অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
প্রায় সব অভিভাবকই অভিযোগ করেন, ‘শিশু কথা শুনতে চায় না।’ এটা নতুন কিছু নয়। শিশুকে কথা শোনানোর ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের ভূমিকা কী, তা নিয়ে আমরা কতটা ভাবি? প্রায় সব বাবা–মা সন্তানকে বোঝান যে তার জন্য যা করছেন সবই নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু সন্তানও কি তা–ই অনুভব করছে? বাবা–মায়ের আচরণে সন্তান কি মনে করছে যে পরীক্ষায় ভালো না করলেও মা বা বাবা তাকে ভালোবাসবে? সন্তান কি তার রাগ, দুঃখ, ভয়, আনন্দ অকপটে অভিভাবককে বলতে পারছে? যদি বলতে না পারে, সেখানে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিভাবক হিসেবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য মানসিক ও সামাজিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
মানসিক দিক থেকে প্যারেন্টিং বা সন্তান লালন হলো একটি জ্ঞান আহরণের পদ্ধতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত একজনকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, যত্নের অভাব, আত্মসম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার বীজ পরিবারের মাধ্যমেই শৈশবে শিশুর মনে রোপণ হয়ে যায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বাবা–মা বা অভিভাবক হিসেবে কি তাকে শাসন করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফল যেন ইতিবাচক হয়। ইতিবাচক প্যারেন্টিংয়ে শিশু আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হবে। অন্যকেও সম্মান করতে শিখবে। পরিণতিতে বাবা–মায়ের সঙ্গে শিশুর সম্পর্কসহ অন্যান্য পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কও ভালো থাকবে।
সন্তানকে ইতিবাচক প্রক্রিয়ায় বড় করার ক্ষেত্রে শিশুকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। তুলনা অবশ্যই করা যাবে, কিন্তু তা করতে হবে শিশুর নিজের সঙ্গে। যেমন—আগের পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে এই পরীক্ষায় শিশুটি কতটুকু বেশি নম্বর পেল, সেটাই হবে তুলনা। কখনোই অন্যের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণ প্রত্যেকের মেধা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হতে পারে, বেড়ে ওঠার পরিবেশ আলাদা হতে পারে, আগ্রহের বিষয় আলাদা হতে পারে।
সামাজিক দিক থেকে দেখলে সন্তানের আচরণগত সমস্যাসহ তার অস্তিত্বকে গুরুত্ব দিতে হবে। তার আচরণগত সমস্যা যদি থাকে, তবে সন্তানকে সেই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে সংশোধনে সহায়তা করতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই আচরণগত সমস্যার বিষয়টি সন্তানের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
প্রায় সব অভিভাবকই অভিযোগ করেন, ‘শিশু কথা শুনতে চায় না।’ এটা নতুন কিছু নয়। শিশুকে কথা শোনানোর ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের ভূমিকা কী, তা নিয়ে আমরা কতটা ভাবি? প্রায় সব বাবা–মা সন্তানকে বোঝান যে তার জন্য যা করছেন সবই নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু সন্তানও কি তা–ই অনুভব করছে? বাবা–মায়ের আচরণে সন্তান কি মনে করছে যে পরীক্ষায় ভালো না করলেও মা বা বাবা তাকে ভালোবাসবে? সন্তান কি তার রাগ, দুঃখ, ভয়, আনন্দ অকপটে অভিভাবককে বলতে পারছে? যদি বলতে না পারে, সেখানে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিভাবক হিসেবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য মানসিক ও সামাজিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
মানসিক দিক থেকে প্যারেন্টিং বা সন্তান লালন হলো একটি জ্ঞান আহরণের পদ্ধতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত একজনকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, যত্নের অভাব, আত্মসম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার বীজ পরিবারের মাধ্যমেই শৈশবে শিশুর মনে রোপণ হয়ে যায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বাবা–মা বা অভিভাবক হিসেবে কি তাকে শাসন করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফল যেন ইতিবাচক হয়। ইতিবাচক প্যারেন্টিংয়ে শিশু আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হবে। অন্যকেও সম্মান করতে শিখবে। পরিণতিতে বাবা–মায়ের সঙ্গে শিশুর সম্পর্কসহ অন্যান্য পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কও ভালো থাকবে।
সন্তানকে ইতিবাচক প্রক্রিয়ায় বড় করার ক্ষেত্রে শিশুকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। তুলনা অবশ্যই করা যাবে, কিন্তু তা করতে হবে শিশুর নিজের সঙ্গে। যেমন—আগের পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে এই পরীক্ষায় শিশুটি কতটুকু বেশি নম্বর পেল, সেটাই হবে তুলনা। কখনোই অন্যের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণ প্রত্যেকের মেধা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হতে পারে, বেড়ে ওঠার পরিবেশ আলাদা হতে পারে, আগ্রহের বিষয় আলাদা হতে পারে।
সামাজিক দিক থেকে দেখলে সন্তানের আচরণগত সমস্যাসহ তার অস্তিত্বকে গুরুত্ব দিতে হবে। তার আচরণগত সমস্যা যদি থাকে, তবে সন্তানকে সেই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে সংশোধনে সহায়তা করতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই আচরণগত সমস্যার বিষয়টি সন্তানের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
মাত্র তিন মিনিটে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো যাবে—এমন একধরনের চিকিৎসা-প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এই ‘বোন গ্লু’ বা ‘হাড়ের আঠা’ শরীরে প্রাকৃতিকভাবে শোষিত হয়ে যায়, ফলে ধাতব ইমপ্ল্যান্টের মতো এটি অপসারণের জন্য দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের দরকার হয় না।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আরও ২৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তাঁরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, মোট পাঁচ ঘণ্টার জন্য।
১ দিন আগেহৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
২ দিন আগে