ডা. মুনতাসীর মারুফ
উপশমের জন্য সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শমতো নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হয়–তা সবাই জানি। এ কারণে রোগের উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক যেমন আমরা খুঁজি, তেমনি সেই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট মাত্রা ও পরিমাণে, নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ওষুধ সেবন করি আমরা। তবে, ওষুধের ইতিবাচক ফল পেতে হলে এসবের বাইরে আরও একটি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তা হচ্ছে ওষুধ কেনা।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকে কেনার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার। তার একটি হচ্ছে, ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত ওষুধের সঙ্গে কেনা ওষুধের নামের মিল যাচাই করা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ভিন্ন জেনেরিক গ্রুপের এবং ভিন্ন রোগের জন্য কার্যকর ওষুধের ব্র্যান্ড বা ওষুধ কোম্পানি নির্ধারিত নামের উচ্চারণ প্রায় একই রকম। কিন্তু বানানে একটি বা দুটি অক্ষর হয়তো এদিক-ওদিক থাকে। আবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ওষুধের নামের সঙ্গে মিল রেখে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের ওষুধের নামকরণ করে অনেক নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে বানানে এক-দুটি অক্ষরের হেরফের হতে দেখা যায়। কিন্তু উচ্চারণ প্রায় একই রকম থাকে। এসব ক্ষেত্রে বানান না মিলিয়ে কিনলে প্রয়োজনীয় ওষুধের পরিবর্তে ভুল অথবা নিম্নমানের ওষুধ সেবন করা হয়ে যেতে পারে। এর ফলে রোগ ভালো না হয়ে উল্টো ভুল ওষুধ সেবনজনিত অন্য শারীরিক সমস্যাও হতে দেখা যায়।
আমাদের দেশে অনেক ওষুধের দোকানেই বিক্রেতা হচ্ছেন অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ব্যক্তি। ফার্মেসি বা ওষুধসংক্রান্ত বিষয় তো দূরের কথা, সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার কোনো মাইলফলকই অতিক্রম না করা ব্যক্তিরাও কোনো তত্ত্বাবধান ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করছে। প্রশিক্ষণবিহীন শিশু-কিশোরেরাও ওষুধ বিক্রি করছে, দেশে এ চিত্রও বিরল নয়। ফলে, ব্যবস্থাপত্রে লেখা এক, আর অজ্ঞ বিক্রেতা ধরিয়ে দিচ্ছে অন্য ওষুধ–এমন ঘটনা ঘটে হরহামেশাই। ফলে ওষুধের নাম মিলিয়ে ওষুধ কিনুন। কিছু ওষুধের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য ফ্রিজে নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তা না হলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এ রকম ওষুধের মধ্যে রয়েছে মলদ্বারে ব্যবহৃত জ্বরের বা ব্যথার ওষুধ ইত্যাদি। এ ধরনের ওষুধ কেনার আগে তা সঠিক তাপমাত্রায় যথাযথভাবে ফ্রিজে সংরক্ষিত ছিল কি না, তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
এ ছাড়াও, ওষুধ কেনার সময় এর মেয়াদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ওষুধের মোড়ক বা বোতলের গায়ে এর উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রোগ সারাতে কার্যকরী নয়; বরং এতে উল্টো ক্ষতিও হতে পারে। যেসব ওষুধের মোড়ক বা বোতলের গায়ে মেয়াদ লেখা নেই, সেসব ওষুধ কেনা যাবে না।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
উপশমের জন্য সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শমতো নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হয়–তা সবাই জানি। এ কারণে রোগের উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক যেমন আমরা খুঁজি, তেমনি সেই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট মাত্রা ও পরিমাণে, নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ওষুধ সেবন করি আমরা। তবে, ওষুধের ইতিবাচক ফল পেতে হলে এসবের বাইরে আরও একটি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তা হচ্ছে ওষুধ কেনা।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকে কেনার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার। তার একটি হচ্ছে, ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত ওষুধের সঙ্গে কেনা ওষুধের নামের মিল যাচাই করা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ভিন্ন জেনেরিক গ্রুপের এবং ভিন্ন রোগের জন্য কার্যকর ওষুধের ব্র্যান্ড বা ওষুধ কোম্পানি নির্ধারিত নামের উচ্চারণ প্রায় একই রকম। কিন্তু বানানে একটি বা দুটি অক্ষর হয়তো এদিক-ওদিক থাকে। আবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ওষুধের নামের সঙ্গে মিল রেখে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের ওষুধের নামকরণ করে অনেক নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে বানানে এক-দুটি অক্ষরের হেরফের হতে দেখা যায়। কিন্তু উচ্চারণ প্রায় একই রকম থাকে। এসব ক্ষেত্রে বানান না মিলিয়ে কিনলে প্রয়োজনীয় ওষুধের পরিবর্তে ভুল অথবা নিম্নমানের ওষুধ সেবন করা হয়ে যেতে পারে। এর ফলে রোগ ভালো না হয়ে উল্টো ভুল ওষুধ সেবনজনিত অন্য শারীরিক সমস্যাও হতে দেখা যায়।
আমাদের দেশে অনেক ওষুধের দোকানেই বিক্রেতা হচ্ছেন অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ব্যক্তি। ফার্মেসি বা ওষুধসংক্রান্ত বিষয় তো দূরের কথা, সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার কোনো মাইলফলকই অতিক্রম না করা ব্যক্তিরাও কোনো তত্ত্বাবধান ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করছে। প্রশিক্ষণবিহীন শিশু-কিশোরেরাও ওষুধ বিক্রি করছে, দেশে এ চিত্রও বিরল নয়। ফলে, ব্যবস্থাপত্রে লেখা এক, আর অজ্ঞ বিক্রেতা ধরিয়ে দিচ্ছে অন্য ওষুধ–এমন ঘটনা ঘটে হরহামেশাই। ফলে ওষুধের নাম মিলিয়ে ওষুধ কিনুন। কিছু ওষুধের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য ফ্রিজে নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তা না হলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এ রকম ওষুধের মধ্যে রয়েছে মলদ্বারে ব্যবহৃত জ্বরের বা ব্যথার ওষুধ ইত্যাদি। এ ধরনের ওষুধ কেনার আগে তা সঠিক তাপমাত্রায় যথাযথভাবে ফ্রিজে সংরক্ষিত ছিল কি না, তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
এ ছাড়াও, ওষুধ কেনার সময় এর মেয়াদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ওষুধের মোড়ক বা বোতলের গায়ে এর উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রোগ সারাতে কার্যকরী নয়; বরং এতে উল্টো ক্ষতিও হতে পারে। যেসব ওষুধের মোড়ক বা বোতলের গায়ে মেয়াদ লেখা নেই, সেসব ওষুধ কেনা যাবে না।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া ও এমআরএসএ (মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস) মোকাবিলায় দুটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধগুলোর ‘পরমাণু থেকে পরমাণু’ সম্পূর্ণভাবে এআই দিয়ে নকশা করা হয়েছে...
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেসচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
২ দিন আগে