ফিচার ডেস্ক
ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়কে জীবনের শেষ ধাপ মনে করা হয়। এ সময় চিকিৎসার ভারে জর্জরিত হন অনেকে। কিন্তু ব্রিটেনের কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট স্যার ক্রিস হোয়ে এই ধারণাকে বদলে দিতে চাইলেন ভিন্নভাবে।
ছয়বারের অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী ক্রিস হোয়ে গত বছর জানালেন, তাঁর ক্যানসার আর নিরাময়যোগ্য নয়। চিকিৎসকদের ধারণা, তাঁর হাতে সময় রয়েছে দুই থেকে চার বছর। খবরটি পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিস হোয়ে ভেঙে পড়েননি। স্টেজ ৪ প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও আয়োজন করলেন দাতব্য সাইকেল রাইড ‘ট্যুর দ্য ফোর’।
গ্লাসগোতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই রাইডে অংশ নেয় প্রায় তিন হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ছিল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, তাদের স্বজন ও সাধারণ অংশগ্রহণকারী।
এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য ছিল সাইক্লিং করা। কে কত দূর যেতে পারে এবং কতক্ষণ সাইকেল চালাতে পারে। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। এখানে ছিল না জয়-পরাজয়ের বিষয়, ছিল না প্রতিযোগিতার চাপও। সবার অংশগ্রহণ ছিল মূল বিষয়। প্রত্যেকে যেন নিজের শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী অংশ নিতে পারে, নিজের উপস্থিতি দিয়ে প্রমাণ করতে পারে যে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও জীবন কিন্তু থেমে যায় না।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বার্তা ছিল, জীবনকে এখনো উদ্যাপন করা যায়, আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। ক্যানসার হয়তো নিয়ন্ত্রণ করে দেহকে, কিন্তু মনোবলকে দমিয়ে রাখতে পারে না।
এই আয়োজনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের একজন ৫৭ বছর বয়সী মেল আর্ভিন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের প্রায় অর্ধেক হারিয়েছেন। এখন তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তিনিও ঝলমলে সোনালি ও গোলাপি টুপি পরে সাইকেলে চেপে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের চিকিৎসা আর দৈনন্দিন সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো সাইকেলে ওঠার কথা কখনো ভাবতাম না। কিন্তু এমন একটা আয়োজন দেখে আগ্রহী হয়েছি, নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এটি আমাকে সাহস জুগিয়েছে।’
পাঁচ বছর ধরে স্টেজ ৪ ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন মেল আর্ভিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত স্টেজ ৪ ক্যানসার নিয়ে কথা বলি না। লজ্জা আর বিভ্রান্তির কারণে চুপ থাকি। কিন্তু ক্রিস হোয়ে যখন নিজের কথা বললেন, সেটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
ক্যানসারে আক্রান্তদের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হলো, নিজের শরীরের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলা। কারণ, ক্যানসার প্রায় সময় লুকিয়ে থেকে হঠাৎ আঘাত হানে। মেল আর্ভিন বলেন, ‘সাইকেল চালানোর সময়
মনে হয় আমার পেশি, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস একসঙ্গে কাজ করছে। আমার শারীরিক ক্ষমতার ওপর আবার বিশ্বাস ফিরে পেয়েছি।’
‘ট্যুর দ্য ফোর’ শুধু একটি সাইকেল রাইড নয়, এটি ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেঁচে থাকার এক অনুপ্রেরণা। স্টেজ ৪ ক্যানসারেও কিন্তু জীবন থেমে যায় না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়কে জীবনের শেষ ধাপ মনে করা হয়। এ সময় চিকিৎসার ভারে জর্জরিত হন অনেকে। কিন্তু ব্রিটেনের কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট স্যার ক্রিস হোয়ে এই ধারণাকে বদলে দিতে চাইলেন ভিন্নভাবে।
ছয়বারের অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী ক্রিস হোয়ে গত বছর জানালেন, তাঁর ক্যানসার আর নিরাময়যোগ্য নয়। চিকিৎসকদের ধারণা, তাঁর হাতে সময় রয়েছে দুই থেকে চার বছর। খবরটি পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিস হোয়ে ভেঙে পড়েননি। স্টেজ ৪ প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও আয়োজন করলেন দাতব্য সাইকেল রাইড ‘ট্যুর দ্য ফোর’।
