যেমন গোখরার কামড়ে ১০০-২০০ মিলিলিটার এবং চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে ১০০-৮০০ মিলিলিটার।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রয়োগ করা অ্যান্টিভেনম কার্যকর হচ্ছে শুধু চন্দ্রবোড়া, গোখরা ও ক্রেইটজাতীয় সাপের বিষের বিরুদ্ধে। সামুদ্রিক সাপ, গ্রিন পিট ভাইপার, বিরলজাতের ক্রেইটসহ অন্য কিছু বিষধর সাপের দংশনে এটি অকার্যকর। বাংলাদেশে গোখরার তিনটি এবং ক্রেইটের পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে গ্রিন পিট ভাইপারের বিষের প্রতিষেধক খুবই জরুরি। এটা কাছাকাছি দেশের মধ্যে থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। তবে সেটা আমদানির অনুমতি নেই। অন্যদিকে সামুদ্রিক সব সাপের বিষ মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও দেশে এর প্রতিষেধক পাওয়া যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপের একক প্রজাতির জন্য মনোভ্যালেন্ট এবং দুই বা ততোধিক প্রজাতির জন্য পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যবহৃত পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম সব বিষধর সাপের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর নয়। এ জন্য স্থানীয় সাপের বিষের ভিত্তিতে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা অপরিহার্য। সার্বিকভাবে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় সাপের দংশনের বিষক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে অপর্যাপ্ত বলে মূল্যায়ন করেছে ডব্লিউএইচও।

অ্যান্টিভেনমের প্রাপ্যতার সংকট

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর অ্যান্টিভেনমের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। দেশে এ প্রতিষেধক বাজারজাত করে একটিমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। তাদের আমদানি করা অ্যান্টিভেনম ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত। ভারত থেকে বাল্ক পরিমাণে তরল আমদানি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি ভায়ালে ভরে বাজারজাত করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারি কার্যক্রমের কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) বিদ্যমান না থাকায় এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোকে নিজ উদ্যোগে কিনতে বলা হয়েছে। বিষধর সাপের দংশনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বছরে ১০ থেকে ২০ লাখ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের প্রয়োজন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্টিভেনম উৎপাদন করেছিল। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) নতুন কারখানায় অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

অ্যান্টিভেনমের অসম প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে ডা. ফায়েজ বলেন, চিকিৎসা খাতে সাপের দংশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যও আংশিক। কোথায় কত মানুষ সাপের দংশনে মারা যাচ্ছে, তা পূর্ণাঙ্গভাবে জানা নেই। ফলে অ্যান্টিভেনম সমানভাবে বিতরণ করা হয় না। আর আমদানিনির্ভরতা, বরাদ্দ ও দামে সংকট সৃষ্টি হয়।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে। উচ্চ আদালত গত আগস্টে উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেন। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর দুই মাস পেরোলেও অনেক এলাকায় এখনো অ্যান্টিভেনম পাওয়া যাচ্ছে না বা খুব কম মজুত রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘অ্যান্টিভেনমের সংকট একেবারে নেই, তা বলা ঠিক হবে না। যেখানে ঘাটতি আছে, সেখানকার হাসপাতালকে পাশের উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যে ওষুধ প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা উৎপাদন বাড়াচ্ছে। দু-তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে দেশীয় অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেখানে ইতিমধ্যে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘সেন্টারের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে আগামী তিন বছর অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে একটা ফল পাওয়া যাবে। এরপর উৎপাদনে যেতে ইডিসিএলের হয়তো আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত