আয়নাল হোসেন, ঢাকা
কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করার জন্য ব্যবহৃত ‘ব্লাডলাইনের’ (একধরনের ক্যাথেটার) তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। ফলে পণ্যটি কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোগীর স্বজনেরা বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে তা কিনছেন।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার সার্জিক্যাল পণ্য ব্যবসায়ীরা বাজারে ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ব্লাডলাইনের অভাবের কথা জানান। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সংকটের কারণে ২৪০ টাকার ব্লাডলাইন কোথাও ২৬০, কোথাও ৩০০, কোথাওবা তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের নিচের এমএস মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মী আরিফুর রহমান বলেন, ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার ব্লাডলাইন এখন ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই এলাকার মেসার্স হেলথওয়ের ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রস্তুতকারী কোম্পানির সরবরাহ সংকটে পণ্যটি ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর দোকানে কয়েক রোগীর স্বজনেরা এসেছিলেন জরুরি ভিত্তিতে ব্লাডলাইন দরকার বলে। কিন্তু দোকানে মাল না থাকায় তিনি দিতে পারেননি।
সার্জিক্যাল পণ্যের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ব্লাডলাইন ক্যাথেটার তৈরি করে একমাত্র নিপ্রো জেএমআই কোম্পানি। কিডনি রোগীদের জরুরি পণ্য তৈরি করায় বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ পায় প্রতিষ্ঠানটি। অপর দিকে তারা ব্লাডলাইন বিদেশে রপ্তানি করায় সরকারি প্রণোদনাও পাচ্ছে। দুই ধরনের সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নজরে আসায় তারা জেএমআইকে তলব করে। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে জেএমআই ব্লাডলাইন উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণেই বাজারে পণ্যটির অভাব দেখা দিয়েছে।
পুরান ঢাকার সার্জিক্যাল সামগ্রীর ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, জেএমআই কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী ব্লাডলাইন সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে বাজারে পণ্যটি কয়েকগুণ বেশি দামে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেএমআই গ্রুপের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা কামরুল হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা কাঁচামাল আমদানি করে দেশে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করছেন। তবে কিছু রপ্তানি করা হলেও সরকারি কোনো প্রণোদনা পাচ্ছেন না। কাঁচামাল সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণেই চাহিদা অনুযায়ী ব্লাডলাইন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে শিগগির এই সংকট কেটে যাবে।
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত ইনসাফ বারাকা কিডনি ও জেনারেল হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন আকন্দ জানান, তাঁদের হাসপাতালে আগের মজুদ থাকায় এখনো তেমন সংকট তৈরি হয়নি। তাঁদের দিনে ৩০-৩৫টির মতো ব্লাডলাইনের দরকার হয়। তাঁদের হাসপাতালসংলগ্ন ফার্মেসিতে ২৬০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
রাজধানী তথা দেশের সর্ববৃহৎ কিডনি ডায়ালাইসিস প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে, সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের দিনে ২৫০টি ব্লাডলাইন দরকার হয়। বাজারে পণ্যটির সংকট থাকায় রোগীদের মধ্যে হাহাকার পড়েছে। রোগীরা প্রতিটি ব্লাডলাইন ৬০০-৭০০ টাকায়ও বাইরে থেকে কিনে আনছেন।
জেএমআই কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, বাজারে তাঁদের তৈরি পণ্য ছাড়াও অন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা ব্লাডলাইনের সরবরাহ রয়েছে। তবে বাজারে তাঁদের পণ্যের পরিচিতি ও বিক্রি তুলনামূলক বেশি। তাঁদের উৎপাদনে কিছুটা সমস্যা হওয়ার কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাঁদের মধ্যে বছরে ৩৫-৪০ হাজার মানুষের রোগ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাঁদের ডায়ালাইসিস বা জটিল ও অনেক ব্যয়বহুল কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া তেমন বিকল্প থাকে না। কিডনি রোগীদের একটা বড় অংশ নিম্নবিত্তের মানুষ, যাদের জন্য ডায়ালাইসিস এমনিতেই যথেষ্ট ব্যয়বহুল। নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করার জন্য ব্যবহৃত ‘ব্লাডলাইনের’ (একধরনের ক্যাথেটার) তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। ফলে পণ্যটি কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোগীর স্বজনেরা বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে তা কিনছেন।