Ajker Patrika

সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত জরুরি

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্‌রিয়া
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৩
সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত জরুরি

পুষ্টিজনিত সমস্যা

প্রশ্ন
আমার মেয়ের বয়স ৯ বছর। উচ্চতা ৪ ফুট। ওজন ২৩ কেজি। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতিদিন একটি করে ডিম খায় সে। সঙ্গে অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার। কিন্তু তার ওজন সম্ভবত বাড়ছে না। আমরা বাসায় রেডমিট তেমন একটা খাই না। চিকেন, সবজি আর মাছ বেশি খাই। তার সবকিছু ঠিক আছে কি না, জানালে উপকৃত হব।

আরজুমান্দ বানু
সৈয়দপুর, নীলফামারী

বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) এবং বয়স অনুযায়ী মেয়ের ওজন ২০.৪ কেজি থেকে ২৮.৪ কেজি হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী ওজন ঠিকই আছে। সে যদি হাঁটাচলা বা কাজ করতে ক্লান্তিবোধ না করে, সে যদি খেলাধুলাও সবার মতো করতে পারে, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারপরও পুডিং, পনির, কেক, দুধ, ডিম দিয়ে তৈরি খাবার খেলে তার ওজন বাড়বে। মুরগির মাংস, দুধের তৈরি খাবার, কলিজা ও মাছ খেলেও উপকার পাবেন। তবে বাইরের ফাস্টফুড না খাওয়াই ভালো। সামনেই তার কিশোরীকাল, তাই খাবারের মেন্যুতে রঙিন শাকসবজি রাখতে পারেন।

মাসুমা চৌধুরী
পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

টিকাজনিত সমস্যা

প্রশ্ন
করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা (সিনোফার্ম) নেওয়ার পর বেশ কয়েক দিন হাতে ব্যথা ছিল। প্রথম তিন দিন তীব্র ব্যথা থাকলেও ধীরে ধীরে কমে আসে। এখন হঠাৎ হঠাৎ আবার ব্যথা হয়। ঠিক টিকা ইনজেক্ট করার স্থান এবং তার কিছুটা আশপাশজুড়েই ব্যথাটা হয়। এ নিয়ে কি দুশ্চিন্তার কিছু আছে? আমার দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়েছে ২৫ অক্টোবর ২০২১।

সাদিয়া, বংশাল, ঢাকা

টিকাদানের এত দিন পর এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বেশি চিন্তিত হবেন না। ব্যথার স্থানে বরফের সেঁক দিলে আরাম পাবেন। টিকাদানের স্থানে কোনো ফোলা, লালচে ভাব, কোনো তরল বের হলে নিকটস্থ চিকিৎসককে সরাসরি দেখিয়ে পরামর্শ নিন।

ডা. মালিহা আহমেদ
মেডিকেল অফিসার, অর্থোপেডিকস মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম

মানসিক সমস্যা

প্রশ্ন
আমার বয়স ৩৪। ভালোবেসে বিয়ে করেছি দেড় বছর হলো। আমি আর আমার স্ত্রী আলাদা দুই রুমের বাসা নিয়ে থাকি। আমার স্ত্রী গৃহিণী। আমার ছোট ভাইকে আমাদের সঙ্গে রাখার প্রয়োজন পড়েছে এখন। এর আগে সে বাড়িতে আমার পরিবারের সঙ্গেই থাকত। সে অ্যাডিকটেড। নেশাজাত দ্রব্য থেকে পরিবারের কেউই তাকে সামাল দিতে পারছে না। একমাত্র আমাকে সে ভয় পায় বলে আমার কাছে ওকে রাখা উচিত বলে পরিবার মনে করে। কিন্তু আমার ছোট ভাইকে এখানে আনার বিষয়ে আমার স্ত্রী মুখে কিছু না বললেও এ বিষয়ে সে কিছুটা শঙ্কিত। আমি অফিসে চলে যাই, প্রায় সমবয়সী দেবরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ একা বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রীর জন্য স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না। তার ওপর নেশা করে জেনে আমার স্ত্রী আমার ভাইকে একটু ভয় পাচ্ছে। আমার কী করণীয়? বাড়ি থেকেও চাপ দিচ্ছে ছোট ভাইকে এখানে এনে রাখার জন্য। আবার আমার স্ত্রীর সহযোগিতাও পাচ্ছি না। কী করব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুমিল্লা

ধন্যবাদ, আমাদের লেখার জন্য। আপনি উভয়সংকটে পড়েছেন বুঝতে পারছি।

আপনার স্ত্রীর ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক এবং যুক্তিসংগত। বাড়িতে যেখানে একাধিক মানুষ মিলেও একজন মাদকাসক্তকে সামলে রাখতে পারেন না, সেখানে দুই কামরার বাসায়, ঢাকা শহরে আপনার স্ত্রীর পক্ষে আসলেই মুশকিল হয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে।

বাড়ি থেকে কেন ঢাকায় পাঠাতে চাচ্ছে—সেটা কি শুধুই আপনি শাসন করবেন বলে, নাকি সেখানে যে অসৎ সঙ্গ আছে, তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে—সেই জায়গাটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আপনার বাসায় একা আপনার স্ত্রীর সঙ্গে তার থাকার সমাধানটাও খুব বেশি মঙ্গলজনক হবে না।

রিহ্যাব সেন্টারগুলো বাইরে যতই চকচকে দেখায়, তাদের গুণগত মান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কিছুদিন আগে এ নিয়ে মিডিয়া প্রচার করেছে। তাই পারিবারিক পরিবেশে নিয়মনীতির মধ্যে রাখাই সব দিক থেকে শ্রেয়। প্রয়োজনে পেশাগত কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন। কোন তীব্র হতাশার কারণে ছেলেটি মাদকাসক্ত হলো, সেই কারণটি এখনো বিদ্যমান কি না—সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
নিজ পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে দেখুন, বিকল্প কী ভাবা যায়।

অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্‌রিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র‍্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ

মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিঠি ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে।

চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
বিভাগীয় সম্পাদক
আজকের জীবন 
(জেনে নিই, ভালো থাকি)
আজকের পত্রিকা
বাড়ি-৮, সড়ক-২, ব্লক-সি,
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

ই-মেইল: [email protected]

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত