ডা. সাজেদা রুমানা আহমেদ
প্রতিটি পরিবার চায়, সন্তান সুস্থ থাকুক। এ জন্য সবার চেষ্টা ও সচেতনতার কোনো কমতি থাকে না। গর্ভবতী মা বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন তাঁর সন্তানের নড়াচড়া, গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ে। এ জন্য গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমিস্টারে যে আলট্রাসনোগ্রাম স্ক্যানটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো অ্যানোমালি স্ক্যান। এই স্ক্যানের মাধ্যমে সন্তানের গঠনগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে তার শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হয়।
অ্যানোমালি স্ক্যান করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা থাকলে কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
পরীক্ষাপূর্ব প্রস্তুতি
কোনো রকম পূর্বপ্রস্তুতি, অর্থাৎ প্রস্রাবের চাপের প্রয়োজন নেই। তবে ঢিলেঢালা পোশাক পরে এলে ভালো হয়।
পরীক্ষার ধরন
অন্যান্য গর্ভকালীন স্ক্যানের মতো রোগীকে বেডে শুইয়ে দিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। এই পরীক্ষায় গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ খুঁটিয়ে দেখা হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আলট্রাসনোগ্রামে ব্যবহৃত হয় শব্দতরঙ্গ, যার কোনো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ১০ কোটির বেশি গর্ভবতীর আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে। আজও গর্ভস্থ শিশু অথবা মায়ের ওপর এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাবের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই স্ক্যানের ফল মোটামুটি নির্ভুল। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ক্যানের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ স্পাইনা বাইফিডা, ৮০ শতাংশ ক্লেফট লিপ বা প্যালেট, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জন্মগত হৃৎপিণ্ডের সমস্যা এবং ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি নির্ণয় করা সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মেশিন আর দক্ষ চিকিৎসকের প্রয়োজন এই স্ক্যান করানোর জন্য।
লেখক: কনসালট্যান্ট সনোলজিস্ট, আলোক হেলথ কেয়ার লি., কচুক্ষেত শাখা, ঢাকা
প্রতিটি পরিবার চায়, সন্তান সুস্থ থাকুক। এ জন্য সবার চেষ্টা ও সচেতনতার কোনো কমতি থাকে না। গর্ভবতী মা বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন তাঁর সন্তানের নড়াচড়া, গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ে। এ জন্য গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমিস্টারে যে আলট্রাসনোগ্রাম স্ক্যানটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো অ্যানোমালি স্ক্যান। এই স্ক্যানের মাধ্যমে সন্তানের গঠনগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে তার শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হয়।
অ্যানোমালি স্ক্যান করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা থাকলে কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
পরীক্ষাপূর্ব প্রস্তুতি
কোনো রকম পূর্বপ্রস্তুতি, অর্থাৎ প্রস্রাবের চাপের প্রয়োজন নেই। তবে ঢিলেঢালা পোশাক পরে এলে ভালো হয়।
পরীক্ষার ধরন
অন্যান্য গর্ভকালীন স্ক্যানের মতো রোগীকে বেডে শুইয়ে দিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। এই পরীক্ষায় গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ খুঁটিয়ে দেখা হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আলট্রাসনোগ্রামে ব্যবহৃত হয় শব্দতরঙ্গ, যার কোনো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ১০ কোটির বেশি গর্ভবতীর আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে। আজও গর্ভস্থ শিশু অথবা মায়ের ওপর এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাবের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই স্ক্যানের ফল মোটামুটি নির্ভুল। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ক্যানের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ স্পাইনা বাইফিডা, ৮০ শতাংশ ক্লেফট লিপ বা প্যালেট, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জন্মগত হৃৎপিণ্ডের সমস্যা এবং ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি নির্ণয় করা সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মেশিন আর দক্ষ চিকিৎসকের প্রয়োজন এই স্ক্যান করানোর জন্য।
লেখক: কনসালট্যান্ট সনোলজিস্ট, আলোক হেলথ কেয়ার লি., কচুক্ষেত শাখা, ঢাকা
বিশ্বের অন্যতম নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক স্নায়বিক অসুখ হান্টিংটন রোগের প্রথম সফল চিকিৎসার ঘোষণা দিলেন চিকিৎসকেরা। এই রোগ বংশানুক্রমে এবং পরিবার থেকে পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে এবং একই সঙ্গে ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও মোটর নিউরন রোগের মতো উপসর্গ তৈরি করে।
১ দিন আগেডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
২ দিন আগেএডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে এর বিস্তার মূলত নগরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত পাঁচ বছরে কম-বেশি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী গণপরিসরে কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় রোগী ও মৃত্যুহার কমানোর...
২ দিন আগেদেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
৪ দিন আগে