ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
অনেক শিশু নানা রকম চোখের সমস্যায় ভোগে। সেগুলো সময়মতো চিহ্নিত না হলে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। শিশুদের আচরণ, অভ্যাস ও দৈনন্দিন কাজে কিছু অস্পষ্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখা যায়, যা চোখের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। সময়মতো এসব লক্ষণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে অনেক জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
চোখের সমস্যা চেনার ৫ উপায়
১. বারবার চোখ কচলানো বা ঘষা
শিশুরা অনেক সময় ঘুম পেলে বা ক্লান্ত হলে চোখ ঘষে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি আপনার শিশু দিনে অনেকবার চোখ কচলাতে থাকে, তাহলে তা চোখে চুলকানি, শুষ্কতা বা কোনো অস্বস্তির লক্ষণ হতে পারে।
চোখে অ্যালার্জি, ধুলাবালু জমে থাকা, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ লাল হওয়া, এমনকি দূরদৃষ্টির সমস্যা থেকেও শিশুর চোখে অস্বস্তি হতে পারে। যদি চোখ ঘষার সঙ্গে চোখ লাল হওয়া বা পানি পড়ার উপসর্গ থাকে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
২. কাছ থেকে টিভি দেখা বা বই পড়া
শিশু যদি সব সময় টিভির সামনে বসে অথবা বই বা খেলনা চোখের একদম কাছে এনে দেখে, তাহলে তা নিকট দৃষ্টির লক্ষণ হতে পারে।
এই সমস্যা হলে শিশু দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পারে না। ফলে কাছ থেকে সবকিছু দেখতে চায়। অনেক সময় বোর্ডের লেখা স্পষ্ট না দেখতে পেয়ে শিশুরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবক ভুল করে এটাকে ‘অমনোযোগিতা’ ভাবেন। মূলত সমস্যাটি চোখে।
৩. চোখ হেলে যাওয়া বা একদিকে তাকিয়ে থাকা
শিশুর এক কিংবা দুই চোখ যদি মাঝেমধ্যে অথবা সব সময় বাইরের দিকে বা ভেতরের দিকে হেলে থাকে, তাহলে তা স্কোয়িন্ট বা ট্যারা চোখের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা অবহেলা করলে ‘লেজি আই’ তৈরি হতে পারে। তাহলে একটি চোখ ঠিকভাবে দেখতে শেখে না এবং স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
ট্যারা চোখ সাধারণত জন্মগত হয়ে থাকে বা শৈশবে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। দ্রুত চিকিৎসা পেলে এই সমস্যা সম্পূর্ণ ভালো হয়।
৪. চোখ ছোট করে তাকানো
আলোতে চোখ বন্ধ করে ফেলা, চোখ ছোট করে তাকানো বা চোখ ঘুরিয়ে ফেলা অনেক সময় কর্নিয়া বা লেন্স-সংক্রান্ত সমস্যা নির্দেশ করে। জন্মগত ছানি, গ্লুকোমা বা রেটিনার সমস্যার কারণে শিশুরা আলোতে অস্বস্তি অনুভব করে।
৫. বোর্ডের লেখা দেখতে না পারা
শিশু যদি পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, লেখা পড়তে গিয়ে ভুল করে বা বারবার প্রশ্ন করে বোর্ডে কী লেখা রয়েছে, তাহলে তা চোখের সমস্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত হতে পারে। এটা হতে পারে চোখে ঝাপসা দেখা, ডাবল ভিশন বা চোখের ক্লান্তির ফল।
এসব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা করা হবে বিপজ্জনক। চোখের পূর্ণ পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যা করতে হবে
» শিশুদের চোখের সমস্যায় কোনো সন্দেহ হলে দ্রুততম সময়ে চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
» শিশুর তিন বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর ছয় বছর বয়সে দ্বিতীয়বার।
» পরিবারের কারও দৃষ্টিজনিত রোগ থাকলে শিশুদের আগেই চেকআপ করানো প্রয়োজন।
» চশমা পরার প্রয়োজন হলে শিশুকে মানসিক সমর্থন ও উৎসাহ দিন, যেন সেটি সে নিয়মিত ব্যবহার করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
অনেক শিশু নানা রকম চোখের সমস্যায় ভোগে। সেগুলো সময়মতো চিহ্নিত না হলে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। শিশুদের আচরণ, অভ্যাস ও দৈনন্দিন কাজে কিছু অস্পষ্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখা যায়, যা চোখের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। সময়মতো এসব লক্ষণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে অনেক জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
চোখের সমস্যা চেনার ৫ উপায়
১. বারবার চোখ কচলানো বা ঘষা
শিশুরা অনেক সময় ঘুম পেলে বা ক্লান্ত হলে চোখ ঘষে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি আপনার শিশু দিনে অনেকবার চোখ কচলাতে থাকে, তাহলে তা চোখে চুলকানি, শুষ্কতা বা কোনো অস্বস্তির লক্ষণ হতে পারে।
চোখে অ্যালার্জি, ধুলাবালু জমে থাকা, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ লাল হওয়া, এমনকি দূরদৃষ্টির সমস্যা থেকেও শিশুর চোখে অস্বস্তি হতে পারে। যদি চোখ ঘষার সঙ্গে চোখ লাল হওয়া বা পানি পড়ার উপসর্গ থাকে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
২. কাছ থেকে টিভি দেখা বা বই পড়া
শিশু যদি সব সময় টিভির সামনে বসে অথবা বই বা খেলনা চোখের একদম কাছে এনে দেখে, তাহলে তা নিকট দৃষ্টির লক্ষণ হতে পারে।
এই সমস্যা হলে শিশু দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পারে না। ফলে কাছ থেকে সবকিছু দেখতে চায়। অনেক সময় বোর্ডের লেখা স্পষ্ট না দেখতে পেয়ে শিশুরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবক ভুল করে এটাকে ‘অমনোযোগিতা’ ভাবেন। মূলত সমস্যাটি চোখে।
৩. চোখ হেলে যাওয়া বা একদিকে তাকিয়ে থাকা
শিশুর এক কিংবা দুই চোখ যদি মাঝেমধ্যে অথবা সব সময় বাইরের দিকে বা ভেতরের দিকে হেলে থাকে, তাহলে তা স্কোয়িন্ট বা ট্যারা চোখের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা অবহেলা করলে ‘লেজি আই’ তৈরি হতে পারে। তাহলে একটি চোখ ঠিকভাবে দেখতে শেখে না এবং স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
ট্যারা চোখ সাধারণত জন্মগত হয়ে থাকে বা শৈশবে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। দ্রুত চিকিৎসা পেলে এই সমস্যা সম্পূর্ণ ভালো হয়।
৪. চোখ ছোট করে তাকানো
আলোতে চোখ বন্ধ করে ফেলা, চোখ ছোট করে তাকানো বা চোখ ঘুরিয়ে ফেলা অনেক সময় কর্নিয়া বা লেন্স-সংক্রান্ত সমস্যা নির্দেশ করে। জন্মগত ছানি, গ্লুকোমা বা রেটিনার সমস্যার কারণে শিশুরা আলোতে অস্বস্তি অনুভব করে।
৫. বোর্ডের লেখা দেখতে না পারা
শিশু যদি পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, লেখা পড়তে গিয়ে ভুল করে বা বারবার প্রশ্ন করে বোর্ডে কী লেখা রয়েছে, তাহলে তা চোখের সমস্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত হতে পারে। এটা হতে পারে চোখে ঝাপসা দেখা, ডাবল ভিশন বা চোখের ক্লান্তির ফল।
এসব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা করা হবে বিপজ্জনক। চোখের পূর্ণ পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যা করতে হবে
» শিশুদের চোখের সমস্যায় কোনো সন্দেহ হলে দ্রুততম সময়ে চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
» শিশুর তিন বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর ছয় বছর বয়সে দ্বিতীয়বার।
» পরিবারের কারও দৃষ্টিজনিত রোগ থাকলে শিশুদের আগেই চেকআপ করানো প্রয়োজন।
» চশমা পরার প্রয়োজন হলে শিশুকে মানসিক সমর্থন ও উৎসাহ দিন, যেন সেটি সে নিয়মিত ব্যবহার করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম...
৫ ঘণ্টা আগেসত্য বলুন তো, রাতে যতটা সময় ঘুমান, তার চেয়ে বেশি সময় কি ঘুমানোর চেষ্টাতেই কেটে যায়? তাহলে এ সমস্যায় শুধু আপনিই ভুগছেন না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিনজনে একজন এমন ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। যদিও বলা হয়, কোনো ব্যক্তির দিনে ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। শিশুদের জন্য সেটা আরও বেশি...
৫ ঘণ্টা আগেচুলকানি এমন এক অনুভূতি, যা শরীরে আঁচড়ে দিতে ইচ্ছা জাগায়। সব মানুষের অনুভূতির মাত্রা ও সংবেদনশীলতা এক রকম নয়। ফলে অল্প সমস্যার কারণেও বেশি চুলকানি অনুভূত হয়। চর্মরোগ ছাড়াও অনেক সাধারণ কারণ এবং বিভিন্ন অঙ্গের রোগের বহিঃপ্রকাশ চুলকানির মাধ্যমে শুরু হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেপনির বা চিজ অনেকের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে। তাঁদের জন্য গবেষকেরা জারি করেছেন একটি নিষেধাজ্ঞা। গবেষণা বলছে, চিজ অন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বেইলর কলেজ অব মেডিসিনের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পনির বেশি খেলে অন্ত্রে পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থা কোলন ক্যানসারের দিকেও নিয়ে...
৬ ঘণ্টা আগে