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার সার্জিক্যাল পণ্য ব্যবসায়ীরা বাজারে ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ব্লাডলাইনের অভাবের কথা জানান। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সংকটের কারণে ২৪০ টাকার ব্লাডলাইন কোথাও ২৬০, কোথাও ৩০০, কোথাওবা তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের নিচের এমএস মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মী আরিফুর রহমান বলেন, ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার ব্লাডলাইন এখন ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই এলাকার মেসার্স হেলথওয়ের ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রস্তুতকারী কোম্পানির সরবরাহ সংকটে পণ্যটি ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর দোকানে কয়েক রোগীর স্বজনেরা এসেছিলেন জরুরি ভিত্তিতে ব্লাডলাইন দরকার বলে। কিন্তু দোকানে মাল না থাকায় তিনি দিতে পারেননি।
সার্জিক্যাল পণ্যের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ব্লাডলাইন ক্যাথেটার তৈরি করে একমাত্র নিপ্রো জেএমআই কোম্পানি। কিডনি রোগীদের জরুরি পণ্য তৈরি করায় বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ পায় প্রতিষ্ঠানটি। অপর দিকে তারা ব্লাডলাইন বিদেশে রপ্তানি করায় সরকারি প্রণোদনাও পাচ্ছে। দুই ধরনের সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নজরে আসায় তারা জেএমআইকে তলব করে। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে জেএমআই ব্লাডলাইন উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণেই বাজারে পণ্যটির অভাব দেখা দিয়েছে।
পুরান ঢাকার সার্জিক্যাল সামগ্রীর ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, জেএমআই কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী ব্লাডলাইন সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে বাজারে পণ্যটি কয়েকগুণ বেশি দামে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেএমআই গ্রুপের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা কামরুল হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা কাঁচামাল আমদানি করে দেশে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করছেন। তবে কিছু রপ্তানি করা হলেও সরকারি কোনো প্রণোদনা পাচ্ছেন না। কাঁচামাল সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণেই চাহিদা অনুযায়ী ব্লাডলাইন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে শিগগির এই সংকট কেটে যাবে।
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত ইনসাফ বারাকা কিডনি ও জেনারেল হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন আকন্দ জানান, তাঁদের হাসপাতালে আগের মজুদ থাকায় এখনো তেমন সংকট তৈরি হয়নি। তাঁদের দিনে ৩০-৩৫টির মতো ব্লাডলাইনের দরকার হয়। তাঁদের হাসপাতালসংলগ্ন ফার্মেসিতে ২৬০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
রাজধানী তথা দেশের সর্ববৃহৎ কিডনি ডায়ালাইসিস প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে, সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের দিনে ২৫০টি ব্লাডলাইন দরকার হয়। বাজারে পণ্যটির সংকট থাকায় রোগীদের মধ্যে হাহাকার পড়েছে। রোগীরা প্রতিটি ব্লাডলাইন ৬০০-৭০০ টাকায়ও বাইরে থেকে কিনে আনছেন।
জেএমআই কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, বাজারে তাঁদের তৈরি পণ্য ছাড়াও অন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা ব্লাডলাইনের সরবরাহ রয়েছে। তবে বাজারে তাঁদের পণ্যের পরিচিতি ও বিক্রি তুলনামূলক বেশি। তাঁদের উৎপাদনে কিছুটা সমস্যা হওয়ার কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাঁদের মধ্যে বছরে ৩৫-৪০ হাজার মানুষের রোগ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাঁদের ডায়ালাইসিস বা জটিল ও অনেক ব্যয়বহুল কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া তেমন বিকল্প থাকে না। কিডনি রোগীদের একটা বড় অংশ নিম্নবিত্তের মানুষ, যাদের জন্য ডায়ালাইসিস এমনিতেই যথেষ্ট ব্যয়বহুল। নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
২৪ মিনিট আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে