নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আমরা যা বিশ্বাস করি তা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকি। কিন্তু নিজের ধ্যানধারণা বা বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপানোর সময় আত্মবিশ্বাস কম থাকে। ফলে তর্কের সময় বা কাউকে কিছু বোঝাতে গেলে আমরা চিৎকার করি। এতে সামনের মানুষটা একেবারেই প্রভাবিত হয় না। উত্তেজিত হলে মনের শান্তি হারায়, অন্যরাও এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতি খুবই অস্বস্তিকর। তর্কের খাতিরে কেন আমরা ঝগড়াটে স্বভাবের হয়ে যাই তা নিয়ে কি ভেবেছি কখনো? আমি-আপনি না ভাবলেও গবেষকেরা এর উত্তর খুঁজেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তর্কের সময় চিৎকার করার প্রধান কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব।
তবে এত দিন ধরে ভাবা হতো, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল উঁচু স্বরে কথা বলে মানুষ। নতুন গবেষণায় এ ধারণা বাতিল করা হয়েছে। অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কম থাকলে মানুষ চিৎকার করে। আশা করে, চিৎকার করে কথা বললে অন্যরা তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবে।
২০০২ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি বুলেটিন’ নামের এক গবেষণায় তিনটি জরিপের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেকে আগের যুগের ব্যক্তিদের চেয়ে পক্ষপাতহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন। নিজেদের ধারণা কতটা পক্ষপাতমূলক হতে পারে, সে ব্যাখ্যা শুনেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে অটল ছিলেন।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ নিজেকে অন্যের তুলনায় ভালো হিসেবে চেনেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিশীলতার দিক দিয়ে, নৈতিকভাবে বা খেলাধুলায়ও তাঁরা অন্যের চেয়ে ভালো। তবে সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে এ আত্মবিশ্বাসই তলানিতে এসে ঠেকে। তাঁরা মনে করেন, তাঁদের বন্ধু হাতে গোনা কয়েকজন, তাঁদের সামাজিক গণ্ডি ছোট বা অন্যদের চেয়ে পরিচিত ব্যক্তির সংখ্যা কম।
এক জরিপে দেখা গেছে, জনসমাগমস্থল থেকে ফিরে আমরা মনে করি, পাশের জন আমাকে পছন্দ করেননি। আসলে মানুষ নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পাশে বসে থাকা অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব বেশি কঠিন নয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সামনের মানুষটিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে চিৎকার শুরু করলে ফলাফল হয় উল্টো।
কণ্ঠস্বর উঁচুতে না তুললে আমরা মনে করি, সামনের মানুষটা কথা শুনবে না। কিন্তু তর্ক করার ক্ষেত্রে একটু সুন্দর করে কথা বললেই বরং মানুষ তা গুরুত্বসহকারে শুনবে। আসলে কোনো বিষয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকলেই বরং আমরা অন্যকে কম প্রভাবিত করার চেষ্টা করি।
মোটকথা, নিজের বক্তব্য কেউ শুনছে না, হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে–এমনটা মনে করেই মানুষ উঁচু স্বরে চিৎকার করে।
সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
আমরা যা বিশ্বাস করি তা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকি। কিন্তু নিজের ধ্যানধারণা বা বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপানোর সময় আত্মবিশ্বাস কম থাকে। ফলে তর্কের সময় বা কাউকে কিছু বোঝাতে গেলে আমরা চিৎকার করি। এতে সামনের মানুষটা একেবারেই প্রভাবিত হয় না। উত্তেজিত হলে মনের শান্তি হারায়, অন্যরাও এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতি খুবই অস্বস্তিকর। তর্কের খাতিরে কেন আমরা ঝগড়াটে স্বভাবের হয়ে যাই তা নিয়ে কি ভেবেছি কখনো? আমি-আপনি না ভাবলেও গবেষকেরা এর উত্তর খুঁজেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তর্কের সময় চিৎকার করার প্রধান কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব।
তবে এত দিন ধরে ভাবা হতো, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল উঁচু স্বরে কথা বলে মানুষ। নতুন গবেষণায় এ ধারণা বাতিল করা হয়েছে। অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কম থাকলে মানুষ চিৎকার করে। আশা করে, চিৎকার করে কথা বললে অন্যরা তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবে।
২০০২ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি বুলেটিন’ নামের এক গবেষণায় তিনটি জরিপের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেকে আগের যুগের ব্যক্তিদের চেয়ে পক্ষপাতহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন। নিজেদের ধারণা কতটা পক্ষপাতমূলক হতে পারে, সে ব্যাখ্যা শুনেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে অটল ছিলেন।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ নিজেকে অন্যের তুলনায় ভালো হিসেবে চেনেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিশীলতার দিক দিয়ে, নৈতিকভাবে বা খেলাধুলায়ও তাঁরা অন্যের চেয়ে ভালো। তবে সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে এ আত্মবিশ্বাসই তলানিতে এসে ঠেকে। তাঁরা মনে করেন, তাঁদের বন্ধু হাতে গোনা কয়েকজন, তাঁদের সামাজিক গণ্ডি ছোট বা অন্যদের চেয়ে পরিচিত ব্যক্তির সংখ্যা কম।
এক জরিপে দেখা গেছে, জনসমাগমস্থল থেকে ফিরে আমরা মনে করি, পাশের জন আমাকে পছন্দ করেননি। আসলে মানুষ নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পাশে বসে থাকা অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব বেশি কঠিন নয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সামনের মানুষটিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে চিৎকার শুরু করলে ফলাফল হয় উল্টো।
কণ্ঠস্বর উঁচুতে না তুললে আমরা মনে করি, সামনের মানুষটা কথা শুনবে না। কিন্তু তর্ক করার ক্ষেত্রে একটু সুন্দর করে কথা বললেই বরং মানুষ তা গুরুত্বসহকারে শুনবে। আসলে কোনো বিষয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকলেই বরং আমরা অন্যকে কম প্রভাবিত করার চেষ্টা করি।
মোটকথা, নিজের বক্তব্য কেউ শুনছে না, হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে–এমনটা মনে করেই মানুষ উঁচু স্বরে চিৎকার করে।
সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কর্মসূচি নিয়েছে। এই টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ১ আগস্ট থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅনেক বছর ধরে স্থূলতাকে একক রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছে। কারণ এটি শুধু ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় না, স্থূলতা নিজেও এমন একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সমস্যা, যার আলাদাভাবে চিকিৎসা প্রয়োজন।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেপিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আলাদা পিতৃত্বকালীন ছুটি দরকার আছে। ছুটি যদি দিতে হয়, তাহলে বাবারও শিশুকে সময় দিতে হবে।’ আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে
১ দিন আগে