গ্লাসগোতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই রাইডে অংশ নেয় প্রায় তিন হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ছিল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, তাদের স্বজন ও সাধারণ অংশগ্রহণকারী।
এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য ছিল সাইক্লিং করা। কে কত দূর যেতে পারে এবং কতক্ষণ সাইকেল চালাতে পারে। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। এখানে ছিল না জয়-পরাজয়ের বিষয়, ছিল না প্রতিযোগিতার চাপও। সবার অংশগ্রহণ ছিল মূল বিষয়। প্রত্যেকে যেন নিজের শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী অংশ নিতে পারে, নিজের উপস্থিতি দিয়ে প্রমাণ করতে পারে যে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও জীবন কিন্তু থেমে যায় না।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বার্তা ছিল, জীবনকে এখনো উদ্যাপন করা যায়, আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। ক্যানসার হয়তো নিয়ন্ত্রণ করে দেহকে, কিন্তু মনোবলকে দমিয়ে রাখতে পারে না।
এই আয়োজনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের একজন ৫৭ বছর বয়সী মেল আর্ভিন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের প্রায় অর্ধেক হারিয়েছেন। এখন তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তিনিও ঝলমলে সোনালি ও গোলাপি টুপি পরে সাইকেলে চেপে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের চিকিৎসা আর দৈনন্দিন সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো সাইকেলে ওঠার কথা কখনো ভাবতাম না। কিন্তু এমন একটা আয়োজন দেখে আগ্রহী হয়েছি, নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এটি আমাকে সাহস জুগিয়েছে।’
পাঁচ বছর ধরে স্টেজ ৪ ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন মেল আর্ভিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত স্টেজ ৪ ক্যানসার নিয়ে কথা বলি না। লজ্জা আর বিভ্রান্তির কারণে চুপ থাকি। কিন্তু ক্রিস হোয়ে যখন নিজের কথা বললেন, সেটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
ক্যানসারে আক্রান্তদের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হলো, নিজের শরীরের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলা। কারণ, ক্যানসার প্রায় সময় লুকিয়ে থেকে হঠাৎ আঘাত হানে। মেল আর্ভিন বলেন, ‘সাইকেল চালানোর সময়
মনে হয় আমার পেশি, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস একসঙ্গে কাজ করছে। আমার শারীরিক ক্ষমতার ওপর আবার বিশ্বাস ফিরে পেয়েছি।’
‘ট্যুর দ্য ফোর’ শুধু একটি সাইকেল রাইড নয়, এটি ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেঁচে থাকার এক অনুপ্রেরণা। স্টেজ ৪ ক্যানসারেও কিন্তু জীবন থেমে যায় না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
হৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেপলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস হলো একটি সাধারণ হরমোনজনিত সমস্যা, যা প্রজননযোগ্য বয়সের নারীদের মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটি কেবল প্রজননব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে না, বরং নারীর সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও রাখে। প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাসকে পিসিওএস
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কেসের সংখ্যা ২০০০ সালে ৫ লাখ ৫ হাজার ৪৩০ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ১ কোটি ৪৬ লাখ হয়েছে। বর্তমানে রোগটি শতাধিক দেশে স্থানীয়ভাবে (এনডেমিক) বিদ্যমান। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ডব্লিউএইচওতে ৯৭টি দেশ থেকে ৪০ লাখের বেশি কেস এবং ৩ হাজারের বেশি মৃত্যুর
৭ ঘণ্টা আগেনিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বিশেষ কিছু পানীয়ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই পানীয়গুলো অল্প সময়ে সহজে তৈরি করা যায়। এ ছাড়া মৌসুমি ফ্লুসহ অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর।
৭ ঘণ্টা আগে